সালেহ আহমদ স’লিপক:
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার পাত্রখোলা চা বাগান থেকে পরিকল্পিতভাবে অপরিপক্ক ৫টি আকাশী গাছ চুরির অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি চা বাগানের ভেতরে ক্লাববাংলো সড়কের পাশ থেকে আকাশী প্রজাতির অপরিপক্ক গাছগুলো রাতের আধাঁরে কেটে নেয়া হয়। এঘটনায় চা বাগান ব্যবস্থাপক থানায় একটি জিডি করেছেন।
ন্যাশনাল টি কোম্পানীর কমলগঞ্জ উপজেলার মাধবপুর ইউনিয়নের পাত্রখোলা চা বাগানের চা শ্রমিক আব্দুল মুকিদ ও আবু তাহের জানান, তারা বাগানের নাইট চৌকিদার হিসাবে ডিউটি করেন। নভেম্বর মাসের ২য় সাপ্তাহে ক্লাববাংলো সড়কের পাশ থেকে পরিকল্পিত ভাবে ৫টি অপরিপক্ক আকাশী প্রজাতির গাছ কেটে আংশিক অংশ নিয়ে যায় সংঘবদ্ধ চোর।
সকালে চৌকিদার রাজু ও রাম রতন দাশ তাদেরকে জানায়, ৫টি আকাশী গাছ চুরি হয়ে গেছে। বিষয়টি তারা বাগান ম্যনেজারকে না জানিয়ে খোঁজ নিতে থাকেন। ১৮ নভেম্বর খবর পেয়ে চা বাগান কর্তৃপক্ষ সরেজমিনে তদন্ত করেন এবং পুলিশকে খবর দেন। থানা পুলিশ এসে তাদেরে ৬ দিনের মধ্যে খোঁজে বাহির করার জন্য সময় দেন। পরে চুরি হওয়া গাছের অংশ ধলাই নদীত পাওয়া যায়। এগুলো উদ্ধার করে বাগানের গোডাউনে রাখা হয়েছে।
বাগান শ্রমিক (চৌকিদার) শিমুল বিশ্বাস (সর্দার), স্বপন কৌরি, নানু মিয়া, সুরুজ নারায়ন, পঞ্চায়েত সদস্য অজয় ভৌমিক ও সুভাস চাষা বলেন, বাগান বাঁচলে আমরা বাঁচবো। এই বাগান থেকে ১ থেকে দেড় ফুট বেড়ের গাছ পরিকল্পিত ভাবে চুরি হয়েছে। এগুলো বেশী মুল্যে বিক্রি হবেনা। এটা মুলতঃ বাগান কর্তৃপক্ষকে বিপাকে ফেলতে একটি মহল কাজ করে যাচ্ছে। কেউ কেউ ৫০টি গাছ চুরি হয়েছে বলে প্রচার করছেন। এই অপপ্রচারে পঞ্চায়েত সভাপতি শিপন চক্রবর্তী ওরফে দেবশিষ চক্রবর্তী, চৌকিদার রাজু ও রাম রতন দাশকে দায়ী করেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পাত্রখোলা চা বাগান শ্রমিকরা জানান, এই বাগানে চা শ্রমিকদের দু’টি গ্রুপ রয়েছে। তাদের দ্বন্ধ, সংঘাত নানা সময়েই চলছে। এতে গাছ চুরিসহ নানা অনিয়ম দুর্নীতির ঘটনাও ঘটছে। ফলে সার্বিকভাবে বাগানের ব্যাপক ক্ষতি বয়ে আনছে। তবে গাছ চুরির ঘটনায় এখনও কাউকে সনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।
এব্যাপারে পাত্রখোলা চা বাগান পঞ্চায়েত সভাপতি দেবাশীষ চক্রবর্তী শিপন বলেন, ক্লাববাংলো সড়কের পাশ থেকে আকাশমনি প্রজাতির অপরিপক্ক ৫টি গাছ রাতের আধাঁরে কেটে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বাগান থেকে প্রায় ৫০টির মতো গাছ চুরি হয়েছে বলে তার বক্তব্যের বিষয় জানতে চাইলে তিনি অস্বীকার করেন।
এব্যাপারে পাত্রখেলা চা বাগান ব্যবস্থাপক মোঃ আনোয়ার হোসেন বলেন, পাঁচটি অপরিপক্ক গাছ চুরি হওয়ার ঘটনায় আমরা তদন্ত করেছি এবং কমলগঞ্জ থানায়ও লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। পুলিশও তদন্ত করছে।