নিজস্ব প্রতিনিধি, চট্টগ্রাম :
১৯৭৪ সালে চট্টগ্রামে বলুয়ারদিঘী খানকা-এ কাদেরিয়া সৈয়্যদিয়া তৈয়্যবিয়া থেকে প্রথম জশনে জুলুসে বের করা হয়। আর এতে নেতৃত্ব দেন আওলাদে রসুল, সিরিকোট দরবার শরীফের পীর হজরতুল আল্লামা ক্বারী সৈয়দ মুহাম্মদ তৈয়্যব শাহ (রা.)। বাংলাদেশে সর্বপ্রথম জশনে জুলস বের করে আঞ্জুমান-এ-রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্ট।
১৯৭৬ সাল থেকে ১৯৮৬ সাল পর্যন্ত এ জুলুসে নেতৃত্ব দেন হজরতুল আল্লামা ক্বারী সৈয়দ মুহাম্মদ তৈয়্যব শাহ (রা.)। ১৯৭৬ সালের পর থেকেই ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে ১২ রবিউল আওয়াল চট্টগ্রামের জুলুসের জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকে, যা ক্রমান্বয়ে দেশের অন্যান্য প্রতিষ্ঠান, দরবার, সংগঠন ও সংস্থাগুলোও আয়োজন করতে শুরু করে। ১৯৮৬ সালের পর জুলুসের নেতৃত্ব আসেন তৈয়্যব শাহ (রা.) এর সন্তান বর্তমান মোজেজা হুজুর সৈয়দ মুহাম্মদ তাহের শাহ (মা.জি.আ) ।
আজ পর্যন্ত এ জুলুসে নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন তিনি। সে ধারাতে বৃহস্পতিবার, ১২ রবিউল আওয়াল চট্টগ্রামের বৃহত্তম জশনে জুলুস সকাল ৮টায় শুরু হয়। এতে এবার অর্ধকোটি লোকের সমাগম হবে বলে ধারণা করছে আঞ্জুমান ট্রাস্ট কর্তৃপক্ষ।
এ বছরও জুলুসে নেতৃত্ব দেবেন আওলাদে রসুল সৈয়দ মুহাম্মদ তাহের শাহ (ম.জি.আ)। এতে উপস্থিত থাকবেন, সাজ্জাদানশিন পীর আল্লামা সৈয়দ মুহাম্মদ সাব্বির শাহ ও শাহজাদা আল্লামা সৈয়দ মুহাম্মদ কাসেম শাহ। মিলাদুন্নবী প্রায় সব ইসলামি দেশেই পালিত হয় এবং অন্যান্য দেশে যেখানে উল্লেখযোগ্য মুসলিম জনসংখ্যা আছে, যেমন ইথিওপিয়া, ভারত, যুক্তরাজ্য, তুরস্ক, নাইজেরিয়া, কোট ডিলভোয়ার, ইরাক, ইরান, মালদ্বীপ, মরক্কো, জর্ডান, লিবিয়া, রাশিয়া ও কানাডায় পালিত হয়ে থাকে।