
নিজস্ব প্রতিনিধি, মহেশখালী :
মহেশখালীর ঘটিভাঙ্গায় ধরিত্রী রক্ষায় আমরা-ধরা’র আয়োজনে প্যারাবন রক্ষায় বিশাল মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রোববার (৩ মার্চ) বিকেলে মহেশখালী উপজেলার ধরিত্রী রক্ষায় আমরা-ধরা’র আহবায়ক জেএইচএম ইউনুছের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে প্রধান অতিথি ছিলেন, সংগঠনের কক্সবাজার জেলা আহবায়ক ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল কাদের চৌধুরী।
এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন, ধরা-র কক্সবাজার জেলা যুগ্ম আহবায়ক এইচএম ফরিদুল আলম শাহীন ও সাংবাদিক তৌহিদ বেলাল।
অন্যান্য অতিথিদের মধ্যে বক্তব্য দেন, আব্দুস সালাম কাকলী, মোহাম্মদ আমিন উল্লাহ আমিন, রতন দাস ও জাহেদ সরওয়ার।
স্থানীয়দের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, মোস্তাক আহাম্মদ, রাশেদ খান মেনন, আব্দুল হক, কামাল হোসেন, রিদূয়ান মাহীর সজীব, সাজ্জাদ হোসেন ও মোহাম্মদ হানিফ।
মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, ডিজিটাল আইল্যান্ড মহেশখালীতে গত বিশ বছরে ১২ হাজার একর প্যারাবন বা ম্যানগ্রোভ ফরেষ্ট ধ্বংস করেছে রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় প্রভাবশালী মহল। এখনও ঘটিভাঙ্গা ও সোনাদিয়াতে চলছে প্যারাবন কাটা ও ঝাউবাগান নিধনযজ্ঞ। এখানে প্যারাবন কেটে তৈরি হচ্ছে চিংড়ি ঘের ও লবনমাঠ।
বক্তারা বলেন, এসব অবৈধ কর্মকান্ড বন্ধ করতে না পারলে ভবিষ্যতে সোনাদিয়া ও ঘটিভাঙ্গা শুধু নয়, পুরো মহেশখালীর উপকুলীয় নিম্নাঞ্চল সাগরগর্ভে বিলীন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এর ফলে মহেশখালীর হাজার হাজার লোক গৃহছাড়া হয়ে উদ্বাস্তু হয়ে যেতে পারে।
প্রধান অতিথি ফজলুল কাদের চৌধুরী বলেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামীন কিয়ামতের আগে লক্ষণ শুরু হলেও মানুষকে গাছ লাগাতে নির্দেশ দিয়েছেন। অথচ মানুষ নির্বিচারে প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে রক্ষাকারী প্যারাবন নির্বিচারে কেটে অবৈধভাবে চিংড়িঘের করছে।
প্যারাবন নিধনকারীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার আহবান জানিয়েছেন তিনি।