শওকত আলম, কক্সবাজার :
বাঙালি জাতিসত্তার কবি, সাগরীয় সভ্যতার ভূমিপুত্র, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক মুহম্মদ নুরুল হুদার পঞ্চ সপ্ততিতম জন্মদিন ও হুদা মেলা ঈদগাঁও আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের হলরুমে শনিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর সকাল এগারোটায় অনুষ্ঠিত হয়েছে।
অনুষ্ঠানের শুরুতে “বরণকুলা হুদামেলা স্মারক -২৩ ” বইটি উন্মোচন করেন জাতিসত্বার কবি মুহম্মদ নুরুল হুদা। অনুষ্ঠানে গান, নৃত্য পরিবেশন, কবিতা আবৃত্তি ও বাঙ্গালীর ঐতিহ্য হঁলা গান অনুষ্ঠিত হয়।
ঈদগাঁও আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খুরশিদুল জান্নাতের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, কক্সবাজার জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সদস্য সচিব এডভোকেট একরামুল হুদা পিপি, জেলা শিক্ষা অফিসার নাছির উদ্দীন,
লেখক ও কবি মনির ইউসুফ, লেখক, কবি ও সাংবাদিক হুমায়ুন ছিদ্দিক, কক্সবাজার জেলা সাহিত্য একাডেমির সভাপতি মুহম্মদ নুরুল ইসলাম প্রমুখ।
এসময় কবি মুহম্মদ নুরুল হুদা শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমি তোমাদের মাঝে উপস্থিত হয়ে আজকে যেনো নিজের শিশুবেলাকে খুঁজে পাচ্ছি। আমিও তোমাদের মত স্বপ্ন দেখে বিদ্যালয়ের উচ্চ মাধ্যমিক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ নিয়ে৷ নিজেকে নির্মাণ করেছি, কিন্তু আমার লক্ষ্যে আমি অবিচল ছিলাম। আজ আমি তোমাদের চোখমুখের দিকে তাকিয়ে যেনো আমাকেই দেখতে পাচ্ছি। আজ আমার জন্মদিন, কিন্তু আমার মনে হচ্ছে আজ আমার একার জন্মদিন নয়, আজ আমার এবং আমাদের জন্মদিন।
সম্মানিত অতিথি এড.একরামুল হুদা বলেন, আজ জাতিস্বত্বার কবি মুহম্মদ নুরুল হুদার জন্মদিনে আমাদের পরিবারের পক্ষ থেকে জানাই রক্তিম শুভেচ্ছা। আবেগ অনুভূতির সাথে শব্দের ঐকতান, আঞ্চলিক ভাষার কবিতা ও কতোটা রসাল, সুস্বাদু হতে পারে তা হুদার কবিতাগুলো পড়লে অনুমান করা যায়। নুরুল হুদা তার সৃষ্টিসরলতা নিয়ে আরো প্রাগ্রসর বিশ্ববিহারি হবেন এবং সাহিত্যের শাখা প্রশাখায় বিচরণের জন্মজনপদের ঐতিহ্যকে বেগবান করবেন -এই আমাদের দৃঢ বিশ্বাস।