ই-পেপার | শনিবার , ২রা নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

১৩ বছরে কৃষিতে ভর্তুকি ৯৮ হাজার কোটি : সংসদে কৃষিমন্ত্রী

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক,সিএনএন বাংলা২৪:

জাতীয় সংসদে কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক বলেছেন, গত ১৩ বছরে সরকার কৃষিতে ৯৭ হাজার ৮৭৩ কোটি ৫৫ লাখ টাকা ভর্তুকি দিয়েছে। এর মধ্যে সারে ভর্তুকির ছিল ৯৫ হাজার ১৬১ কোটি ৫ লাখ এবং বিদ্যুতে এক হাজার ৯৬২ কোটি ৫০ লাখ টাকা।

রোববার (৪ জুন) জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকার দলীয় সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান কৃষিমন্ত্রী। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপন করা হয়।

কৃষিমন্ত্রীর জানান, ২০২১-২২ অর্থবছরে সর্বোচ্চ ১৫ হাজার ১৬৮ কোটি ১৫ লাখ টাকা ভর্তুকি দেওয়া হয়। এর মধ্যে সারে ১৪ হাজার ৯৪১ কোটি ৬০ লাখ এবং বিদ্যুতে ছিল ২২৬ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে সরকার কৃষিতে সর্বনিম্ন ভর্তুকি দেওয়া হয়। ওই বছর ৩ হাজার ৪৭০ কোটি ৯৪ লাখ টাকা ভর্তুকি দেওয়া হয়।

সরকার দলীয় সংসদ এ কে এম রহমতুল্লাহ’র আরেক প্রশ্নের জবাবে কৃষিমন্ত্রী জানান, ২০২২-২৩ অর্থবছরে কৃষিতে ভর্তুকির জন্য ১৬ হাজার কোটি বরাদ্দ রাখা হয়েছে।

বিশ্ববাজারে পরিস্থিতির কারণে এ ব্যয় আরও বৃদ্ধি পেতে পারে বলে মনে করেন আবদুর রাজ্জাক।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, উৎপাদন খরচ হ্রাসের পদক্ষেপ হিসেবে কয়েক দফায় সারের দাম কমিয়ে টিএসপি ৮০ হতে ২৭ টাকা, ডিএপি ৯০ হতে ২১ টাকা এবং এমওপি ৭০ টাকা থেকে ২০ টাকায় নির্ধারণ করেছে সরকার। রাসায়নিক সারের ভর্তুকি প্রদান অব্যাহত রাখার ফলে সর্বস্তরের কৃষক স্বল্প মূল্যে জমিতে সুষম সার প্রয়োগ করতে পারছেন। সারের পাশাপাশি বিদ্যুতে ২০ শতাংশ ভর্তুকি দেওয়া হয়। এছাড়া, কৃষি যান্ত্রিকীকরণের জন্য স্থানভেদে কৃষিযন্ত্রের ক্রয় মূল্যের ওপর ৫০ শতাংশ থেকে ৭০ শতাংশ ভর্তুকি প্রদানসহ বিভিন্ন সময়ে প্রণোদনা প্রদান করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, বর্তমানে দেশে একটি টেকসই সার বিতরণ ব্যবস্থাপনা নেটওয়ার্ক বিরাজমান থাকায় নিরবচ্ছিন্নভাবে সারসহ কৃষি উপকরণ ভর্তুকি মূল্যে সরবরাহ করা যাচ্ছে। কৃষক সঠিক সময়ে সুলভ মূল্যে সার পাওয়ায় ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং দেশ খাদ্য-শস্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে।

 

এইচ এম কাদের,সিএনএন বাংলা২৪: