ই-পেপার | শনিবার , ২৯শে জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

শ্রীমঙ্গলে মাটি বহনকারী ট্রাক চলাচলের কারণে রাস্তার বেহাল অবস্থা

সালেহ আহমদ (স’লিপক):

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার একটি আবাসিক এলাকার মাটির কাঁচা রাস্তা দিয়ে মাটি বহনকারী ট্রাক চলাচলের ফলে কাঁচা রাস্তাটি বেহাল অবস্থায় দাঁড়িয়েছে। ছোট রাস্তায় ভারি ট্রাক চলাচলের কারণে রাস্তার পাশে সরকারিভাবে নির্মিত গাইড ওয়ালটিও বিভিন্ন জায়গায় হেলে পড়েছে। কোথাও কোথাও ভেঙ্গেও গেছে।

 

উপজেলার ৩নং শ্রীমঙ্গল ইউনিয়নের সবুজবাগ এলাকার সরকার পাড়া থেকে হাইল হাওর যাওয়ার রাস্তায় এমনটাই দেখা যায়। এ বিষয়ে গতকাল ২৫ ফেব্রুয়ারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে একটি অভিযোগ দিয়েছেন স্থানীয়রা।

 

অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, সরকার পাড়া থেকে হাইল হাওরে যাওয়ার পথে পিযুষ পালের বাড়ির উঠোন ও একটি জলাশয় ভরাট করার জন্য গত ২ ফেব্রুয়ারী থেকে ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ইং পর্যন্ত এই কাঁচা রাস্তা দিয়ে ট্রাকে করে মাটি নেয়া হচ্ছিলো। মাটি বহনকারী ট্রাক যাতায়াতের কারণে চলাচলের রাস্তাটির বিভিন্ন জায়গায় গর্ত ও কাদামাটি তৈরী হওয়ায় স্থানীয়রা ট্রাক চালক ও মাটি ভরাটের কাজে নিয়োজিত ঠিকাদার ধিরু মালাকারকে এই রাস্তা নষ্ট না করার জন্য অনুরোধ জানান। কিন্তু ঠিকাদার বলে যে, সে নাকি প্রশাসনের অনুমতি নিয়েই কাজ করছে। রাস্তার কোথাও যদি কোন সমস্যা হয় তাহলে পুরো রাস্তাটি সে ঠিক করে দিবে।

 

মাটির কাঁচা রাস্তার উপর মাটি বহনকারী ট্রাক চালানোর ফলে এখন রাস্তার পাশের সরকারি ভাবে নির্মিত গাইড ওয়ালটি বিভিন্ন জায়গায় ভেংগে গেছে ও হেলে পরেছে এবং রাস্তায় অনেক গর্ত তৈরী হয়েছে। এখন এই রাস্তা কেউ ব্যবহার বা হাটাচলা করতে পারছে না। কোন রোগী অসুস্থ হলে বাসা থেকে বের করা খুবই কষ্টসাধ্য ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখানে ঠিকাদার আসলেই প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে রাস্তা নষ্ট করে জলাশয় ভরাট করেছে কিনা সেটা স্থানীয়দের জানা নেই।

 

এ ব্যাপারে জানতে অভিযুক্ত ঠিকাদার ধিরু মালাকারকে একাধিকবার কল দিলেও সে ফোন ধরেননি।
শ্রীমঙ্গল উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সন্দ্বীপ তালুকদার অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আমি ঠিকাদার ধিরু মালাকারকে একাধিক বার ফোন দিয়েছি। সে ফোন ধরেনি। আমরা বিষয়টি দেখছি। আমাদের লোকজন ঘটনাস্থলে যাবে। আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

এই বিভাগের সর্বাধিক পঠিত রিপোর্ট