ই-পেপার | বুধবার , ২৬শে জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ট্টগ্রামের চন্দনাইশের বৈলতলীতে আগুনে পুড়ল ১১ গরু

চন্দনাইশ প্রতিনিধি:

চট্টগ্রামের চন্দনাইশে একটি খামারে আগুন লেগে কৃষক আবদুল গফুর নামে এক খামারির ১১টি গরু পুড়ে মারা গেছে। তবে এলাকাবাসী ও জনপ্রতিনিধিরা বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে এ ঘটনা ঘটতে পারে বলে ধারণা করছেন।

 

মঙ্গলবার (১২ মার্চ) সকাল ১১টার দিকে বৈলতলী ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড বুড়ির দোকান পূর্ব পাশে গফুরের নতুন ভিটায় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ১১টি গরুর আনুমানিক মূল্য ২০ লক্ষ টাকার চেয়ে বেশি বলে জানা যায়। ধারদেনা ও ঋণ করে গরুগুলো নিয়েছিলেন কৃষক আবদুল গফুর।

 

ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক আবদুল গফুর জানান, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে পার্শ্ববর্তীরা তার খামারে আগুন লাগিয়েছে বলে সন্দেহ করছেন বলে জানান। ১১টি গরুর আনুমানিক মূল্য ২০ লক্ষ টাকার চেয়ে বেশি বলে জানান।

ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক আবদুল গফুরের ছেলে ইমন জানান,আমরা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। আমরা থানায় অভিযোগ দায়ের করার প্রস্তুতি নিচ্ছি।

 

বৈলতলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এসএম সায়েম জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। আগুনে পুড়ে ১১টি গরুর মৃত্যু হয়। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহমুদা বেগমকে জানানো হয়েছে। তিনি আমাকে সরেজমিনে পরিদর্শন করে তদন্ত রিপোর্ট দেওয়ার জন্য বলেন এবং সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়েছেন।

 

চন্দনাইশ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের ফায়ার ফাইটার মোশাররফ হোসেন জানান, খবর পেয়েই ফায়ার সার্ভিসের লোকজন দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছেন। ততক্ষণে স্থানীয় জনগণ আগুন নিয়ন্ত্রণ করেন। এতে ১১টি গরু পুড়ে মারা যায় বলে জানা যায় এবং ৪টি গরু জীবিত অবস্থায় জবাই করা হয় বলে জানা যায়। স্থানীয় জনগণ বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয় বলে প্রাথমিকভাবে জানান। আমরা যাওয়ার আগে আগুন নেভানোর কারণে আমরা আর তদন্ত করিনি।

 

চন্দনাইশ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ওবায়দুর ইসলাম বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। আগুনে পুড়ে ১১টি গরু মারা যায়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট বা মশার কয়েল থেকে আগুনের সূত্রপাত।

 

ঘটনার পর থেকে কৃষক আবদুল গফুর ও তার পরিবারের সদস্যদের কান্নায় এলাকার পরিবেশ ভারী হয়ে উঠে।