ই-পেপার | বৃহস্পতিবার , ২১শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

মিয়ানমারের ১৪ সীমান্তরক্ষী পালিয়ে বাংলাদেশে

নিজস্ব প্রতিবেদক:

কক্সবাজার: আরাকান আর্মির যোদ্ধাদের আক্রমণে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) ১৪ জন সদস্য বান্দরবানে আশ্রয় নিয়েছেন। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) তুমব্রু ফাঁড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন তারা।

এদিকে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি ও কক্সবাজারের উখিয়া সীমান্তের ওপারে গোলাগুলির ঘটনায় সীমান্ত এলাকায় দুই বাংলাদেশি গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তারা হলেন – তুমব্রু হিন্দু পাড়ার পবীন্দ্র ধর (৬৫) ও কোনারপাড়ার এক নারী।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার ৩৪ বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়ানের অধিনায়ক লেফটেনেন্ট কর্নেল আব্দুল্লাহ আল মাশরাকী।

তিনি বলেন, মিয়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশের ফাঁড়ি দখলে নিয়েছে আরাকান আর্মির যোদ্ধারা। এসময় বিজিপির ১৪ জন সদস্য সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে এসে আশ্রয় নিয়েছেন। তাদের থেকে অস্ত্র নিয়ে নিরাপদ স্থানে রাখা হয়েছে। আন্তর্জাতিক বিধান অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

স্থানীয়রা জানান, আজ রোববার সকাল থেকে নাইক্ষ্যংছড়ি ও উখিয়ার পালংখালী সীমান্তের ওপার থেকে গোলাগুলির শব্দ ভেসে আসছে। এতে আতঙ্কে রয়েছে সীমান্ত এলাকার বাসিন্দারা। ঘুনধুমের তুম্ব্রু এলাকার অনেকেই ঘর বাড়ি ও দোকানপাট বন্ধ করে নিরাপদে সরে পড়েছেন।

 

নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুনধুম সীমান্ত এলাকার বাসিন্দারা জানান, গতকাল শনিবার রাতে সীমান্তের ওপারে মিয়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) ৩৪ নম্বর রাইট ক্যাম্প দখলে নিতে আরাকান আর্মি হামলা চালায়। এরপর শুরু হয় দুপক্ষের মধ্যে তীব্র লড়াই। মুহুর্মুহু গোলাগুলি ও মর্টার শেল নিক্ষেপের শব্দ শোনা যায়। যুদ্ধের এক পর্যায়ে রাতে মিয়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশের ১৪ জন সদস্য বাংলাদেশে পালিয়ে এসে বিজিবির তুমব্রু ফাঁড়িতে আশ্রয় নেয়।

ঘুনধুম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ জানান, শনিবার বিকেলে এবং রাতে সীমান্তের ওপারে রাখাইনের তুমব্রু রাইট পিলার ক্যাম্প এলাকা থেকে এলোপাতাড়ি ফায়ারিং শোনা যায়। সীমান্ত সংলগ্ন গ্রামবাসীরা ওপারের দুপক্ষের লড়াইয়ে আতঙ্কে রয়েছেন।

উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গফুর উদ্দিন জানিয়েছেন, গতকাল শনিবার ও আজ রোববার সকাল থেকে সীমান্ত সংলগ্ন এলাকায় তীব্র গোলাগুলির শব্দ শুনা যাচ্ছে।

সীমান্তের বিভিন্ন সূত্র বলছে, মিয়ানমারের রাখাইনে চলমান সংঘাতে নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন জান্তা বাহিনীর প্রায় সব ক্যাম্প দখল করে নিয়েছে সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি। গতকাল শনিবার রাতে দখল করেছে তুমব্রু ৩৪ নম্বর রাইট ক্যাম্প।