ই-পেপার | শুক্রবার , ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

হলফনামায় চট্টগ্রামের ৮ প্রার্থীর সম্পদের তথ্য

নিজস্ব প্রতিবেদক , চট্টগ্রাম:

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমাদানকারী চট্টগ্রামের ৮ জন প্রার্থীর হলফনামায় আয়-ব্যয়ের হিসাবসহ সম্পদ বিবরণী বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, কারও সম্পদ ও আয় বেড়েছে। কারও স্ত্রীর সম্পদ বেশি, আবার কারও দেনা রয়েছে।

নদভীর এফডিআর ২ কোটি ২৮ লাখ ৮৭ হাজার ২২০ টাকা

চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হলফনামায় পেশা উল্লেখ করেছেন অধ্যাপক ও আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বোর্ড অব ট্রাস্টিজ এর চেয়ারম্যান। শিক্ষাগত যোগ্যতা দেখিয়েছেন এমএ, পিএইচডি।

তিনি আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্মানি ভাতা দেখিয়েছেন ১ কোটি ৩৭ লাখ ৬১ হাজার ৪৪২ টাকা, জাতীয় সংসদ থেকে প্রাপ্ত ভাতা দেখিয়েছেন ২৩ লাখ ১৫ হাজার ৭০৭ টাকা। নিজের নামে নগদ টাকা আছে ৪ লাখ ৫৮ হাজার ৯৪১ টাকা, স্ত্রীর নামে আছে ২০ লাখ ২১ হাজার ২৪৬ টাকা, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে নিজ নামে জমা ১ কোটি ৬৪ লাখ ৯৬ হাজার ৩৪৪ টাকা, স্ত্রীর নামে রয়েছে ১৩ লাখ ৪১ হাজার ৯৫ টাকা। নিজের নামে ব্যাংক ডিপিএস ২ লাখ ৭২ হাজার ৯৯৪ টাকা, এফডিআর ২ কোটি ২৮ লাখ ৮৭ হাজার ২২০ টাকা, স্ত্রীর নামে ডিপিএস ৭ লাখ ৯৮ হাজার ৭৮ টাকা, এফডিআর ১৮ লাখ ৯৩ হাজার ৮৭৬ টাকা। এছাড়া বাস, ট্রাক, মটরগাড়ির মূল্য দেখিয়েছেন ১ কোটি ৮৮ লাখ ৫২ হাজার ১৬৬ টাকা, নিজের নামে ৯০ ভরি স্বর্ণ ও অন্যান্য ধাতুর মূল্য দেখিয়েছেন ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা, স্ত্রীর নামে ৫০ ভরি স্বর্ণের দাম দেখিয়েছেন ৫ লাখ টাকা, ইলেকট্রনিক সামগ্রী নিজ নামে ৪ লাখ টাকা, স্ত্রীর নামে ১ লাখ টাকা, আসবাবপত্র নিজ নামে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং স্ত্রীর নামে দেখিয়েছেন এক লাখ টাকা। এছাড়া নিজের নামে অন্যান্য আয় দেখিয়েছেন ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা।
নজরুল ইসলাম চৌধুরীর বাৎসরিক আয় ৫৩ লাখ ৯৬ হাজার ৫৮৭ টাকা

