
আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
গাজা উপত্যকা ঘিরে ফেলে তিন পথে হামলার প্রস্তুতি নিয়েছে ইসরায়েল। অবরুদ্ধ অঞ্চলটিতে নিরবচ্ছিন্ন বোমা হামলার মধ্যে সীমান্তে সামরিক স্থাপনা গঠন করা হচ্ছে।
গাজার সীমানা ঘিরে ইসরায়েলি ট্যাঙ্ক মোতায়েন করা হয়েছে। মানবিক করিডোর চালু করে উত্তর থেকে দক্ষিণ গাজায় বাসিন্দাদের সরে যেতেও বলেছে দখলদাররা। রোববার (১৫ অক্টোবর) আলি জাজিরার লাইভ আপডেট থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। খবরে আরও বলা হয়েছে, গাজা ছাড়তে স্থানীয় বাসিন্দাদের ৩ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছে দখলদাররা।
এ ছাড়া গতকাল শনিবার (১৪ অক্টোবর) রাতে ইসরায়েলি বাহিনী এক বিবৃতিতে জানায়, ‘বিস্তৃত পরিসরের’ গাজায় অভিযান চালানো হবে। তবে কবে, কখন এটি শুরু হবে সেটি নিশ্চিত করেনি দখলদারদের সেনা।
বার্তাসংস্থা এএফপি জানিয়েছে, গাজায় ‘নিরাপদ করিডোর’ চালু করেছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। তবে সেটি বাসিন্দাদের উত্তরাঞ্চল থেকে দক্ষিণাঞ্চলে সরে যাওয়ার জন্য।
মাইক্রো ব্লগিং সাইট এক্সে আইডিএফ জানিয়েছে, রোববার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত কোনো হামলা চালানো হবে না। আমরা জানাতে চাই গাজার লোকদের দক্ষিণে সরে যেতে আমরা সমুদ্র তীরবর্তী অঞ্চলে করিডোর খুলেছি। গাজা শহর ও গাজার বাসিন্দাদের আমরা দক্ষিণ গাজায় চলে যেতে আহ্বান জানাচ্ছি।
ফিলিস্তিনের জন্য নিরাপত্তা গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে দখলদারদের সেনারা আরও বলেছে, এ সুযোগে আপনারা উত্তর থেকে দক্ষিণ গাজায় চলে যান। আমাদের জন্য আপনাদের নিরাপত্তা গুরুত্বপূর্ণ।
বিস্তৃত পরিসরে আক্রমণের বিষয়ে আইডিএফ বলেছে, ইসরাইলি বাহিনী প্রস্তুতি নিচ্ছে। ইতোমধ্যে প্রয়োজনীয় যুদ্ধ সরঞ্জাম পাঠানো হয়েছে। কৌশলগতভাবে সারা দেশে সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। অভিযানে বিপুলসংখ্যক রিজার্ভ সেনা অংশ নেবে।
এদিকে, ইসরায়েলে মার্কিন রণতরী ইউএসএস জেরাল্ড আর ফোর্ডের সঙ্গে যোগ দিয়েছে অপর যুদ্ধজাহাজ ইউএসএস ডোয়াইট ডি আইজেনহাওয়ার ও এর স্ট্রাইক গ্রুপ। এ দুটি রণতরী ফিলিস্তিনের হামাস বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীকে সহায়তা করবে।
এর আগে গাজা অঞ্চলে ইসরায়েলের সামরিক অভিযান বৃদ্ধির প্রস্তুতির পাশাপাশি পূর্ব ভূমধ্যসাগরে দ্বিতীয় রণতরী ও এয়ার ফোর্সের ফাইটার জেট পাঠানোর নির্দেশ দেয় পেন্টাগন।