মুহাম্মদ তৈয়্যবুল ইসলাম (রাঙ্গুনিয়া) চট্টগ্রাম :
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, `বিএনপি বা অন্যদল ক্ষমতায় এলে সকল ভাতা বন্ধ হয়ে যাবে।`
তিনি বলেন, `বর্তমান সরকার যে নানারকম ভাতা দিচ্ছে, এগুলো আগে কখনো ছিলো না। আওয়ামী লীগ সরকার ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে এসব ভাতা চালু করেছিল। এরপর বিএনপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর অনেক ভাতা বন্ধ করে দিয়েছিল। তখন হাতে গুনা কয়েকজন ভাতা পেত, তাও চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতাদের সমর্থক বা তাদের আত্মীয়স্বজনদের দেওয়া হতো। পরে ২০০৮ সালে ক্ষমতায় এসে বঙ্গবন্ধুকন্যা ভাতার পরিমাণ এবং আকার দুটোই আরও বৃদ্ধি করেছেন। বর্তমানে প্রতিটি ইউনিয়নে ২ থেকে ৪ হাজার মানুষ নানাধরণের উপকারভাতা পাচ্ছে। আমরা এসব ভাতা কে আওয়ামী লীগ, কে বিএনপি বা কে জাতীয় পার্টি এসব দেখে দিই নাই। যার ভাতার প্রয়োজন তাকে দিয়েছি। এটাই আওয়ামী লীগের নীতি।
সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, আপনাদের হয়তো মনে আছে আওয়ামী লীগ সরকার ৬ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক চালু করেছিল। কিন্তু বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর খালেদা জিয়া সব কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে দিয়েছিল। বর্তমানে আওয়ামী লীগ সরকার প্রায় ২২ ধরনের ভাতা চালু করেছে। সামনে বিএনপি বা অন্যদল ক্ষমতায় এলে কমিউনিটি ক্লিনিকের মতো সকল ভাতাও বন্ধ হয়ে যাবে।
সোমবার (১৬ অক্টোবর) দুপুরে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গণে ইউনিয়নের উপকারভোগী সমাবেশে ভার্চ্যুয়াল উপায়ে যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার আপনাদের বিনামূল্যে ভাতা দিচ্ছে। কারো মাধ্যম ছাড়া মোবাইলে আপনারা টাকা পেয়ে যাচ্ছেন।সরকার যেহেতু আপনাদের বিভিন্ন ভাবে সহযোগীতা করছে তাহলে ভোট টাও নৌকায় দিতে হবে। কেউ নুন খাওয়ালে তার গুন গাইতে হবে।
তিনি বলেন, শুধু মাত্র দক্ষিণ রাজানগর একটি ছোট্ট ইউনিয়নে একশত কোটি টাকার বেশি উন্নয়ন হয়েছে। আমরা যে সড়কের উন্নয়ন করেছি তার গর্ত ভরাট করার সক্ষমতাও তাদের নেই বলে উল্লেখ করেন মন্ত্রী।
নিজ নির্বাচনী এলাকার বাসিন্দাদের উদ্দেশ্যে হাছান মাহমুদ বলেন, `আমাকে এমপি নির্বাচিত করার পর, আমি দলীয় এমপি থাকিনি, সবার জন্য আমার দরজা খোলা রেখেছি। রাখালের মতো করেই গত ১৪-১৫ বছর আপনাদের জন্য কাজ করে যাচ্ছি।`
দক্ষিণ রাজানগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আহমদ সৈয়দ তালুকদার`র সভাপতিত্বে ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জামাল উদ্দিন`র সঞ্চালনায় সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার শামসুল আলম তালুকদার, শিক্ষা ও সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক মাস্টার খুরশেদ আলম, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক ফারুক আহমেদ তালুকদার, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি বদিউল খায়ের লিটন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইউনুচ, ইউনিয়ম আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুর রহমান তালুকদার, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাস্টার ইসকান্দর মিয়া তালুকদার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাস্টার মুছা, সাংগঠনিক সম্পাদক জসিম উদ্দিন তালুকদার, ইউনুচ মিয়া লেদ, মিজানুর রহমান চৌধুরী, ফজলুল ইসলাম সেলিম, সৈয়দ আবুল বশর, ফারুক আলী চৌধুরী, ছাত্রলীগ নেতা মো. আবু বক্কর, শরিফুল ইসলাম সাইমন, প্রণব শীল জিকু, তানবীর আহমেদ, সাকিব শিকদার প্রমুখ।