বাঁশখালী উপজেলা প্রতিনিধি:
চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে আদালতের নির্দেশনা অমান্য করে রাতের আঁধারে বিরোধীয় জায়গায় টিন দিয়ে মোড়ানো সীমানা প্রাচীরে অগ্নিসংযোগ ঘটিয়ে উল্টো প্রতিপক্ষকে মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাঁসানোর অভিযোগ উঠেছে।
রোববার দিবাগত রাতে উপজেলার শীলকূপ ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মাইজপাড়া এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে।
পরদিন বৃহস্পতিবার বিকেলে সরেজমিনে ঘটনাস্থল পরিদর্শনকালে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, ‘মৃত আব্দুর রহিম গং গভীর রাতে ১০শতক বিরোধীয় জায়গায় আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে টিনের বেড়া দিয়ে জায়গাটি দখল করে একটি লাকড়ির ঘর নির্মাণ করে। পরে ওই ঘরে কৌশলে আগুন ধরিয়ে দিয়ে প্রতিপক্ষকে মামলা দিয়ে হয়রানি করার পায়তারা চালিয়ে যাচ্ছে, এমনই অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।
এ ঘটনায় প্রতিপক্ষ এনামুল হক সিকদার অভিযোগ করে বলেন, আশরাফ আলী ও মোশাররফ আলী দুই ভাই আরএস ৮৫২ দাগের অংশীদার। মোশাররফ আলীর প্রাপ্য ৫ গন্ডা জায়গা নির্দয় কবলা মূলে তার স্ত্রী পরবর্তী রেজিস্টার্ড দলিল মূলে বাশীনা খাতুন। বাশীনা খাতুন ১৯৭০ সালে আমার বড় ভাই হাসান আহমদ গংকে বিক্রয় করে। তাছাড়া ৮৬৫ দাগের অংশীদার আব্দু ছত্তারের নিকট থেকে আমি ও আমার ভাইয়েরা ৬ গন্ডা ২ কড়া এবং ৬১১৮ দলিল মূলে ৪ গন্ডা খরিদ করি। অপর অংশীদার আশরাফ আলীর ৫ গন্ডা জমি মৃত আবদুর রহিম গং খরিদ করে বাড়ী ঘর নির্মাণ করে ভোগ দখলে আছে। তবুও তারা আমাদের জায়গা জোরপূবর্ক দখল করার যড়যন্ত্রে রাতের অন্ধকারে আমাদের জায়গায় টিনের বেড়া দিয়ে ভিতরে লাকড়ি রাখার স্তুপ নির্মাণ করে দখলের চেষ্টা চালায়। আমরা তাদেরকে মামলা চলমান অবস্থায় আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কাজ না করার জন্য নিষেধ করলে তারা আমাদেরকে বিভিন্ন মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে দিবে বলে হুমকি ধমকি দিয়ে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় গত সোমবার গভীর রাতে তারা বিরোধীয় জায়গায় সীমানা প্রাচীর ও লাকড়ির স্তুপের আগুন লাগিয়ে দেয়। আমরা এ বিষয়ে ঘটনার এক সপ্তাহ পূর্বে গত ৫ সেপ্টেম্বর তাদের বিরুদ্ধে বাঁশখালী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে সি.আর ১০৮৯ মামলায় নালিশী অভিযোগ দায়ের করি।’
মৃত আবদুর রহিম গং এর পক্ষে তার ছেলে আব্দুল্লাহ্ আল সাঈদ বলেন, ‘আমাদের জায়গায় প্রতিপক্ষের লোকজন গভীর রাতে হামলা করে। তাদের লোকজন ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ ঘটনা ঘটিয়েছে। বিরোধীয় জায়গায় আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কাজ করার বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন।