ই-পেপার | বুধবার , ৩রা জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সেন্টমার্টিনে আটকা পড়েছেন জবির ৪০ শিক্ষক-শিক্ষার্থী

নিজস্ব প্রতিনিধি :

 

সেন্টমার্টিনে ব্যাচ ট্যুরে গিয়ে আটকা পড়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) দুই শিক্ষক ও ৩৮ জন শিক্ষার্থী। এরা সবাই বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপের কারণে জাহাজ চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তারা আটকে পড়েন বলে জানা গেছে।

 

গভীর নিম্নচাপ সৃষ্টি হওয়ায় গত মঙ্গলবার বিকেলে কক্সবাজার উপকূলে ৩ নং স্থানীয় সতর্কসংকেত জারি করে আবহাওয়ার অধিদপ্তর। বৃহস্পতিবারও এ সংকেত থাকায় জাহাজ চলাচল বন্ধ আছে। এতে ফিরতে না পেরে দ্বীপেই আটকা পড়েছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

 

জানা যায়, গত রোববার (১ অক্টোবর) সহকারী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলী ও নুসরাত সুলতানার তত্ত্বাবধানে ৩৮ শিক্ষার্থী নিয়ে ৪০ সদস্যের একটি দল সেন্টমার্টিনে যান। সেখানে যাওয়ার পর বৈরি আবহাওয়ার জন্য জাহাজ চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তারা আটকে পড়েন।

দ্বীপে আটকা পড়া জবি শিক্ষার্থী ও বাঁধন, জবি ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক আলেমা আক্তার লিজা বলেন, দুইদিন বৈরি আবহাওয়ার কারণে শিপ বন্ধ ছিল। এখন আবহাওয়া কিছুটা ঠিক হলেও যাত্রী সংকটের কারণে নাকি শিপ ছাড়ছে না। এদিকে শিপ ও ট্রলার চলাচল বন্ধ থাকায় দ্বীপে খাদ্য সংকট দেখা দিচ্ছে। এখানে মাছ, মাংস এসবের সংকট থাকলেও ভাত, ডাল শুকনা খাবার পর্যাপ্ত পরিমাণে রয়েছে।

 

সেন্টমার্টিন পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মো. সেলিম হোসেন বলেন, আবহাওয়ার অধিদপ্তরের জারি করা সতর্ক সংকেত বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত বলবৎ থাকায় পর্যটকবাহী জাহাজ টেকনাফ থেকে ছেড়ে আসেনি। ফলে সেন্টমার্টিনে আটকেপড়া পর্যটকদের আজও দ্বীপে অবস্থান করতে হবে।

এ বিষয়ে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী বলেন, আমরা আগেই সতর্ক করে মাইকিং করেছি যে দুইদিন শিপ চলাচল করবে না। তারপরেও তারা কেন রয়ে গেছে বুঝতেছি না। তবে আজকে কয়েকটা ট্রলারে মালামাল পাঠানো হয়েছে। সেখানে খাদ্য সংকট তেমন হবে না।

 

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল বলেন, আমি শুনেছি ৩৮ জন শিক্ষার্থী সেন্টমার্টিনে আটকা পড়েছে। তারা হোটেলে অবস্থান করছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত তো তারা আসতে পারবে না। আর্থিক প্রয়োজন হলে বিভাগ তা দেখবে। আর প্রশাসনিক কোনো সহায়তা লাগলে আমরা তো আছি।

 

এইচ এম কাদের,সিএনএন বাংলা২৪