মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, ময়মনসিংহ:
ময়মনসিংহ নগরীসহ বিভিন্ন বাজারে বেড়েছে ডিম, ডাল ও গরুর মাংসের দাম। কিছু কিছু সবজির দামও পাল্লা দিয়ে বাড়ছে। কিছুতেই রোখা যাচ্ছে না পেঁয়াজের দাম। রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নগরীর বিভিন্ন বাজারে গিয়ে এ তথ্য জানা যায়।
নগরীর মেছুয়াবাজারে এক হালি দেশি মুরগির ডিমের হালি বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকায়। হাসের ডিম ৭৫ টাকা ও ব্রয়লার মুরগির ডিম ৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ওই বাজারের ডিম বিক্রেতা নিতাই পাল বলেন, বাজারে দেশি মুরগির ডিম একেবারেই নেই। গতকাল কিশোরগঞ্জ থেকে ১৫০টি ডিম নিয়ে এসেছি।
একই বাজারের বিক্রেতা বিপাল বাবু বলেন, বাজারে ডালের সরবরাহ কম। গত দুই সপ্তাহে সব ধরনের ডালের দাম ১০-২০ টাকা করেছে বেড়েছে। তিনি বলেন, বড় মসুর ডাল ১১০ টাকা, ছোট মসুর ডাল ১৪০ টাকা, ছোলা বুট ১০০ টাকা, মটর ৮০ টাকা, বুটের ডাল ১১০ টাকা, মুগডাল ১৮০ টাকা, মাসকলাই ডাল ১৮০ টাকা, প্যাকেট আটা ৫৫ টাকা, খোলা আটা ৪৫ টাকা, খোলা লবণ ২৫ টাকা, প্যাকেট লবণ ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
একই বাজারের মাংস বিক্রেতা জয়নাল মিয়া বলেন, সম্প্রতি গরুর মাংস ৬৫০ টাকা থেকে ৬৮০ টাকা বিক্রি করেছি। গত দুই সপ্তাহ ধরে আবারও গরুর মাংসের দাম বেড়ে ৭৫০ টাকা হয়েছে। খাসির মাংস ১৫০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।
ব্রহ্মপুত্র নদ পাড়ের রিকশাচালক সফিকুল বলেন, সন্তানরা গরুর মাংস খাওয়ার বায়না ধরেছে। তাই, মাংস কিনতে বাজারে এসেছি। সারাদিন যা রোজগার করেছি সেটা এক কেজি গরুর মাংসের দামই হয়নি। তাই, আধা কেজি কিনেছি।
ওই বাজারের মাছ বিক্রেতা শফিকুল ইসলাম বলেন,বাজারে মাছের সরবরাহ কম থাকায় দেশি মাছে ১০-১৫ টাকা বেড়েছে। বাজারে বাতাসি এক হাজার ৪০০ টাকা, নদীর পোয়া ৫০০ টাকা, কাকিলা ৭০০ টাকা, গুলশা ৮০০ টাকা, বাইম এক হাজার ২০০ টাকা, বড় বোয়াল এক হাজার টাকা, বড় আইড় এক হাজার টাকা, দেশি চিংড়ি এক হাজার ২০০ টাকা, ছোট কাতল ৩৫০ টাকা, মলা ৩৬০ টাকা, পাবদা ৩০০ টাকা, ব্রিগেড ৫৫০ টাকা, শিং ৫০০ টাকা, তেলাপিয়া ২২০ টাকা, গ্লাস কার্প ২৮০ টাকা, রুই ৩০০ টাকা, সিলভার ২০০ টাকা, পাঙাশ ১৭০-১৮০ টাকা ও বড় কই ৩০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
পেয়াজ বিক্রেতা সুধির বসাক বলেন, পেঁয়াজ কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে ১১০ টাকা, ইন্ডিয়ান রসুন ২০০ টাকা, দেশি রসুন ১৬০ টাকা, বড় আলু ৩০ টাকা কেজি, আদা ১৮০ টাকা, কাঁচা মরিচ ৫০ টাকা, সবজি বিক্রেতা মো. হযরত আলী বলেন, বেগুন ৫০ টাক, সিম ৫০ টাকা, কাচা মটর ৯০ টাকা, গাজর ২৫ টাকা, টমেটো ৩০ টাকা, ছোট মিষ্টি লাউ ৫০ টাকা পিস, লাউ ৫০ টাকা, ফুলকপি ৪০ টাকা, করলা ২০ টাকা বেড়ে ১০০ টাকা, ফুলকপি ৪০ টাকা, মোলা ২০ টাকা, পেঁপে ৪০ টাকা, বরবটি ১৮০ টাকা, সাজনা ২০০ টাকা, চিচিঙা ১০ টাকা বেড়ে ৮০ টাকা, কুমড়া ৭০ টাকা পিস, শসা ১০ টাকা ৭০ টাকা, কাঁচা কলা ৩০ টাকা।
মমিনুল ইসলাম নামের আরেক ব্যবসায়ী বলেন, ব্রয়লার মুরগির সরবরাহ কম। তাই কেজিতে এর দাম ২০ টাকা করে বেড়েছে। ২০-৩০ টাকা করে কমেছে লেয়ার ও সাদা কক। দেশি মুরগির দামও কেজিতে ৩০ টাকা বেড়েছে।