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দাখিলকৃত হলফনামায় চট্টগ্রাম-১৪ (চন্দনাইশ) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী নজরুল ইসলাম চৌধুরী উল্লেখ করেছেন, তাঁর বাৎসরিক আয় প্রায় ৫৩ লাখ ৯৬ হাজার ৫৮৭ টাকা। তিনি ও তাঁর স্ত্রীর কাছে নগদ আছে প্রায় ২২ লাখ টাকা। ব্যাংকেও জমা কম। তবে কোম্পানিতে নিজ নামে শেয়ার আছে প্রায় ৩০ লাখ টাকার। বাৎসরিক আয়ের মধ্যে তিনি বাড়ি-দোকান ভাড়া বাবদ বছরে আয় করেন ৮ লাখ ৪০ হাজার টাকা, ব্যবসা থেকে আয় হয় ৬ লাখ ৩৬ হাজার টাকা এবং শেয়ার, সঞ্চয়পত্র/ব্যাংক আমানত থেকে পান ১১ লাখ ৬৩ হাজার ১৮০ টাকা ও জাতীয় সংসদ সদস্য হিসেবে সম্মানী ভাতা পান ২৬ লাখ ৪৭ হাজার ৩৩২ টাকা। অস্থাবর সম্পত্তির মধ্যে রয়েছে ১১ লাখ ৬৭ হাজার ২৯২ টাকা ও স্ত্রীর নামে নগদ টাকা রয়েছে ১০ লাখ ২৬ হাজার ৯৩২ টাকা। তার নামে ব্যাংকে জমা ১ লাখ ৬২ হাজার ৫৮৪ টাকা। কোম্পানীতে শেয়ার রয়েছে নিজ নামে ৩২ লাখ ১৫ হাজার ৭৬০ টাকা, স্ত্রীর নামে ৭৫ হাজার টাকা। নিজের নামে ১ কোটি ৬ লাখ ৮০ হাজার টাকা মূল্যের গাড়ি রয়েছে। স্বর্ণালংকার রয়েছে নিজ নামে ২৫ হাজার টাকা ও স্ত্রীর নামে ৫০ হাজার টাকা। কোনো ইলেক্ট্রনিক সামগ্রী নেই। অংশীদারী কারবারে মূলধন ও লাইফ পলিসি রয়েছে নিজ নামে ২৭ লাখ ১৬ হাজার টাকার ও স্ত্রীর নামে ১৬ লাখ ৬০ হাজার ৭৯৫ টাকার। স্থাবর সম্পত্তি পরিমাণ ২ কোটি ৫৮ লাখ ৭১ হাজার ৫৬৫ টাকা। এর মধ্যে রয়েছে ১ কোটি ৩৩ লাখ ৪৬ হাজার ৯১০ টাকা মূল্যের কৃষি জমি, ৪২ লাখ ৫৩ হাজার ৯৪০ টাকা মূল্যের অকৃষি জমি ও ৮২ লাখ ৭০ হাজার ৭১৫ টাকা মূল্যের দালান। স্ত্রীর নামেও রয়েছে প্রায় ৬৭ লাখ ৩৪ হাজার টাকা মূল্যের অস্থাবর সম্পত্তি। ব্যাংক থেকে লোন নিয়েছেন ৫৩ লাখ ৪২ হাজার ৯৬১ টাকা।

মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরীর বাৎসরিক আয় ৫০ হাজার টাকা

চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) সংসদীয় আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হলফনামায় শিক্ষাগত যোগ্যতা উল্লেখ করেছেন বি.এ। কৃষিখাত থেকে বাৎসরিক আয় ৫০ হাজার টাকা, বাড়ি/অ্যাপার্টমেন্ট/দোকান ও অন্যান্য ভাড়া পান বছরে ১০ লাখ ৮৮ হাজার টাকা। নগদ নিজ নামে ৩৩ লাখ ৫১ হাজার ৯৯২ টাকা এবং স্ত্রীর নামে ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা। ১টি নোহা গাড়ি আছে ১৪ লাখ টাকার, স্বর্ণ নিজের ১০ হাজার ও স্ত্রীর ১৫ হাজার টাকার, ইলেক্ট্রনিক সামগ্রী ১ লাখ টাকার, আসবাবপত্র নিজের ১ লাখ টাকা ও স্ত্রীর ১০ হাজার টাকার। স্থাবর সম্পদ কৃষি জমি নিজ নামে ২১৮.৫০ শতক ও স্ত্রীর নামে ১১.৫ একর, অকৃষি জমি ৬০ শতকে ৩ কলা বিশিষ্ট দালানের দাম ৭৬ লাখ ৮৭ হাজার ৫০০ টাকা, স্ত্রীর নামে ১.২৪ একরে পাকা বাড়ির দাম ৪৭ লাখ ৪৮ হাজার ৫০০ টাকা, স্ত্রীর নামে ৯টি দোকানের দাম ২০ লাখ টাকা। দোকান ঘর লাগিয়ত বাবদ অগ্রিম নিয়েছেন ৬ লাখ ৫ হাজার ১৯২ টাকা।

