ই-পেপার | শনিবার , ২৯শে জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

অবরোধে সড়ক যানবাহন কম, সতর্ক অবস্থায় পুলিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক , ঢাকা :

রোববার সকাল থেকে শুরু হয়েছে বিএনপি ও জামায়াতসহ কয়েকটি দল ঘোষিত ৪৮ ঘণ্টার সর্বাত্মক অবরোধ। অবরোধের প্রথম প্রহরে সড়কে যানবাহনের চাপ তেমন দেখা যায়নি। মূল সড়কে গণপরিবহন ছিল একেবারেই কম। এলাকার সড়কেও পুলিশের ছিল সতর্ক অবস্থান। রোববার (১২ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর মগবাজার, মৌচাক, তেজগাঁও ও মহাখালী বাস টার্মিনাল এলাকায় সরেজমিনে এমন চিত্র দেখা যায়।

 

এই এলাকাগুলোর সড়কে ব্যক্তিগত যানবাহনও ছিল কম। আর ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কেও গণপরিবহন একদমই কম। সকাল ৮টা ১০মিনিট থেকে বেলা ৯টা পর্যন্ত অপেক্ষা করে এই চিত্রই উঠে এসেছে। এদিকে, মহাখালী টার্মিনাল এলাকায় অবস্থান ও আশেপাশে পুলিশের টহল গাড়ি দেখা গেছে। পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, যেকোনো অপ্রীতিকর অবস্থা এড়ানোর জন্য তারা সতর্ক অবস্থায় আছেন।

 

পুলিশের এক সদস্য নাম না প্রকাশ করার শর্তে বলেন, চলমান অবরোধকে কেন্দ্র করে যেকোনো ধরনের নাশকতা ঠেকাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর রয়েছে। এদিকে, পরিবহন মালিক সমিতি ঘোষণা দিলেও এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত মহাখালী টার্মিনাল এলাকা থেকে কোন দূরপাল্লার বাস ছেড়ে যায়নি। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বেলা বাড়ার পর যাত্রীর উপস্থিতি বুঝে হয়ত তারা বাস ছাড়বে। ঢাকা-ময়মনসিংহ রুটে চলাচলকারী শৌখিন পরিবহনের সুপারভাইজার নাজমুল বলেন, এখন তো সকাল। অবরোধের জন্য যাত্রী নেই। তাই বাসও ছাড়ছি না৷ তাছাড়া পরিস্থিতি বুঝা যাচ্ছে না। বেলা বাড়লে যাত্রী পেলে বাস হয়ত চালাতে পারবো।

 

রোববার (১২ নভেম্বর) সকালে মগবাজার ও মৌচাক এলাকা ঘুরে দেখা যায়, অবরোধের কারণে রাস্তায় গণ পরিবহন কম। রাস্তায় বাস চলাচল কম থাকলেও রিকশা, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, প্রাইভেটকারের আধিক্য বেশি। রোববার সরকারি অফিস খোলার প্রথম দিনে অবরোধে অফিসমুখী যাত্রীদের বাসের জন্য অপেক্ষা করতে দেখা গেছে। অনেকেই বাসে উঠতে না পেরে রিকশা -সিএনজিযোগে অফিসে যাচ্ছেন। মগবাজার- মৌচাক এলাকায় অবরোধের পক্ষে বা বিপক্ষে কোনো মিছিল-পিকেটিং দেখা যায়নি। তবে ব্যাপকভাবে পুলিশের টহল দেখা গেছে।