ই-পেপার | বৃহস্পতিবার , ২৭শে জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

তালতলীতে ছাত্র অভিভাবককে পিটালো সহকারী শিক্ষক

হায়দার হাওলাদার,তালতলী প্রতিনিধি :

 

বরগুনার তালতলীতে শিক্ষকদের ক্লাস ফাঁকির প্রতিবাদ করায় সহাকরী শিক্ষক মোঃ সেলিম শিকদারের হামলার শিকার হয়েছেন ছাত্র অভিভাবক ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্য কুদ্দুস খান। আজ বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ ২০২৪) সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে উপজেলার কড়ইবাড়িয়া দাঃ দাখিল মাদ্রাসার লাইব্রেরীতে এঘটনা ঘটে। আহত অবিভাবক কুদ্দুস খান (৪০) তালতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন। তিনি কড়ইবাড়িয়া ইউপির ১ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা এবং সহকারী শিক্ষক সেলিম শিকদার ছোটবগী ইউপির ১ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা।

 

সরেজমিন গিয়ে জানা গেছে, বিভিন্ন সময় শিক্ষকদের অনুপস্থিতি এবং পাঠদানে গাফলিতির প্রতিবাদ করতেন কুদ্দুস খান। আজ সকাল থেকে প্রতিষ্ঠান প্রধান (সুপার) আব্দুস সবুর, সহকারী শিক্ষক আবু হানিফ ও সহকারী শিক্ষক আ. আজিজ অনুপস্থিত থাকায় লাইব্রেরীতে গিয়ে শিক্ষকের অনুপস্থিতির বিষয়ে জানতে চায় ছাত্র অবিভাবক ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্য আব্দুল কুদ্দুস খান। শিক্ষকদের অনুপস্থিতি ও গাফেলতি নিয়ে প্রশ্ন তোলায় সহকারী শিক্ষক সেলিম শিকদার এবং আব্দুল আজিজ কুদ্দুস খানের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে তর্কে জড়িয়ে একপর্যায়ে এলোপাতারীভাবে মারধর ও চেয়ার দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর যখম করে এবং বাম হাতের আঙ্গুল ফাটিয়ে লাইব্রেরীতে আটকে রাখে। স্থানীয়রা তাকে মাদ্রাসার লাইব্রেরী থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠায়।

 

আহত আ. কুদ্দুস খান বলেন, মাদ্রাসার শিক্ষকরা প্রায় সময় ফাঁকিবাজি করে। যে যার ইচ্ছে মতো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আছে এবং আজ প্রায় দুই বছর ধরে ১ টায় কিংবা ২ টায় ছুটি দেয়। আজকে ৪-৫ জন শিক্ষক অনুপস্থিত ছিল। আমি এটার প্রতিবাদ করায় সেলিম শিকদার ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন, কে কোথায় যাবে তোর কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে যাবে? তুই কে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের? আমি সেলিম শিকদার কারো তোয়াক্কা করে চাকুরী করি না। ইচ্ছে মতো যাই আসি। তোর জন্য এখন সব সময় আমার ক্লাস করা লাগে। এই বলে এলুপাতারি মারধর শুরু করে।

 

অভিযোগের বিষয় অস্বীকার করে সহকারী শিক্ষক সেলিম শিকদার বলেন, হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। তার হাতে চাবি ছিলো হয় তো চাবিতে হাত রক্তক্ষরণ হয়েছে।আজ রাত ৯ টার দিকে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি জাকির হোসেন চুন্নু এবং প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা মোফাজ্জল হোসাইন ইউনূস মাস্টার সহ আমাদেরকে থানায় যেতে বলা হয়েছে। এটা সালিশি ব্যবস্থার মাধ্যমে সমাধান হব। এবং সবাই এক সাথে বসলে সত্য জানা যাবে।

 

প্রতিষ্ঠান প্রধান (সুপার) মাও. আব্দুস সবুর বলেন, আমি কড়ইবাড়িয়া ছিলাম তখন হয়তো হাতাহাতি এবং চেয়ার নেওয়া নে-ই হয়েছে। তালতলী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শহিদুল ইসলাম খান বলেন, লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।