ই-পেপার | রবিবার , ২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

কৃষি ও কৃষক বাঁচাতে বন্ধ করতে হবে কৃষি জমির টপ সয়েল কাটার মহোৎসব- লায়ন জাহেদুল করিম বাপ্পি সিকদার

প্রেস বিজ্ঞপ্তি:
চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে সামনে সমাজ উন্নয়নমূলক ও পরিবেশবাদী সেচ্ছাসেবী সংগঠন আরকেএস ফাউন্ডেশন (রেজাউল করিম সিকদার ফাউন্ডেশন) ও রেজাউল করিম সিকদার যুব সোসাইটি’র উদ্যোগে আবাদী জমির টপ সয়েল কাটা, পরিবেশ দূষণ, জীব বৈচিত্র্য জীবন রক্ষার্থে এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়।

শনিবার (২০ ফেব্রুয়ারী ) সকাল ১১টায় কৃষিবিদ কাজী গোলাম মোস্তফা’র সভাপতিত্বে ও সাংবাদিক ও পরিবেশ আন্দোলন কর্মী মুজিব উল্ল্যাহ্ তুষারের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহ সভাপতি ও চ্যানেল আই’র ব্যুরো প্রধান চৌধুরী ফরিদ। আরকেএস ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক লায়ন জাহেদুল করিম বাপ্পি সিকদার।

প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, দেশে ফসলি জমি কমে আসছে। সেটি হওয়া মানে খাদ্যের উৎপাদনও কমে যাওয়া। আমরা দিন দিন আমদানি নির্ভর দেশ হয়ে উঠছি। দুর্যোগ- মহামারিতে এর বিরুপ প্রতিক্রিয়া আমরা দেখেছি। যে কারণে সরকার থেকে বারবার বলা হচ্ছে, কোন আবাদি জমি যাতে পতিত না থাকে। এখন সেই ফসলি জমির মাটিই যদি কেটে নেওয়া হয়, তাহলে চাষাবাদ বা খাদ্য উৎপাদন হবে কী করে।

মানববন্ধনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন আরকেএস ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক লায়ন জাহেদুল করিম বাপ্পি সিকদার বলেন, কৃষি ও কৃষক বাঁচাতে বন্ধ করতে হবে কৃষি জমির টপ সয়েল কাটার মহোৎসব। মাটি কাটার মৌসুমে গ্রামের জনসাধারণকে সচেতন করতে হবে জমির উপরি ভাগের ৬ থেকে ১৮ ইঞ্চির মধ্যেই থাকে সব ধরণের জৈব গুনাগুন। অথচ এটাই কেটে নেয়া হচ্ছে। ফলে এসব জমির উৎপাদনশীলতা হ্রাস পাচ্ছে আশাস্কাজনক হারে। চট্টগ্রামের ১৪ উপজেলায় প্রায় ৪ শতাধিক ইটভাটা রয়েছে। মূলত এসব ইট ভাটার জন্য প্রয়োজন হয় মাটি। প্রশাসন কর্তৃক ইটভাটার জন্য পুকুর ও অনাবাদি জমির মাটি কাটার অনুমতি রয়েছে। কিন্তু তারা তা না করে ফসলি জমির টপ সয়েল দেদার কাটছে, এতে একদিকে যেমন ধ্বংস হচ্ছে কৃষিজমি এবং জমির কমছে উর্বরতা অন্যদিকে প্রাকৃতিক পরিবেশ চরম হুমকির মুখে।

মানববন্ধনে স্থানীয় কৃষকেরা বলেন, গত দুই দশক ধরে ফসিল জমিতে ধান, মরিচ, সরিষা, পেঁয়াজ, রসুন, পাট, সয়াবিন, কালো জিরা ও শাকসবজি উৎপাদন করছে। কিন্তু স্থানীয় একটি চক্র এসব ফসলি জমি থেকে রাতের আঁধারে মাটি কেটে ইটভাটায় বিক্রি করে দিচ্ছে। স্থানীয় কয়েকজন অসাধু ব্যক্তি নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্য আমাদের ফসলি জমির মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে। আমরা এ ধরনের কাজের প্রতিবাদ জানাই। এ সময় কৃষক রাব্বি মিয়া বলেন, ‘আমরা কৃষিকাজ করে খাই। আমাদের আর কোনো উপায় নেই। আমাদের ফসলি জমি নষ্ট হলে পথে বসতে হবে। সরকারের কাছে আমরা মাটি কাটা বন্ধের দাবি জানাই।’

মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন- মানবাধিকার কর্মী আবসার উদ্দিন অলি, মাহবুবুর রহমান সুজন, মো. মহিউদ্দিন ছগীর, মীর মুহাম্মদ জাফর ছাদেক নয়ন, আসহাব উদ্দিন, লিও জান্নাতুল নাঈম নিশি অর্ধশতাধিক পরিবেশ আন্দোলন কর্মী, শিক্ষক, সাংবাদিক ও কৃষকসহ প্রমুখ।