আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আন্তর্জাতিক বাজারে কমেছে স্বর্ণের দাম। স্বর্ণের বাজার পর্যবেক্ষণকারী সংবাদমাধ্যম কিটকো নিউজ ও অন্যান্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার বৈশ্বিক বাজারে প্রতি আউন্স (এক আউন্স = ২৮ দশমিক ৩৫ গ্রাম) স্বর্ণ বিক্রি হয়েছে ১ হাজার ৯৬৪ ডলারে।
এর আগে সর্বশেষ ২ মে তারিখে প্রতি আউন্স স্বর্ণ ২ হাজার ডলারের কমে বিক্রি হয়েছে। তারপর থেকে বাড়তে থাকে মূল্যবান এই ধাতুটির দাম। চলতি সপ্তাহের শুরুতেও প্রতি আউন্স স্বর্ণের বিক্রয়মূল্য ছিল ২০০০ ডলার। সেই হিসেবে বুধবার থেকে এ পর্যন্ত প্রতি আউন্সে স্বর্ণের দাম কমেছে ৩৬ ডলার।
সেই হিসেবে বর্তমানে স্বর্ণের যে বিক্রয়মূল্য, তা গত দুই সপ্তাহেরও বেশি সময়ের মধ্যে সর্বনিম্ন।
বাজার বিশ্লেষকদের মতে, স্বর্ণের বর্তমান মূল্যহ্রাসের ব্যাপারটি সরাসরি যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় সরকারের ঋণের সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কিত। স্বর্ণের বাজার বিশ্লেষণকারী মার্কিন সংস্থা এক্সিনিটির প্রধান বিশ্লেষক হান ত্যান রয়টার্সকে জানান, ‘মার্কিন সরকারের ওপর বর্তমানে যে বকেয়া ঋণের বোঝা চেপে আছে; সবাই আশায় আছে যে নির্ধারিত সময়সীমা পেরোনোর আগেই কেন্দ্রীয় সরকার তার একটি উপায় বের করতে পারবে। এই আশাবাদের প্রতিফলন ঘটেছে স্বর্ণের বাজারেও।’
২০২০ সালে জো বাইডেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর সরকার পরিচালনার জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ৩১ দশমিক ৪ ট্রিলিয়ন ডলার ঋণ নিয়েছে দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার। সেই ঋণ পরিশোধের শেষ সময় ১ জুন।
কেন্দ্রীয় সরকার চাইলে ঋণ পরিশোধের এই সময়সীমা আরও বাড়াতে পারে, তবে সেক্ষেত্রে দেশটির পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদের (হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভস) সংখ্যাগরিষ্ঠ রিপাবলিকান পার্টি ও কেন্দ্রীয় সরকারে আসীন ডেমোক্র্যাটিক পার্টির আইনপ্রণেতাদের ঐকমত্যে পৌঁছাতে হবে।
ঋণ পরিশোধের সময়সীমা বাড়াতে সম্প্রতি রিপাবলিকান এমপি ও প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার কেভিন ম্যাকার্থির সঙ্গে বৈঠক করেছেন জো বাইডেন। বৈঠকে ম্যাকার্থি জানিয়েছেন, ঋণ পরিশোধের সময়সীমা বাড়াতে রিপাবলিকান আইনপ্রণেতারা একমত, তবে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির এমপিরা ব্যয় কাটছাঁটের যে শর্ত দিয়েছেন, তা রিপাবলিকান এমপিরা সমর্থন করছে না।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের অর্থমন্ত্রী জ্যানেট ইয়েলেন বুধবার কেন্দ্রীয় সরকারকে সতর্কবর্তা দিয়ে বলেছেন, যদি ঋণ পরিশোধ বা পরিশোধের সময়সীমা বাড়াতে কেন্দ্রীয় সরকার ব্যর্থ হয়, সেক্ষেত্রে ব্যাপক চাপের মধ্যে পড়তে হবে মার্কিন অর্থনীতিকে।