ই-পেপার | শুক্রবার , ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

বিজিবির হাতে আশ্রয়ে থাকা ১৭৭ বিজিপি সদস্যদকে শীঘ্রই সেদেশে ফেরত পাঠানো হবে

মোঃ জয়নাল আবেদীন টুক্কু, নাইক্ষ্যংছড়ি,

 

নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয়ের আশায় পালিয়ে আসা মিয়ানমার জন্তা সরকারের ১৭৭ বিজিপি সদস্যকে শীঘ্রই ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া শেষ প্রান্তে বলে জানিয়েছেন বান্দরবান জেলা প্রশাসক মো:মুজাহিদ উদ্দিন।

 

রোববার ( ২৪ মার্চ) বিকেলে জানতে চাইলে তিনি এ প্রতিবেদককে আরো বলেন,বিষয়টি অতি সিক্রেট আর রাষ্ট্রিয় বিষয়। এই বিষয় নিয়ে সরকার কাজ করছে। বাংলাদেশ -মিয়ানমার দু’দেশের উধ্বর্মহল সব বিষয় ঠিক রেখে এটি সম্পন্ন করবে৷ তবে অতি শীঘ্রই তাদের ফেরত পাঠানো হবে। প্রক্রিয়া শেষ প্রান্তে। তবে তিনি কবে কখন দিনক্ষণ বলতে রাজি হন নি এ প্রতিবেদককে।

 

উল্লেখ্য গত ১১ মার্চ সোমবার দুপুর ও বিকেল এ তিন সময়ে তিন দফায় মিয়ামানমারের রাখাইন রাজ্যের জান্তা সরকারের ১৭৯ জন সদস্য বাংলাদেশে পালিয়ে আসে নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের জামছড়ি পয়েন্ট দিয়ে । যাদের আশ্রয় দেয়া হয় বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা সদরের ১১ বিজিবি ব্যাটালিয়ন সদরের বর্ডার গার্ড সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রথম ও দ্বিতল ভবনে রঙ্গিন কাপড়ে মোড়ানো নিরাপদ অবস্থানে ।

যাদের ২ জন ছিলে বেসামরিক ব্যক্তি। তাদের ১২ মার্চ মিয়ানমারে পুশব্যাক করা হয়। বাকী ১৭৭ জন বিগত ১৩ দিন ধরে এখানে আশ্রিত রয়েছে ১১ বিজিবির তত্বাবধানে।

 

এদিকে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার চেরারমাঠ সীমান্তের জান্তা বাহিনীর ফেলে যাওয়া ৫০ বছরের সেই ঘাঁটিটি দীর্ঘ ১ বছর পরিত্যক্ত ছিলো। রোববার ( ২৪ মার্চ) থেকে এ ঘাঁটিতে বিদ্রোহী আরকান আর্মি কিছুটা স্ংস্কার করে ঢুকে পড়েছে তারা। তারা এখন মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা জান্তা সদস্যদের ঠেকাতে নতুন করে এখানে আবস্থান করছে বলে সূত্র নিশ্চিত করেছে।

 

চেরারকূলের বাসিন্দা ছৈয়দ হোসেন,আশরাফজামান ও দলিল বকসু এ প্রতিবেদককেবিষয়টি নিশ্চিত করেন।তবে অন্যান্য কোন কতৃপক্ষ এ বিষয়ে বক্তব্য দিতে রাজি হন নি।একদিকে রোহিঙ্গা যুবকদের ঢাল হিসেবে ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে সান্তা বাহিনী।অপর দিকে মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশের মংডু জেলার বুথিডং টাউনশীপ এলাকায় LIR – 552 ব্যাটালিয়ান নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার জন্য বিদ্রোহী গ্রুপ আরকান আর্মি দীর্ঘদিন যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে।

 

আর এ যুদ্ধে জান্তা বাহিনী সেনাদের সাথে স্থানীয় রোহিঙ্গা যুবকদের সল্প মেয়াদী সামরিক প্রশিক্ষণ দেয়া রোহিঙ্গা যুবকদেরকে সেনাদের সাথে পাঠিয়ে সামনের সারিতে যুদ্ধের ডাল হিসাবে ব্যবহার করছেন বলে সুত্রে জানা যায়।যার ফলে গত ২৩ মার্চ ২০২৪ তারিখ ৭ জন রোহিঙ্গা সৈনিক যুদ্ধে নিহত হয়েছে।নিহত সৈনিকরা সিটুয়ে জেলার আইডিপি রোহিঙ্গা শিবিরের রোহিঙ্গা বলে জানা গেছে। বিষয়টি জানিয়েছেন রোহিঙ্গা নেতা আলতাফ হোসেন ও শাব্বির আহসদ।

 

তারা জানান,মিয়ানমার রাখাইন প্রদেশের মংডু জেলার ,বুথিডং ও সিটুয়ে হতে মিয়ানমার সেনা ও পুলিশরা রোহিঙ্গা যুবকদের কে আটক অভিযান অব্যাহত রেখেছেন।এ কারণে অধিকাংশ রোহিঙ্গা যুবক প্রাণের ভয়ে পাড়া গ্রাম ছেড়ে দেশ বিদেশ সহ বাংলাদেশে কৌশলে নাফ নদী পাড়ীদিয়ে অনুপ্রবেশের প্রচেষ্টায় রয়েছে।আবার অনেকে নৈাপথে বিদেশে পাড়ি জামাচ্ছে।

 

ওপারে সংঘাতের সুযোগে উভয় দেশেরকয়েক হাজার চোরাকারবারী নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত এলাকায় অবৈধ ব্যবসা সহ চোরাচালানে জড়িয়ে কোটিপতি বনে গেছে। তবে বিজিবি তাদের অভিযান ও তৎপরতা বাড়িয়েছে বলেও সূত্র উল্লেখ করেন।তবে অভিযুক্ত ফার্মটির মালিক শফিউল আলমের জানান, ফার্মের পায়খানা, প্রস্রাব ও বিষ্ঠা যথাসম্ভব নিরাপদ স্থানে সরানোর উদ্যোগ নেবেন।