ই-পেপার | রবিবার , ২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

আবারও বেড়েছে পেঁয়াজের দাম

নিজস্ব প্রতিনিধি

ঢাকা: উচ্চমূল্যে কিছুদিন স্থিতিশীল থাকার পর রাজধানীর বাজারগুলোতে আবারও বেড়েছে পেঁয়াজের দাম। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে প্রায় ৫ থেকে ১৫ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে সব ধরনের পেঁয়াজের দাম।

তবে আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজ আগের মতোই আছে।
সোমবার (২৯ জানুয়ারি) রাতে রাজধানীর কারওয়ান বাজারের পাইকারি পেঁয়াজের বাজার ঘুরে দেখা যায়, বর্তমানে ছোট সাইজের প্রতিকেজি পাবনার পেঁয়াজ ৮৬ থেকে ৮৮ টাকা ও বড় আকারের পেঁয়াজ ৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা গত সপ্তাহে ছিল যথাক্রমে ৮০ থেকে ৮২ টাকা ও ৮২ থেকে ৮৪ টাকা।

গত সপ্তাহে ৭০ থেকে ৭৫ টাকায় কেজি বিক্রি হওয়া ফরিদপুরের পেঁয়াজ ৮৪ থেকে ৮৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতিকেজি রাজশাহীর পেঁয়াজ ৮২ থেকে ৮৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা গত সপ্তাহে ৭৮ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। গত সপ্তাহে ৮০ থেকে ৮২ টাকায় বিক্রি হওয়া মানিকগঞ্জের পেঁয়াজ ৮৬ থেকে ৮৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এ ছাড়া ভারতীয় পেঁয়াজ আগের দামে ১১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে ভারতীয় যে পেঁয়াজটি বাংলাদেশে উৎপাদন হয় সেটি ৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে, যা গত সপ্তাহে ছিল ৮৫ থেকে ৮৭ টাকা। চীন থেকে আমদানি করে পেঁয়াজ ৬০ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা গত সপ্তাহে ছিল ৫৫ থেকে ৬০ টাকা। খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম এর থেকে আরও অনেক বেশি।

ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ ঘোষণার পর বাংলাদেশের বাজারে হু হু করে বাড়তে থাকে পেঁয়াজের দাম। পরে নতুন দেশি মুড়িকাটা পেঁয়াজ বাজারে ওঠায় দাম কিছুটা কমে স্থিতিশীল হয়। এখন আবার দাম বাড়ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় এ পণ্যটির।

পেঁয়াজের আবার দাম বাড়ার কারণ জানতে চাইলে একেক বিক্রেতা এক এক রকম অজুহাত দেন। তবে প্রত্যেকেই বাজারে পেঁয়াজের সংকট ও ঘাটতির কথা জানান।

নূরুল ইসলাম নামে কারওয়ান বাজারের এক বিক্রেতা বাংলানিউজকে বলেন, গত কয়েকদিন ঠাণ্ডার কারণে কৃষকরা মাঠ থেকে পেঁয়াজ কম তুলছেন। যার কারণে বাজারে পেঁয়াজের কিছুটা ঘাটতি দেখা দিয়েছে। প্রয়োজনীয় চাহিদা পূরণ না হওয়ায় দাম বাড়ছে। আবহাওয়ার পরিবর্তন হলে আবার দাম কমে আসবে বলে জানান এ বিক্রেতা।

মো. বাবলু মিয়া নামে আরেক বিক্রেতা বলেন, মুড়িকাটা পেঁয়াজের মৌসুম প্রায় শেষের দিকে। আর হয়তো বড়জোর এক মাস এ পেঁয়াজ বাজারে পাওয়া যাবে। এ কারণে বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ কম, দাম বেশি। এক মাস পর নতুন পেঁয়াজ উঠলে তখন হয়তো আবার দাম কমতে পারে। তবে এখন দাম বাড়বে, কমবে না।

একই কথা জানান খান অ্যান্ড সন্স বাণিজ্যালয়ের ব্যাপারি মনসুর রহমান। তিনি বলেন, আজও পাবনা থেকে প্রতিকেজি পেঁয়াজ ৮২ টাকা করে কিনেছি। এ পেঁয়াজ পরিবহন ও লেবার খরচ দিয়ে ঢাকায় আনতে আনতে ৮৫ টাকা পড়ে যায়। তারপর আমরা খুবই সামান্য লাভে বিক্রি করি। পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতারা তো আরও কিছু বেশি দামে বিক্রি করবেই।

ভারতীয় পেঁয়াজের ওপর নির্ভর করে দেশি পেঁয়াজের দাম ওঠা-নামা করে উল্লেখ করে তিনি মনসুর রহমান বলেন, সিলেট ও চট্টগ্রামের মানুষরা সাধারণত ভারতীয় পেঁয়াজ খায়। ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ হওয়ার পর সেই পুরো চাপটা পড়ছে দেশি পেঁয়াজের ওপর। দেশি মুড়িকাটা পেঁয়াজ থাকে বড়জোর তিন মাস। এ পেঁয়াজ এখন শেষের দিকে। যে কারণে বাজারে পেঁয়াজের ঘাটতি দেখা দিচ্ছে ও দাম বাড়ছে।