ই-পেপার | শনিবার , ২৯শে জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ড. ইউনূসের জবরদখল হওয়া প্রতিষ্ঠানের মালিকানা দাবি গ্রামীণ ব্যাংকের

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা :

শান্তিতে নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস জবরদখলের অভিযোগ তোলার পরে ওই সাতটি প্রতিষ্ঠানের মালিকানা দাবি করেছেন গ্রামীণ ব্যাংকের বর্তমান চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এ কে এম সাইফুল মজিদ।

 

তিনি বলেন, “জবরদখলের যে কথাটি উঠেছে সেটা আমরা ঘুরিয়ে বলতে পারি…এই প্রতিষ্ঠানগুলোতে উনাদের কারও কোনো মালিকানা নেই। এগুলোতে উনাদের কোনো টাকা নেই। এগুলো গ্রামীণ ব্যাংকের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান।”

 

শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার মিরপুরে গ্রামীণ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই দাবি করেন।

 

সাইফুল মজিদ বলেন, “বর্তমানে গ্রামীণের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অডিট পরিচালনা করা হচ্ছে। সেখানে মানি লন্ডারিং বা অর্থ সরিয়ে ফেলারও প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে। আমরা এখনই কাউকে দায়ী করছি না, তবে আমরা খুব শিগগির প্রমাণ নিয়ে হাজির হবো।

 

“গত ১২ ফেব্রুয়ারি আমাদের লোকেরা সাতটি প্রতিষ্ঠানে আমাদের চিঠি দিতে গিয়ে ছয়টি প্রতিষ্ঠান পেয়েছে,” জানান তিনি।

 

যে প্রতিষ্ঠানগুলো মালিকানা দাবি করা হচ্ছে, সেগুলো হলো—গ্রামীণ টেলিকম, গ্রামীণ কল্যাণ, গ্রামীণ মৎস্য ও পশুসম্পদ ফাউন্ডেশন, গ্রামীণ সামগ্রী, গ্রামীণ ফান্ড, গ্রামীণ শক্তি ও গ্রামীণ উদ্যোগ।

 

সাইফুল বলেন, “ড. মুহাম্মদ ইউনূস গ্রামীণ ব্যাংকের চেয়ারম্যান থাকা অবস্থাতেই এই প্রতিষ্ঠানগুলো তৈরি হয়েছে এবং তার আর্টিকেল অব অ্যাসোসিয়েশনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানগুলোর চেয়ারম্যান ও নির্দিষ্ট সংখ্যক পরিচালক মনোনয়ন দেওয়ার ক্ষমতা গ্রামীণ ব্যাংকের হাতে দেওয়া হয়েছে।”

 

প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে ড. ইউনূস অভিযোগ করেছেন, বর্তমানে সরকার নিযুক্ত ব্যক্তিদের দ্বারা পরিচালিত তাঁর প্রতিষ্ঠিত গ্রামীণ ব্যাংকই তাঁর ১৮টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে আটটির ফটকে জোরপূর্বক তালা লাগানো হয়েছে।