মাহফুজুর রহমান মিতার ৩৯ লাখ টাকার স্থাবর সম্পত্তি

চট্টগ্রাম-৩ (সন্দ্বীপ) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মাহফুজুর রহমান মিতার চেয়ে তাঁর স্ত্রীর সম্পদ বেশি। আছে গাড়ি-বাড়ি। আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দাখিলকৃত হলফনামায় এ তথ্য উল্লেখ করেছেন তিনি। ঢাকার পূর্বাচলে তাঁর নামে ২৩ লাখ টাকা দামের একটি ছয় কাটা ৭ ছটকা ও তিন কাঠার ২টি প্লট রয়েছে। পৈত্রিক সূত্রে পেয়েছেন ১১ লাখ টাকার ৫ একর ৩০ শতক কৃষি জমি। ৫ লাখ টাকা মূল্যের একটি বাড়ির মালিক তিনি। সব মিলিয়ে নিজ নামে প্রায় ৩৯ লাখ টাকার স্থাবর সম্পত্তি রয়েছে। তবে তাঁর স্ত্রীর নামের রয়েছে প্রায় ৩ কোটি ৬৪ লাখ টাকার স্থাবর সম্পত্তি। এর মধ্যে ঢাকায় প্রায় ২ কোটি ৭৮ লাখ টাকা মূল্যের ২টি ফ্ল্যাট। ঢাকার উত্তরায় ৪০ লাখ ২৫ হাজার টাকা মূল্যের ১টি প্লট। এছাড়া যৌথ মালিকানায় ঢাকার মতিঝিলে ৫ কাঠা জমির উপর নির্মিত বিল্ডিংয়ের ৫ ভাগের ২ অংশে মালিকানা রয়েছে তার। অস্থাবর সম্পত্তির মধ্যে ব্যবসার মূলধনসহ নিজ নামে নগদ টাকা রয়েছে প্রায় ১ কোটি ৮ লাখ টাকা। স্ত্রীর রয়েছে ৮৪ লাখ ৬৩ হাজার টাকা। ব্যাংকে জমা আছে ৩২ লাখ ২৭ হাজার টাকা। বন্ড, ঋণপত্র, স্টক এক্সচেঞ্জ খাতে ৪ কোটি ৯৯ লাখ ৭২ হাজার টাকা রয়েছে নিজ নামে। এই খাতে তার স্ত্রীরও রয়েছে ১ কোটি ৯৯ লাখ ২১ হাজার টাকা। এছাড়া গাড়ি রয়েছে ৮৯ লাখ ৯৭ হাজার টাকার ও স্ত্রীর রয়েছে ১ কোটি ৯ লাখ ৩০ হাজার টাকা মূল্যের। মাত্র ৮ হাজার টাকা মূল্যের স্বর্ণালংকার রয়েছে তার। তিনি ও তার স্ত্রীর সাড়ে ৪ লাখ টাকার ইলেক্ট্রনিক্স সামগ্রী এবং আসবাবপত্র আছে সাড়ে ৪ লাখ টাকার। অন্যান্য খাতে (ঋণ প্রদান, জমিতে অগ্রিম ও শটগান) নিজ নামে ১ কোটি ১৭ লাখ ৩৮ হাজার টাকা এবং স্ত্রীর রয়েছে ৮২ হাজার টাকা।

নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারীর বাৎসরিক আয় ৫৪ লাখ ৩৬ হাজার টাকা

চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) আসনের সংসদ সদস্য সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারীর বাৎসরিক আয় অর্ধকোটি টাকা। নিজে, স্ত্রী ও দুই সন্তানের নামে আছে ছয়টি গাড়ি। তবে গাড়িগুলো নিতে ব্যাংক ঋণ নিয়েছেন। হলফনামায় তিনি উল্লেখ করেন, ব্যবসা থেকে বছরে আয় হয় ২৬ লাখ ৪০ হাজার টাকা। শেয়ার, সঞ্চয়পত্র/ব্যাংক আমানত থেকে ৪ লাখ ৬৬ হাজার টাকা। জাতীয় সংসদ সদস্য হিসাবে সম্মানী পেয়েছেন বছরে প্রায় ২৩ লাখ ৩০ হাজার টাকা। সব মিলিয়ে বাৎসরিক আয় প্রায় ৫৪ লাখ ৩৬ হাজার টাকা। এছাড়া নগদ রয়েছে ১৭ লাখ ২হাজার টাকা ও বৈদেশিক মুদ্রা রয়েছে ১১ হাজার ৯৪ ইউরো। স্ত্রীর রয়েছে নগদ প্রায় ১৮ লাখ ২১ হাজার টাকা ও দুই ছেলের নামে ৩৭ লাখ ৯২ হাজার ৩৯ টাকা। নিজের নামে ব্যাংকে জমা ৫১ লাখ ৩৭ হাজার ৫৪৭টাকা। স্ত্রীর নামে ব্যাংকে রয়েছে মাত্র ১৪ হাজার ৮৭৫ টাকা ও দুই ছেলের নামে রয়েছে ৫ লাখ ৯০ হাজার ৯০১ টাকা। নিজ নামে শেয়ার রয়েছে ৬ লাখ টাকার। স্ত্রীর নামে রয়েছে ৪ লাখ টাকার ও দুই ছেলের নামে ১২ লাখ ৭০ হাজার টাকার শেয়ার। নিজের নামে এফডিআর রয়েছে প্রায় ৫৬ লাখ টাকা ও ছোট ছেলের নামে ৫৮ লাখ ৬১৩ টাকার এফডিআর। নিজের নামে ২টি গাড়ি, স্ত্রীর ১টি ও দুই ছেলের ৩টি গাড়ি রয়েছে। স্ত্রীর ১০ ভরি স্বর্ণালংকার। ব্যবসায়িক পুঁজি রয়েছে তার ১৯ লাখ ৩৪ হাজার টাকা। স্থাবর সম্পত্তি রয়েছে ৫৭ লাখ ৯৬ হাজার টাকা মূল্যের কৃষি জমি, গুলশান মডেল টাউনে ২৫ লাখ ২৫ হাজার টাকা মূল্যের ৫ কাঠা জমি ও ৫টি ফ্ল্যাট। হেবা সূত্রে পেয়েছেন ৮৫ লাখ ৯০ হাজার টাকা মূল্যের আরও ২টি ফ্ল্যাট এবং ফটিকছড়িতে পৈত্রিক বাড়ি ও ফ্ল্যাট রয়েছে। স্ত্রীর নামেও রয়েছে ২০ লাখ ৪৮ হাজার টাকা মূল্যের ১টি ফ্ল্যাট। তিনি ব্যাংক লোন নিয়েছেন ১৪ লাখ ৪৯ হাজার ৪০২ টাকা ও গাড়ির লোন নিয়েছে ৮ লাখ ৭১ হাজার ১০২ টাকা।

