নিজস্ব প্রতিবেদক
নাটোরের গুরুদাসপুরে ‘জয় বাংলা’ স্লোগানের কারণে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষককে বরখাস্তের ঘটনায় জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকে তলব করেছেন হাইকোর্ট। আগামী ১৯ অক্টোবর তাকে সশরীরে হাজির হয়ে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।
একইসঙ্গে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দেওয়ার কারণে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষককে বরখাস্ত করা কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।
বুধবার (৩০ আগস্ট) বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মো. শওকত আলী চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ড. বশির আহমেদ। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সেলিম আজাদ।
পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলায় শোক দিবসের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দেওয়ায় দরিকাছিকাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষককে এমপির নির্দেশে বরখাস্ত করেছে জেলা শিক্ষা অফিস।
বুধবার (২২ আগস্ট) জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. গোলাম নবী স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে সহকারী শিক্ষক মাসুদুর রহমানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
গুরুদাসপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা খ. ম. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, রাজনৈতিক দলের অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ায় এমপি আব্দুল কুদ্দুসের নির্দেশে তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
এর আগে মাসুদুর রহমানকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিলে তিনি দোষ স্বীকার করে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। পরে ওই শিক্ষকের জবাবের বিষয়টি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের কাছে পাঠানো হলে তিনি সাময়িক বরখাস্তের আদেশ দেন। পরে এই ঘটনা চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন বশির আহমেদ।
এইচ এম কাদের,সিএনএন বাংলা২৪