ই-পেপার | শুক্রবার , ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

পোশাকশিল্প ও তথ্যপ্রযুক্তিখাতে বিনিয়োগের সম্ভাবনা ব্যাপক পরিবেশমন্ত্রী

মোহাম্মদ ওসমান চৌধুরী,সংযুক্ত আরব আমিরাত:

পোশাকশিল্প ও তথ্যপ্রযুক্তিখাতে বিনিয়োগের সম্ভাবনা ব্যাপক পরিবেশমন্ত্রী,সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবেশমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশের নধ্যয়নযোগ্য জ্বালানী, পর্যটন, তৈরী পোশাকশিল্প, পাটজাত, চামড়াজাত শিল্প ও তথ্যপ্রযুক্তিখাতে ব্যাপক বিনিয়োগ সম্ভাবনা রয়েছে। সংযুক্ত আরব আমিরাত সরকার, আমিরাতের ব্যবসায়ী এবং প্রবাসী বাংলাদেশী ব্যবসায়ীদের আহবান জানাচ্ছি বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য। বর্তমান সরকার বিনিয়োগকারীদের সব সুবিধা প্রদানে বদ্ধপরিকর।”

সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইস্থ বাংলাদেশ কনসুলেট জেনারেল কর্তৃক “বাংলাদেশে বিনিয়োগ সম্ভাবনা: পরিপ্রেক্ষিত তথ্যপ্রযুক্তির রুপান্তর ও উদ্ভূত সমস্যা এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের করনীতির সাম্প্রতিক নির্দেশনা” এর ওপর একটি সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

রবিবার (৫ মে) রাতে দুবাই বেস্ট ওয়েস্টার্ণ পার্ল ক্রীক হোটেলের ব্যাংকুয়েট হলে এই সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ কনস্যুলেট, দুবাই ও উত্তর আমিরাতের আয়োজনে অত্যন্ত সময়োপযোগী এই সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী।

সংযুক্ত আরব আমিরাতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আবু জাফর উক্ত সেমিনারে সম্মানিত অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশ কনস্যুলেট, দুবাই-এর কনসাল জেনারেল বি এম জামাল হোসেনের সভাপতিত্বে ও দূতালয় প্রধান আশফাক হোসাইনের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত এই সেমিনারে সংযুক্ত আরব আমিরাতে বসবাসরত বাংলাদেশের ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিকবৃন্দ, ভারত ও শ্রীলংকার ব্যবসায়ীসহ প্রায় দু’ শতাধিক আমন্ত্রিত অতিথি উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের বিনিয়োগ সম্ভাবনার বিভিন্ন ক্ষেত্র তথা পর্যটন, নবায়নযোগ্য জ্বালানী, তৈরি পোশাকশিল্প, পাটজাত ও চামড়াজাত শিল্প, তথ্যপ্রযুক্তিখাতসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিনিয়োগের প্রভূত সম্ভাবনার বিষয়গুলো তুলে ধরা হয়।

উক্ত সেমিনারে পাওয়ারপয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে সংযুক্ত আরব আমিরাতের করণীতির সাম্প্রতিক পরিবর্তনসমূহ, এর প্রভাব ও করণীয় সম্পর্কে বিষয়বস্তু উপস্থাপন করেন ডি টেমপিট লিমিটেডের সহপ্রতিষ্ঠাতা এবং আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন চার্টাড একাউন্টেন্ট মিস মোহসেনা খানম। এরপর তথ্যপ্রযুক্তির রুপান্তর, উদ্ভূত সমস্যা ও করণীয় সম্পর্কে বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের হুয়ায়ে টেক এর সিইও শাহরিয়ার পাভেল।

অতঃপর বাংলাদেশের বিনিয়োগ সম্ভাবনার বিভিন্ন ক্ষেত্র সম্পর্কে বিষয়বস্তু উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ কনস্যুলেট, দুবাইয়ের কমার্শিয়াল কাউন্সেলর আশীষ কুমার সরকার। তিন সম্পদব্যক্তির উপস্থাপনা শেষে উন্মুক্ত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর আমন্ত্রিত ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের মধ্য থেকে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিল দুবাইর সভাপতি মাহাতাবুর রহমান নাসির সিআইপি।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, “বাংলাদেশের নধ্যয়নযোগ্য জ্বালানী, পর্যটন, তৈরি পোশাকশিল্প, পাটজাত ও চামড়াজাত শিল্প, তথ্যপ্রযুক্তিখাতে ব্যাপক বিনিয়োগ সম্ভাবনা রয়েছে। সংযুক্ত আরব আমিরাত সরকার, আমিরাতের ব্যবসায়ী এবং প্রবাসী বাংলাদেশী ব্যবসায়ীদের আহবান জানাচ্ছি বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য। বর্তমান সরকার বিনিয়োগকারীদের সব সুবিধা প্রদানে বদ্ধপরিকর।”

রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আবু জাফর বর্তমান সরকারের গৃহীত কিছু বিনিয়োগবান্ধব পদক্ষেপের কথা উল্লেখপূর্বক সবাইকে বাংলাদেশে বিনিয়োগের অনুরোধ করেন এবং বর্তমান সরকারের অধীনে বাংলাদেশের প্রভূত উন্নয়নের বিষয় বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে তুলে ধরার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

সমাপনী বক্তব্যে কনসাল জেনারেল বি এম জামাল হোসেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের “সোনার বাংলা” এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত রূপকল্প-২০৪১ বাস্তবায়নে সবাই এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। তিনি উপস্থিত সবাইকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন এবং দেশের উন্নয়নে সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে সচেষ্ট হওয়ার আহবান জানান।