আবদুল হাকিম রানা, পটিয়া :
চট্টগ্রামের পটিয়ায় প্রতিপক্ষের বিরুদ্বে ঘর নির্মাণে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। আর এর কারণ জানতে চাওয়ায় প্রতিপক্ষরা আবদুল্লাহ আল নোমান নামে এক ব্যক্তিকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছেন বলে পটিয়া প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত অভিযোগ করে প্রশাসনের কাছে জীবনের নিরাপত্তার আবেদন জানিয়েছেন। এ সংক্রান্তে তিনি পটিয়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছেন (নং সিআর ৫৯৮/২৩)। আদালত মামলাটি গ্রহণ করে প্রতিপক্ষ জাহাঙ্গীর আলম (৩৬), আবদুল বায়েছ (৬৩), ফরিদ আহমেদ (৪৮) সহ অজ্ঞাতনামা ১০-১২ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর হিসেবে ট্রিট করার নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানা গেছে ।
সংবাদ সম্মেলনে আবদুল্লাহ আল নোমান লিখিত বক্তব্যে বলেন, গোবিন্দারখীল মৌজায় ১১৫ শতাংশ জমি মোঃ বদিউল আলম বাবুল থেকে তিনি খরিদ করে নামজারীপূর্বক পটিয়া পৌরসভা থেকে বাড়ি নির্মাণের অনুমোদন নিয়ে কাজ শুরু করেন। বাড়ি নির্মাণে কাজ করতে গেলে বিবাদীরা বাধা প্রদান করে তাকে বিভিন্ন ধরনের ভয়-ভীতি ও হুমকি দিয়ে নির্মাণকৃত জায়গা আমমোক্তারনামায় মালিক দাবি করে তার বিপরীতে ৫ লক্ষ টাকা দাবি করে।
এরই ধারাবাহিকতায় গত ২০ সেপ্টেম্বর বিবাদীরা দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে অনাধিকার প্রবেশ করে আবদুল্লাহ আল নোমানকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে এবং মারধর করার অপচেষ্টা চালায় ।
এসময় তার কাছ থেকে দাবিকৃত টাকা না পেলে প্রতিপক্ষ ওই জমিতে ঘর নির্মাণ করতে দেবে না বলে আস্ফালন করে। আর এর কারণ জানতে চাইলে তাকে প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করায় তিনি নিরাপত্তাহীন হয়ে পড়েন।
পরবর্তীতে ভুক্তভোগী আবদুল্লাহ আল নোমান আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে মামলা দায়ের করলে আদালত সরাসরি মামলাটি আমলে নিয়ে উল্লেখিত আসামিদের বিরুদ্ধে এফআইআর এর নির্দেশ প্রদান করে পটিয়া থানাকে। মামলার বিষয়ে আসামিগণ জানতে পেরে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি এবং প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করেন বলে মামলার বাদী আবদুল্লাহ আল নোমান সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করে প্রশাসনের কাছে তার জীবনের নিরাপত্তার আবেদন জানিয়েছেন ।
এ বিষয়ে পটিয়া থানার ওসি (তদন্ত) সাইফুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আদালতের নির্দেশে মামলাটি এফআইআরের কাজ চলমান রয়েছে।