সালেহ আহমদ স’লিপক, সিলেট:
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ ৪নং সিন্দুরখান ইউনিয়ন শাখাধীন জুলেখা নগর চা বাগান সার্বজনীন দুর্গাপূজা উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে আনন্দমুখর পরিবেশে পালন করেছেন।সোমবার (২৩ অক্টোবর) মহা নবমীর রাতে উপজেলার সিন্দুরখান ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের অবহেলিত দূর্গম এলাকা জুলেখা নগর চা বাগান নাটমন্দির সংলগ্ন মন্ডপে গেলে দেখা যায়, বাগানের শ্রমিকরা তাদের মনের মাধুরী মিশিয়ে দূর্গা প্রতিমা তৈরী করে পূজার আয়োজন করেছেন।ঢাক, ঢোল আর শাখা-শঙ্খের মন মাতানো বাদ্য বাজনায় সনাতন ধর্মাবলম্বী ভক্ত পূজারীরা পূজা আর্চনায় মেতে উঠেছে। মনোবাসনা পুরনার্থে যজ্ঞ, প্রদীপ ও আগরবাতি প্রজ্জ্বলন করছেন দেবীর উদ্দেশ্যে। রাত ১০টায় প্রজেক্টরের মাধ্যমে আগতদের বিনোদনের জন্য ধর্মীয় মুভি প্রদর্শন করা হয়।
আলাপকালে বাগান পঞ্চায়েত সভাপতি সুভাষ বাড়াইক ও সেক্রেটারী গৌরাঙ্গ দেব জানান, প্রায় ২ বছর আগে শ্রীমঙ্গল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ভানুলাল রায় জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী ইঞ্জিনিয়ারকে সাথে নিয়ে মন্ডপ উন্নয়ন কাজের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন করেন। কিন্তু জানিনা কি কারণে আজ পর্যন্ত কোন কাজ-ই করা হয়নি। তারা কর্তৃপক্ষের কাছে মন্ডপ ঘরের পিছনে গাইডওয়াল ও নাটমন্দিরে হাফ দেয়াল করে দেয়ার দাবি জানান।এ ব্যাপারে জানতে চাইলে , জুলেখা নগর চা বাগান সার্বজনীন দুর্গাপূজা কমিটির সভাপতি মলিন বাড়াইক ও সম্পাদক সাধন প্রধান বলেন, সিন্দুরখান বাজার থেকে ৮/১০ কিমি দূর্গম পাহাড়ি কাঁচা রাস্তা দিয়ে আমাদের এখানে আসতে হয়। ভারত থেকে প্রবাহিত মন্দিরের উত্তর সংলগ্ন ৫ নম্বর লাইনের এ ছাড়ায় বর্ষা মৌসুমের অপরপাড়ে বসবাসরত ৫ নম্বর লাইনে ৫০/৬০টি পরিবার খুবই মানবেতর জীবনযাপন করে। এখানে একটা কালভার্টের বিশেষ প্রয়োজন। তাছাড়া নাটমন্দির ও মন্ডপ ঘেষা পূর্ব দিকের উত্তর-দক্ষিণগামী ঢালো এই রাস্তাটি পাহাড়ি ঢলে ধ্বসে যায় এবং গাইডওয়াল না থাকার কারণে মন্ডপ ও নাটমন্দিরটি ধ্বসে যাওয়ার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে।
এসময় জুলেখা নগর চা বাগান সার্বজনীন দুর্গাপূজা কমিটির সবুজ বাড়াইক, নিতাই দাস, জপন দাস, মানিক দাস, যতন বুনার্জী, বিপুল নায়েক, কাজল নায়েক, বিপ্লব রাজভর, ছোটন নায়েক, সোহেল হাজরা, কার্তিক কর্মকার, নিত্য তাতী, বাদল নায়েক, মিলন বুনার্জী সহ বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ ৪নং সিন্দুরখান ইউনিয়ন শাখার সভাপতি রিপন রায় এবং আগত ভক্ত পূজারীরা উপস্থিত ছিলেন।