আবদুল হাকিম রানা , পটিয়া:
নির্বাচন কমিশনের সচিব মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বলেছেন, ‘স্মার্টকার্ড সুবিধার কারণে সামনের যেকোনো নির্বাচনে প্রার্থীদের নির্বাচন অফিসে গিয়ে মনোনয়নপত্র দাখিল করতে হবেনা। তারা নির্বাচন কমিশনের আ্যাপস ব্যবহার করে সব তথ্য পূরণ সাপেক্ষে কোন ধরনের শোডাউন ছাড়া নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। এতে যেকোনো ধরনের সংঘর্ষসহ অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়ানো সম্ভব হবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘স্মার্ট কার্ড বাংলাদেশের নাগরিকদের ১৭৩টি নাগরিক সেবা প্রাপ্তি সহজ করবে।’
তিনি শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন কর্তৃক চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলায় স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধনকালে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন ।
এ উপলক্ষে পটিয়া সরকারি কলেজ অডিটোরিয়ামে আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রামের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান।
বিশেষ অতিথি ছিলেন নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক( গ্রেড-১) একেএম হুমায়ূন কবীর, চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান, জেলা পুলিশ সুপার এসএম শফিউল্লাহ। বক্তব্য রাখেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আতিকুল মামুন।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন।
অনুষ্ঠানে পটিয়ায় প্রথম স্মার্টকার্ড গ্রহন করে অনুভূতি প্রকাশ করেন চট্টগ্রাম-১২ আসনের সংসদ সদস্য, জাতীয় সংসদের হুইপ সামশুল হক চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনের সচিব মোঃ জাহাঙ্গীর আলম আরো বলেন, ২০০৮ সালে আমাদের টার্গেট ছিল ৩ কোটি ৮ লক্ষ ভোটারকে স্মার্টকার্ডের আওতায় আনা। এখন জনগণের চাহিদা ও আমাদের সক্ষমতার কারণে তা ১২ কোটি ভোটার পাচ্ছে। তিনি স্মার্টকার্ডের নানা সুবিধার কথা তুলে ধরে বলেন, স্মার্টকার্ড আয় করদাতা সনাক্তকরণ নম্বর, শেয়ার আবেদন ও বিও হিসাব খোলা, ড্রাইভিং লাইসেন্স করা ও নবায়ন, ট্রেড লাইসেন্স করা,পাসপোর্ট করা ও নবায়ন, যানবাহন রেজিস্ট্রেশন, চাকরির আবেদন, বীমা স্কিমে অংশগ্রহণ, স্থাবর সম্পত্তি ক্রয় বিক্রয়, বিয়ে ও তালাক রেজিস্ট্রেশন, ব্যাংক ঋণ, গ্যাস ও বিদ্যুতের সংযোগ, সরকারি বিভিন্ন ভাতা উত্তোলন,টেলিফোন ও মোবাইল সংযোগ, সরকারি সাহায্য, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তিসহ ১৭৩ টি নাগরিক সেবা প্রাপ্তি সহজ করবে।
তাছাড়া এখন জাতীয় সংসদ নির্বাচনসহ যেকোনো নির্বাচনে প্রার্থীদের নির্বাচন অফিসে শোডাউন করে গিয়ে মনোনয়ন দাখিল করতে হবে না। একটি স্মার্ট ফোন বা ল্যাপটপ থাকলেই চলবে। নির্বাচন কমিশনের অ্যাপস ডাউনলোড করে প্রার্থীরা সব তথ্যাদি পূরণ করে নির্বাচনে অংশ গ্রহন করতে পারবেন। এটাই স্মার্ট বাংলাদেশের সুফল। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে স্মার্ট নাগরিক, স্মার্ট সরকার, স্মার্ট অর্থনীতি ও স্মার্ট সমাজ গড়তে হবে। এজন্য সকলের মন মানসিকতারও পরিবর্তন করতে হবে। তিনি দেশের বাইরে থাকা ও নির্বাচনকালীন দায়িত্বরত নাগরিকরা যাতে স্মার্ট কার্ড ব্যবহারের মাধ্যমে জাতীয় নির্বাচন ভোট দিতে পারে সেই লক্ষ্য নির্বাচন কমিশন কাজ করছে বলে তথ্য প্রকাশ করে বলেন, শীঘ্রই এ বিষয়টির সুরাহা হবে।