ই-পেপার | বৃহস্পতিবার , ২১শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

বিদ্যুতের মূল্য বাড়িয়ে বাজার নিয়ন্ত্রণ বৃথা চেষ্টা

নিজস্ব প্রতিবেদক

 

বিদ্যুতের মূল্য বাড়িয়ে বাজার নিয়ন্ত্রণ বৃথা চেষ্টা হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ সাধারণ নাগরিক সমাজ। সংগঠনটি বলছে, ১ মার্চ থেকে বিদ্যুতের পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ের মূল্য ৩৪ পয়সা থেকে ৭০ পয়সা পর্যন্ত বৃদ্ধি করতে যাচ্ছে জ্বালানি ও বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়। অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে সবাই বলছেন বাজারে নিত্যপণ্যের মূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখতে সরকার কাজ করছে। কিন্তু বিদ্যুতের মূল্য বাড়িয়ে বাজার সহনীয় পর্যায়ে রাখার বৃথা চেষ্টা করা হবে।

 

বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে সংবাদ মাধ্যমে বাংলাদেশ সাধারণ নাগরিক সমাজের আহ্বায়ক মহিউদ্দিন আহমেদের পাঠানো এক বিবৃতিতে এ কথা বলা হয়।

 

বিবৃতিতে বলা হয়, নিত্যপণ্যের বাজার অস্থির, সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে সব পণ্য যখন, তখন জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি এই অনিয়ন্ত্রিত বাজারকে নতুন করে আরেকবার উসকে দেবে, এতে কোনো সন্দেহ নেই। উৎপাদন খরচ বৃদ্ধির দোহাই দিয়ে মিল মালিকরা প্রতিটি পণ্যের দাম বাড়াবে। ফলে বাজার অস্বাভাবিক পর্যায়ে চলে যেতে পারে। গত কয়েকদিন আগে যখন শিল্প মন্ত্রণালয় চিনির মূল্য বৃদ্ধি করল এবং কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তা প্রত্যাহার করা হলেও বাজারে চিনির দাম কিন্তু বেড়ে গেল। হয়ত মনে হতে পারে যে ৩৪ থেকে ৭০ পয়সা ইউনিটে হলে ২০০ ইউনিট ব্যবহারকারীর হয়ত কিছু হবে না। কিন্তু এই ২০০ টাকার সঙ্গে তার ভোগ্যপণ্য এবং অন্যান্য পণ্যের সঙ্গে সেবার মূল্য যখন বৃদ্ধি পাবে তার প্রভাব পড়বে কিন্তু বড় আকারে।

 

একদিকে যখন জীবন ধারণ করা কঠিন বিশেষ করে দ্রব্যমূল্যের সঙ্গে ওষুধ এবং সব সেবার মূল্য যখন হাতের নাগালের বাইরে এই সময় নতুন করে বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি করে আরেকবার বাজার বৃদ্ধির উসকানি দেওয়া হচ্ছে রাষ্ট্রীয় মদতে। অথচ ক্যাপাসিটি চার্জের নামে ২০২২-২৩ অর্থবছরে দেওয়া হয়েছে প্রায় ২৬ কোটি টাকা। অসংখ্য অনিয়ম এবং দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে বিদ্যুৎ খাত নিয়ে। গণশুনানিতে আমরা বিষয়গুলো বলার এবং বোঝার সুযোগ পেতাম এবং দেশ ও জনগণের সবাই জানত জবাবদিহিতার মাধ্যমে মূল্য নির্ধারিত হচ্ছে। কিন্তু সরকারের বিশেষ নির্দেশনায় জবাবদিহিতা বাদ দিয়ে মূল্য নির্ধারণ যে জনস্বার্থে যাবে না এটা খুব সহজে অনুমান করা যায়।

 

আমরা সরকারের কাছে বলতে চাই, আসন্ন রমজান, বর্তমান অস্থির বাজার এবং জনগণের ক্রয় ক্ষমতার সাধ্য সমর্থক চিন্তা করে আপাতত বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসা উচিত। সেই সঙ্গে গণশুনানির মাধ্যমে বিদ্যুতের মূল্য নির্ধারণ করার জোর দাবি জানাচ্ছি।