ই-পেপার | শনিবার , ২৯শে জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

বাঁশখালী ‘সরকারি আলাওল কলেজ’র জরাজীর্ণ ভবনে পাঠদান, ঝুঁকিতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা

শিব্বির আহমদ রানা, চট্টগ্রাম:

 

চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার সরকারি আলাওল কলেজর একতল বিশিষ্ট প্রশাসনিক ভবন, কলা ভবন ও হলরুমের ছাদে ফাটল ধরেছে। সম্প্রতি ঘূর্ণিঝড় হামুনের প্রভাবে ওই ভবনে গাছ পড়ে আরো ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে। এ ঝুঁকিপূর্ণ ভবনেই চলছে পাঠদান। তা ছাড়া ভবনটির খসে পড়ছে পলেস্তারা। ক্লাস চলাকালীন ভবন ভেঙে পড়ার আতঙ্কে থাকেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। এতে শঙ্কিত অভিভাবকসহ সচেতন মহল। তাছাড়া কলেজের পশ্চিম কর্ণারে হলরুম সংলগ্ন দ্বিতল বিশিষ্ট কারিগরি ভবনটিও ঝুঁকির কবলে। দেওয়ালে ফাটল, ছাদের পলেস্তারা খসে পড়া শুরু করছে। যে কোন সময় ঘটে যেতে পারে মারাত্মক দুর্ঘটনা।

 

কলেজ সূত্রে জানা গেছে, ১৯৭০ সালে ৩৩১ শতাংশ জমি নিয়ে কলেজটি প্রতিষ্ঠিত হয়। ২০১৮ সালের ৮ আগস্ট কলেজটি সরকারিকরণ করা হয়। বর্তমানে কলেজটিতে উচ্চ মাধ্যমিক ও স্নাতক এবং সমন্বিত কারিগরি মিলিয়ে ২ হাজার ৮০০ জন শিক্ষার্থী রয়েছেন। এ কলেজে রোভার স্কাউটস কার্যক্রম, যুব রেড ক্রিসেন্ট গ্রুপ আছে চালু আছে। বিএনসিসি চালুর উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে। তাছাড়া সরকারি কলেজগুলোতে নতুন বিসিএস কর্মকর্তা যথা শীঘ্র পোস্টিং দিলে শিক্ষার গুনগত মান ও গতি ফিরে আসবে। এখানে মোট শিক্ষক ২১ জন নিয়মিত এবং ৭ জন খন্ডকালীন হিসেবে কর্মরত আছেন। শিক্ষকের পাঁচটি ও প্রদর্শকের ৩টি পদ শূন্য রয়েছে। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই এটি একটি অনুকূল পরিবেশে মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করে আসছে।

 

শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা জানান, ১৯৮৩ সালে প্রশাসনিক ভবন (কলা ভবন, হলরুম) ও দ্বিতল বিশিষ্ট পশ্চিম কর্ণারে কারিগরি ভবনটি নির্মাণ করা হয়। দ্বিতল ভবনে একটি লাইব্রেরি সহ রয়েছে শ্রেণি কক্ষ। একতলা বিশিষ্ট প্রশাসনিক ভবনে একটি অধ্যক্ষের, একটি উপাধ্যক্ষের, একটি শিক্ষক মিলনায়তন, কর্মচারীদের জন্য একটি কক্ষ এবং একটি হিসাব রক্ষণ অফিস হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। দ্বিতল ভবনটিও জরাজীর্ণ অবস্থায় রয়েছে। ছাদের পলেস্তরা খসে পড়া শুরু করছে। দেওয়ালে ধরেছে ফাটল।

 

দক্ষিণ-পশ্চিমে বাণিজ্য ভবন হিসেবে ব্যবহৃত কলেজ ক্যাম্পাসের দোতলা ভবনটির অবস্থা তুলনামূলক ভালো। এ ভবনও নির্মিত হয়েছে ১৯৯৩ সালে। তাছাড়া কলেজ ক্যাম্পাসের দক্ষিণ-পূর্বকর্ণারে ২০০২ সালে নির্মিত আইসিটি ভবনটি সম্পূর্ণ মজবুত রয়েছে। এ ভবনে রয়েছে শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব এবং তিনটি শ্রেণিকক্ষ।

 

শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বললে তারা জানান, ‘জরাজীর্ণ ভবনে ক্লাসের সময় ভয়ে থাকতে হয়। মনে হয় এই বুঝি মাথার ওপর ছাদ ভেঙে পড়ে। তারপরও ঝুঁকি নিয়ে চলছে পাঠদান কার্যক্রম। তাছাড়া কারিগরি দ্বিতল ভবনটি জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। পলেস্তারা খসে পড়েছে। কখন-যে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে, সেই চিন্তায় থাকি।’

 

এ বিষয়ে কলেজের অধ্যক্ষ মো. আজিজুর রহমান বলেন, ‘কলেজে অবকাঠামোগত সমস্যা রয়েছে। জরাজীর্ণ ভবনে চলছে পাঠদান কার্যক্রম। কলেজে নেই কোনো ছাত্রাবাস। আমি সদ্য যোগদান করেছি। কলেজ ভবনসহ নানা সমস্যা নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন ও পরামর্শ করে দ্রুত সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হবে।’

 

এইচ এম কাদের,সিএনএন বাংলা২৪