ই-পেপার | শনিবার , ২৯শে জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সোনাগাজীতে মসজিদের মতোয়াল্লিকে অস্ত্র মামলায় ফাঁসানোর প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

মোঃ আবদুর রহিম জয় চৌধুরী, ফেনী:

ফেনীর সোনাগাজীতে মো. আবদুল্লাহ নামে মসজিদের এক মতোয়াল্লিকে অস্ত্র মামলায় ফাঁসানোর প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন তার ভাবী সাহেদা আক্তার ও মসজিদ কমিটির সদস্যরা।

 

সোমবার সকালে পৌর শহরের একটি রেস্টুরেন্টে তারা এ সংবাদ সম্মেলন করেন।এসময় উপস্থিত ছিলেন হাবিবিয়া মসজিদ পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবু সুফিয়ান, সহসভাপতি আবদুল্লাহ লেদু, প্রচার সম্পাদক হুমায়ূন কবির, কোষাধ্যক্ষ মো. ফারুক, ইব্রাহীম মোল্লা, সদস্য মো. নূরনবী ও আবদুল হাদী।

 

সংবাদ সস্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সাহেদা আক্তার। তিনি বলেন, ভাগ্নের অনৈতিক কাজের প্রতিবাদ করায় ও ভাইয়ের সঙ্গে জমির বিরোধ নিয়ে র‍্যাবকে ভুল তথ্য দিয়ে মিথ্যা অস্ত্র মামলায় আসামি করে তার দেবরকে হয়রানি করা হচ্ছে।
তিনি চরচান্দিয়া ইউনিয়নের হাবিবিয়া জামে মসজিদের মতোয়াল্লি ও কুয়েত প্রবাসী মো. সোলাইমানের স্ত্রী। তার দেবর মো. আবদুল্লাকে

ভারপ্রাপ্ত মতোয়াল্লির দায়িত্ব দিয়ে তার স্বামী কুয়েত চলে যান। তার সঙ্গে ভাসুর দাউদের জমি সংক্রান্ত বিরোধ রয়েছে। তার ননসের ছেলে তার স্বামীর ভাগ্নে জসিমকে উদ্দিন একজন চরিত্রহীন লম্পট শ্রেণির লোক। গত ১৮ আগস্ট সে অপরিচিত একজন নারী নিয়ে তার স্বামীর বাড়িতে অবস্থান নেন। অনৈতিক কাজে লিপ্ত থাকা অবস্থায় তার দেবর মসজিদের ভাপরপ্রাপ্ত মতোয়াল্লি মো. আবদুল্লাহসহ স্থানীয় গ্রামবাসী অনৈতিক কাজের প্রতিবাদ করেন। এতে জসিম উদ্দিন ও তার মামা দাউদ আবদুল্লাহর উপর ক্ষুব্ধ হন। তাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দেন এবং একা পেলে তাকে খুন জখমের হুমকি দেন। তার ভাসুর দাউদ, ভাগ্নে জসিম উদ্দিন ও তাদের সাঙ্গপাঙ্গদের অব্যাহত হুমকিতে ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে তার দেবর মো. আবদুল্লাহ বাড়ি ছেড়ে আত্মগোপনে চলে যান। আবদুল্লাহর অনুপস্থিতে তার পুকুরের মাছ ও ঘরের ফ্রিজ লুট করে বিক্রি করে দেন। তার দেবর আবদুল্লাহ মসজিদের তৃতীয় তলায় একটি কক্ষে থাকতেন। তার অনুপস্থিতে ওই কক্ষের তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে দুর্বৃত্তরা একটি পাইপগান, একটি ছুরি ও ছয় রাউন্ড কার্তুজ রেখে দিয়ে আরেকটি তালা ঝুলিয়ে গোপনে র‍্যাবকে খবর দেয়। দুর্বৃত্তদের দেওয়া ষড়যন্ত্রমুলক তথ্যের ভিত্তিতে গত ২৬ আগস্ট র‍্যাব সদস্যরা ওই কক্ষের তালা ভেঙে প্রবেশ করে উল্লেখিত অস্ত্রগুলো উদ্ধার করে। পরদিন ২৭ আগস্ট র‍্যাবের ডিএডি নুরুল আলম বাদী হয়ে তার দেবর আবদুল্লাহকে একমাত্র আসামি করে অস্ত্র আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। অভিযানের সময়ও তার দেবর আবদুল্লাহ সে কক্ষে ছিলেন না। র‍্যাবের অভিযান ও মামলার খবর শুনে তারা শংকিত হয়ে পড়েন। তিনি র‍্যাবকে তথ্যদাতাদের ফোনের কললিস্ট পর্যালোচনা করে ও তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে অস্ত্র সরবরাহকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান। মামলাটির সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত রহস্য উদঘাটন করে তার নির্দোষ দেবর মো. আবদুল্লাহকে মিথ্যা মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার দাবি জানান। প্রকৃত অস্ত্রধারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণেরও দাবি করেন তিনি।

 

উল্লেখ্য, র‍্যাব-৭ ফেনী ক্যাম্পের ডিএডি নূরুল আলমের দায়েরকৃত মামলায় উল্লেখ করেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‍্যাব জানতে পারে মসজিদের মতোয়াল্লি আবদুল্লাহর শয়নকক্ষে বিক্রির জন্য মাদকদ্রব্য মজুদ করা হয়েছে। সেই কক্ষে অভিযান চালিয়ে তোষকের নীচ থেকে অস্ত্রগুলো উদ্ধার করেন। র‍্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে আসামি আবদুল্লাহ সুকৌশলে পালিয়ে যান।

 

এইচ এম কাদের,সিএনএন বাংলা২৪