ইয়াছমিন মুন্নী, কক্সবাজার:
কক্সবাজার পৌরসভার নাজিরারটেক এলাকা থেকে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ৭ জলদস্যুকে আটক করেছে র্যাব।
রবিবার (১০ সেপ্টেম্বর) রাত ২টার সময় কক্সবাজার পৌরসভার নাজিরারটেকের মোস্তাকপাড়া বাজারের উত্তর পশ্চিম মাছ ঘাটের চর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে দেশিয় অস্ত্র, কার্তুজসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।
৭ জলদস্যু হল— মহেশখালী উপজেলার কুতুবজোম ইউনিয়নের সোনাদিয়া দ্বীপের মৃত বাহাদুর মিয়ার ছেলে মো. মঞ্জুর আলম (৩৮), বাশখালী উপজেলার ছনুয়া ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের আবু তাহেরের ছেলে মো. বাহার উদ্দীন বাহার প্রঃ মাহবুব (৩২), কুতুবদিয়া উপজেলার আলী আকবর ডেইল ইউনিয়নের কালুর ডেইল গ্রামের মৃত সামসুল আলমের ছেলে মকছুদ আলম (৩২), পেকুয়া উপজেলাধীন মগনামা ইউনিয়নের কাকপাড়া গ্রামের মৃত সৈয়দুল করিমের ছেলে মো. তোফায়েল (২১), চকরিয়া উপজেলার বরইতলী ইউনিয়নের পূর্ব মোহাজের পাড়া গ্রামের বদিউল আলমের পুত্র মোঃ দিদার (৩০), হাটহাজারী উপজেলার মাদরাসা ইউনিয়নের উত্তর মাদরাসা এলাকার মৃত ইসহাকের পুত্র ইকবাল হোসেন (৩৫) এবং কক্সবাজার সদর উপজেলার পৌরসভার কুতুবদিয়া পাড়া এলাকার ইয়ার মোহাম্মদের পুত্র মোহাম্মদ রাশেদ (২৭)।
র্যাবের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন জানান, মঞ্জুর কুখ্যাত জলদস্যু সর্দার। দলবল নিয়ে ৮-১০ বছর ধরে সাগরে জলদস্যুতা করে আসছে। এছাড়াও সাগরে না গিয়েও জলদস্যুদের ডাকাতি করতে সাগরে পাঠান তিনি। কুলে থেকেই যাবতীয় বিষয় নিয়ন্ত্রণ করে সে। তার বিরুদ্ধে কক্সবাজার সদর ও মহেশখালী থানায় ৯টি মামলা রয়েছে।
জলদস্যু মো. বাহার উদ্দীন বাহার প্রকাশ মাহবুব ডাকাত দলের উপপ্রধান জানিয়ে র্যাব আরো জানান— মাহবুব জলদস্যু ডাকাত দলের উপ-প্রধান, অন্যতম পরিকল্পনাকারী ও সমুদ্রে ডাকাত দলের নেতৃত্ব দানকারী হিসেবে কাজ করে থাকে। অন্যান্য সদস্যদের মধ্যে মকছুদ ডাকাত দলের জনবল সরবরাহকারী ও মোহাম্মদ রাশেদ জলদস্যু দলকে নৌকা সরবরাহ করে অপরাধ কার্যে সহায়তা করে থাকে। এছাড়া তারা সবাই সমুদ্রে ডাকাতির কাজে সরাসরি অংশগ্রহণও করে।