আব্দুল মোতালেবের বাৎসরিক আয় এক কোটি ৮৫ লাখ ৭৯ হাজার ৫১৬ টাকা

চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী, সাতকানিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল মোতালেব নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হলফনামায় শিক্ষাগত যোগ্যতা দেখিয়েছেন বিএসসি। এছাড়া তিনি ব্যবসা থেকে বাৎসরিক আয় দেখিয়েছেন এক কোটি ৮৫ লাখ ৭৯ হাজার ৫১৬ টাকা, বাড়ি-দোকান ও অন্যান্য বাবদ আয় ১৪ লাখ ৬০ হাজার টাকা, শেয়ার, সঞ্চয়পত্র, ব্যাংক আমানত থেকে ২০ হাজার ৬২৬ টাকা, পেশা থেকে (শিক্ষকতা, চিকিৎসা, আইন পরামর্শক ইত্যাদি) আয় ৯ লাখ ১০ হাজার টাকা, চাকরি (পরিচালক ভাতা) ১৮ লাখ টাকা, উপজেলা চেয়ারম্যান পদে আয় ৭ লাখ ৭ হাজার ৫৮৭ টাকা। পেশায় ব্যবসায়ী আব্দুল মোতালেবের নিজের নামে নগদ টাকা আছে ১ কোটি ৮৭ লাখ ১৪ হাজার ২০৭ টাকা, স্ত্রীর নামে আছে ৪৮ লাখ ৪৯ হাজার ৩৯৯ টাকা, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে নিজ নামে জমা ১৪ লাখ ৭০ হাজার ৩৮৪ টাকা, স্ত্রীর নামে রয়েছে ২৫ লাখ ৭৩ হাজার ৭৮৩ টাকা। এছাড়া বন্ড, ঋণপত্র, স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত ও তালিকাভুক্ত নয় এমন কোম্পানির ৬১ হাজার ৬৩৫ শেয়ারের মূল্য দেখিয়েছেন ৬১ লাখ ৬৩ হাজার ৫০০ টাকা, স্ত্রীর নামে ৫৯ হাজার ১৯৫ শেয়ারের মূল্য দেখিয়েছেন ৫৯ লাখ ১৯ হাজার ৫০০ টাকা, বাস, ট্রাক, মটরগাড়ির মূল্য দেখিয়েছেন ২৯ লাখ ২০ হাজার টাকা, স্বর্ণ ও অন্যান্য ধাতুর মূল্য দেখিয়েছেন এক হাজার ৫০০ টাকা, ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী নিজ নামে ১৪ হাজার টাকা, স্ত্রীর নামে ৬০ হাজার টাকা, আসবাবপত্র নিজ নামে ১২ হাজার টাকা এবং স্ত্রীর নামে দেখিয়েছেন ৬০ হাজার টাকা। স্থাবর সম্পত্তির মধ্যে অকৃষি জমি নিজ নামে ৮২ লাখ ৮০ হাজার ৫৩৬ টাকা এবং স্ত্রীর নামে আছে ১ কোটি ৯১ লাখ ৮৩ হাজার ৯৪৫ টাকা, নিজ নামে একটি দালানের মূল্য দেখিয়েছেন ২৮ লাখ ৫৭ হাজার ৫০৪ টাকা, স্ত্রীর নামে একটি দালানের মূল্য দেখিয়েছেন ৩ কোটি ৫৮ লাখ ৯৮ হাজার ৩৫০ টাকা, নিজ নামে বাড়ি/অ্যাপার্টমেন্টের মূল্য দেখিয়েছেন ৪৪ লাখ ১৩ হাজার ৯৫০ টাকা, স্ত্রীর নামে ৫০ লাখ ৬৯ হাজার ৬৫০ টাকা, চা বাগান, রাবার বাগান, মৎস্য খামার ইত্যাদির আর্থিক মূল্য দেখিয়েছেন ১ কোটি ২১ লাখ ৩৪ হাজার ৫৭৭ টাকা।

