ই-পেপার | শনিবার , ২৯শে জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন : ৪নং হুশিয়ারি সংকেত

কক্সবাজার অফিস :

 

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপটি সোমবার রাতে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। এটি বাংলাদেশের দিকে এগুচ্ছে। এটি মঙ্গলবার সকাল ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৯০ কি.মি, পশ্চিম-দক্ষিণপশ্চিমে কক্সবাজার সমুদ্র বন্দর থেকে ৪৫৫ কি.মি পশ্চিম দক্ষিণপশ্চিমে এবং মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৬৫ কি.মি দক্ষিণ পশ্চিমে ও পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ৩৫৫ কি.মি দক্ষিণ পশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরো ঘণিভূত হয়ে উত্তর পূর্ব দিকে অগ্রসর হতে পারে।

 

চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৪ নং স্থানীয় হুশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৬৪ কি.মি এর মধ্যে বাতাসের একটানা গতিবেগ ৯০ কি.মি। যা ঝড়ো হাওয়া আকারে ১১০ কি.মি পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ায় এটির নাম হয়েছে হামুন। হামুন শব্দের অর্থ হচ্ছে সমতল ভূমি বা পৃথিবী। হামুন নামটি দিয়েছে ইরান। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে কক্সবাজার অঞ্চলে মঙ্গলবার ভোর থেকে ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে।ঘূর্ণিঝড় বর্তমান গতিতে এগোতে থাকলে বুধবার থেকে বৃহস্পতিবারের মধ্যে বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

 

 

ভারতের আবহাওয়া দফতরের বুলেটিনে এর আগে বলা হচ্ছে, ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিলে সেটি বুধবার বাংলাদেশের পটুয়াখালী জেলার খেপুপাড়া উপজেলা ও চট্টগ্রামের মধ্যবর্তী উপকূল অতিক্রম করতে পারে।এটি বাংলাদেশে আঘাত করলে সেটি হবে চলতি বছরের দ্বিতীয় ঘূর্ণিঝড়। এর আগে গত মে মাসে ঘূর্ণিঝড় মোখা দুর্বল হয়ে বাংলাদেশে প্রভাব ফেলেছিল।

 

গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে সোমবার ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিশেষ করে উপকূলীয় এলাকাগুলোয় হালকা থেকে মাঝারি এবং কোথাও কোথাও ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। বঙ্গোপসাগরের বেশিরভাগ এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে।

 

ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রবর্তী অংশের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশে উপকূলীয় এলাকায় দমকা ও ঝড়ো হাওয়াসহ ভারি থেকে অতিভারি বর্ষণ হতে পারে। সেন্টমার্টিনে অবস্থানরত সব পর্যটককে তিনটি জাহাজে করে টেকনাফে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। মঙ্গলবার থেকে সেন্টমার্টিন অভিমুখে জাহাজসহ সব ধরনে জানিয়েছেন টেকনাফের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আদনান চৌধুরী।