ই-পেপার | বৃহস্পতিবার , ২১শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

নান্দাইলের বেতাগৈর স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ কেন্দ্র বন্ধ,জনবল শূন্য

মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ,ময়মনসিংহ :

ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল উপজেলার বেতাগৈর ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ কেন্দ্রটি ১৬ দিন ধরে বন্ধ রয়েছে। এ কারণে রোগীরা চিকিৎসা না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা বলছেন, কেন্দ্রের সব কটি পদ শূন্য থাকায় কেন্দ্রটি বন্ধ রয়েছে। নতুন করে কেউ যোগদান করলে কেন্দ্রটি খোলা হতে পারে।

 

ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ইউএফপিও) বিনয় রঞ্জন চাকমা মুঠোফোনে বলেন, বেতাগৈর স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ কেন্দ্রে একজন উপসহকারী কমিউনিটি চিকিৎসা কর্মকর্তা, ফার্মাসিস্ট, পরিবারকল্যাণ পরিদর্শক (এফডব্লিউভি), আয়া ও অফিস সহায়ক কাম নিরাপত্তাপ্রহরী থাকার কথা। কিন্তু বর্তমানে সব কটি পদ শূন্য রয়েছে। সর্বশেষ মমতাজ জাহান নামের একজন পরিবারকল্যাণ পরিদর্শক (এফডব্লিউভি) এখানে কর্মরত ছিলেন।

 

তিনিও ২ অক্টোবর বদলি হয়ে অন্যত্র চলে গেছেন। নতুন কেউ যোগদান করলে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ কেন্দ্রটি খোলা হবে। স্থানীয় জনগণ বলেন, বেতাগৈর ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ কেন্দ্রটি নান্দাইল সদর থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার নান্দাইল-ত্রিশাল সড়কের পাশে চর শ্রীরামপুর গ্রামে অবস্থিত। সদরের সঙ্গে দূরত্বের কারণে চর বেতাগৈর ও বীর বেতাগৈর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের হাজারো বাসিন্দা চিকিৎসাসেবার জন্য এই কেন্দ্রের ওপর নির্ভরশীল। গ্রামের গর্ভবতী মা ও শিশুদের চিকিৎসা ও পরামর্শের জন্য এই কেন্দ্রে আসতে হয়। এ ছাড়া জন্মনিয়ন্ত্রণের সামগ্রী ও নানা রোগের ওষুধপত্র এই কেন্দ্র থেকে বিতরণ করা হয়। সব কার্যক্রম এখন বন্ধ রয়েছে।

 

চর শ্রীরামপুর গ্রামের মো. আশিকুল ইসলাম জানান, গত রোববার তিনি তাঁর স্ত্রীকে নিয়ে এসে কেন্দ্রটি বন্ধ পান। এরপর আরও দুদিন খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি খোলা হয়নি। সরকারি স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ কেন্দ্র যদি বন্ধ থাকে, তাহলে রোগীরা কোথায় যাবেন।

 

বিষয়টি কি কারও নজরে পড়ে না। এ-বিষয়ে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে চর বেতাগৈর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. ফরিদ হোসেন সিএনএন বাংলা২৪ কে বলেন, স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ কেন্দ্রটি তাঁর ইউপি ভবনের বিপরীতে অবস্থিত। কার্যালয়ে বসে তিনি স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি দেখতে পান। ওই কেন্দ্রে আপাতত একজন মাঠকর্মী আসেন। ওই কর্মী হাজিরা দিয়ে মাঠপর্যায়ে কাজ করতে চলে যান। এরপর সারা দিন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ কেন্দ্রটি বন্ধ থাকে। প্রতিদিন রোগী এলেও চিকিৎসা না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন।

 

 

আমির, সিএনএনবাংলা২৪