সনির নগদ টাকা কম, ব্যাংকে জমা বেশি

চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী, সংসদ সদস্য খাদিজাতুল আনোয়ার সনি হলফনামায় শিক্ষাগত যোগ্যতা দেখিয়েছেন-এমবিএ। এই প্রার্থী যে বাড়িতে থাকেন সেটির মূল্য প্রায় চার কোটি টাকা। সনির নগদ টাকা কম থাকলেও ব্যাংকে টাকা আছে বেশি। হলফনামায় সনি উল্লেখ করেন, তাঁর বাৎসরিক আয় বাড়ি/অ্যাপার্টমেন্টে ১৬ লাখ ৫৩ হাজার ৭৫০ টাকা। শেয়ার সঞ্চয়পত্রে এক লাখ ৬৮ হাজার টাকা, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংসদ সদস্য হিসেবে সম্মানি ভাতা পান ২৬ লাখ ১২ হাজার ২৭৬ টাকা ও অন্যান্য ১৩ লাখ ৭৩ হাজার ১৭১ টাকা। অস্থাবর সম্পত্তির মধ্যে নিজ নামে নগদ টাকা এক লাখ টাকা। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে নিজ নামে জমাকৃত অর্থের পরিমাণ এক কোটি ৩৮ লাখ ৩৮ হাজার ১১৫ টাকা। বন্ড, ঋণপত্র স্টক একচেক্স শেয়ার ২৪ কোটি ৯১ লাখ ৪ হাজার ৫১০ টাকা, পোস্টাল সঞ্চয়পত্র ১৫ লাখ টাকা, এক কোটি ৮৯ লাখ ৮৫ হাজার ৪৮ টাকা দামের মিটসুবিসি গাড়ি আছে। স্বর্ণ আছে ৫০ হাজার টাকা, ইলেকট্রিক সামগ্রী ৫০ হাজার টাকা, আসবাবপত্রের বিবরণী ৫০ হাজার টাকা, অন্যান্য ব্যবসার মূলধন আছে এক লাখ ৭৩ হাজার ১৮৩ টাকা। স্থাবর সম্পদ নিজ নামে পৈত্রিকভাবে প্রাপ্ত চার একর জমির মূল্য ৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা, অকৃষি জমির মূল্য ৫০ লাখ টাকা। পাঁচলাইশে থাকা একটি ভবনের মূল্য চার কোটি টাকা।

আবু তৈয়বের বাৎসরিক আয় ৪ লাখ ১৯ হাজার ৭২৮ টাকা

চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) আসনে প্রার্থী সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান হোসাইন মো. আবু তৈয়ব নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হলফনামায় উল্লেখ করেন, তিনি এইচএসসি পাস, পেশা ব্যবসা। স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ মিলিয়ে আছে ছয় লাখ ৫৫ হাজার ৩১০ টাকার সম্পদ। ব্যবসা ছাড়া অন্য কোনো খাতে আয় নেই। বিভিন্ন সময়ে রাজনীতি করতে গিয়ে ১৫টি মামলায় অভিযুক্ত হন এই প্রার্থী। বর্তমানে সবকটি মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন। ব্যবসা ছাড়া তাঁর বাৎসরিক অন্য কোনো উৎসে আয় নেই। ব্যবসা থেকে বাৎসরিক আয় চার লাখ ১৯ হাজার ৭২৮ টাকা। অস্থাবর সম্পত্তির মধ্যে নিজ নামে নগদ টাকা আছে ৮৫ হাজার ৩১০ টাকা। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে নিজ নামে জমাকৃত অর্থের পরিমাণ ২০ হাজার টাকা। বিবাহকালীন উপহারস্বরূপ স্বর্ণ পেয়েছেন ২৫ ভরি। সবমিলিয়ে দুই লাখ ৫০ হাজার টাকার ইলেকট্রিক সামগ্রী ও আসবাবপত্র আছে। স্থাবর সম্পদ যৌথ মালিকানায় এক লাখ টাকার কৃষি জমি, দুই লাখ টাকা অকৃষি জমি আছে।