ই-পেপার | বৃহস্পতিবার , ২১শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

বঙ্গবন্ধু টানেল পার হলেন প্রধানমন্ত্রী

চট্টগ্রাম ব্যুরো:

উদ্বোধনের পর নিজের গাড়ি বহর নিয়ে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম টানেল ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল’ পাড়ি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।শনিবার (২৮ অক্টোবর) বেলা ১১টা ৪০ মিনিটের দিকে বঙ্গবন্ধু টানেল উদ্বোধন করেন তিনি।উদ্বোধনের পরপরই গাড়ি বহর নিয়ে টানেল পতেঙ্গা প্রান্ত থেকে আনোয়ারায় যান প্রধানমন্ত্রী। টানেল পার হতে তিনি নিজের হাতে টোল দেন।দুপুরে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা চট্টগ্রামের আনোয়ারায় কোরিয়ান ইপিজেড মাঠে জনসমাবেশে যোগ দেবেন।

 

ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম হয়ে কক্সবাজারের ৪০ কিলোমিটার দূরত্ব ও এক ঘণ্টা সময় কমিয়েছে বঙ্গবন্ধু টানেল। টানেলটি পার হতে সময় লাগবে মাত্র কয়েক মিনিট।দুটি টিউবের চার লেনের সড়কের মাধ্যমে নদীর তলদেশ দিয়ে পাঁচ মিনিটে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা প্রান্ত থেকে যাওয়া যাবে আনোয়ারায়।আগামী রোববার (২৯ অক্টোবর) সকাল ৬টা থেকে সর্বসাধারণের যান চলাচলের জন্য টানেলটি খুলে দেওয়া হবে।

 

 

দেশের বাণিজ্যিক নগরী চট্টগ্রামকে চীনের সাংহাই শহরের আদলে ‘ওয়ান সিটি টু টাউন’ করবে প্রকল্পটি। চট্টগ্রামের নতুন শহর গড়ে উঠবে নদীর অপর প্রান্তেও। চট্টগ্রাম নগরীর অর্থনৈতিক ও ভৌগোলিক আকার হবে দ্বিগুণ।দুই টিউব সংবলিত মূল টানেলের দৈর্ঘ্য ৩ দশমিক ৩২ কিলোমিটার। এ দুই টিউব তিনটি সংযোগ পথের (ক্রস প্যাসেজ) মাধ্যমে যুক্ত থাকবে। বিপদের সময় অন্য টিউবে গমনের জন্য এ ক্রস প্যাসেজগুলো ব্যবহার হবে। টানেল টিউবের দৈর্ঘ্য ২ দশমিক ৪৫ কিলোমিটার ও ভেতরের ব্যাস ১০ দশমিক ৮০ মিটার।টানেল কর্ণফুলী নদীর পতেঙ্গা নেভাল একাডেমি আর অপর প্রান্তের চট্টগ্রাম ইউরিয়া সার কারখানা (সিইউএফএল) প্রান্তকে যুক্ত করেছে।২০১৫ সালের নভেম্বরে অনুমোদন পায় প্রকল্পটি। শুরুতে এর ব্যয় ধরা হয়েছিল ৮ হাজার ৪৪৬ দশমিক ৬৪ কোটি টাকা। পরে তা বেড়ে হয় ১০ হাজার ৩৭৪ দশমিক ৪২ কোটি টাকা।

 

২০১৬ সালের ১৪ অক্টোবর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি চিন পিং টানেল প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। ২০১৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রথম টানেল টিউবের বোরিং কাজ উদ্বোধন করেন। ২০২০ সালের ১২ ডিসেম্বর সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের দ্বিতীয় টিউবের বোরিং কাজ উদ্বোধন করেন। চীনের এক্সিম ব্যাংক ২ শতাংশ সুদে এ প্রকল্পের জন্য ৫ হাজার ৯১৩ কোটি টাকা ঋণ দেয়। বাকি টাকার জোগান দেয় বাংলাদেশ সরকার। টানেলটি নির্মাণ করেছে চায়না কমিউনিকেশন অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন কোম্পানি।

 

 

সিএনএনবাংলা২৪