ই-পেপার | শুক্রবার , ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ঢাকায় ইসলামিক ফ্রন্টের জনসভা অনুষ্ঠিত

সালেহ আহমদ (স’লিপক)

ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের উদ্যোগে সরকারের প্রভাবমুক্ত স্বাধীন নির্বাচন কমিশনের অধীনে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজন এবং সন্ত্রাস জঙ্গিবাদমুক্ত শান্তির সমাজ প্রতিষ্ঠার দাবিতে ঢাকায় বিশাল জনসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

 

শনিবার (২৬ আগষ্ট) সকাল ৯টায় রাজধানী ঢাকাস্থ বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ এর উত্তর গেইটে অনুষ্ঠিত জনসভায় সভাপতিত্ব করেন ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় চেয়ারম্যান পীরে তরিকত আল্লামা সৈয়দ বাহাদুর শাহ্ মোজাদ্দেদী।

 

সকাল ১০টায় জনসভা আরম্ভ হওয়ার কথা থাকলেও সকাল ৮টার মধ্যে বায়তুল মোকাররম এর আশপাশস্থ এলাকা লোকে লোকারণ্য হয়ে যায়। সকাল ৯টায় শুরু হওয়া জনসভায় বক্তব্য রাখেন, দলের কেন্দ্রীয় মহাসচিব শায়খুল হাদিস প্রিন্সিপাল আল্লামা জয়নুল আবেদীন জুবাইর। আরো বক্তব্য রাখেন, দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব পীরে তরিকত আল্লামা খাজা আরিফুর রহমান তাহেরী,পীরে তরিকত আল্লামা মোশাররফ হোসেন হেলালী, স ম হামেদ হোসাইন, এ এম মঈনউদ্দীন চৌধুরী হালিম, প্রিন্সিপাল আল্লামা এস এম ফরিদ উদ্দীন, আল্লামা কাজী জসিম উদ্দীন, এড. এ এম একরামুল হক, পীরে তরিকত আল্লামা সালাহউদ্দিন লতিফী, প্রিন্সিপাল এম ইব্রাহীম আখতারী, পীরে তরিকত আল্লামা সৈয়দ মাহমুদ শাহ্ মোজাদ্দেদী, পীরে তরিকত মাওলানা আবু হানিফ মধুপুরী, আল্লামা তাজুল ইসলাম চাঁদপুরী, এড. ইমদাদুল হক পাটোয়ারী, পীরে তরিকত আল্লামা নাজমুল হক আখন্দ, এইচ এম মুজিবুল হক শাকুর, এস এম আব্দুল করিম তারেক, প্রিন্সিপাল আল্লামা রফিকুল ইসলাম জাফরী, কুতুবুল হাসান চৌধুরী, প্রিন্সিপাল মাওলানা জসিম উদ্দিন তৈয়বী, তরিকুল হাসান লিংকন, অধ্যাপক সৈয়দ হাফেজ আহমদ, মাওলানা বদরুর রেজা সেলিম, প্রিন্সিপাল মাওলানা সামসুদ্দোহা, আল্লামা হাসানুল হক নক্সবন্দী, এ এস এম কাউসার, মাওলানা ওয়াহেদ মুরাদ, কফিল উদ্দীন রানা, এস এম আবু ছাদেক ছিটু প্রমুখ।

 

ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় চেয়ারম্যান পীরে তরিকত আল্লামা সৈয়দ বাহাদুর শাহ্ মোজাদ্দেদী তার বক্তব্যে বলেন, গণতান্ত্রিক সংস্কৃতিতে কোনরূপ সরকারই নির্বাচন পরিচালনা করে না। নির্বাচন পরিচালনা করে নির্বাচন কমিশন। এক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন সরকারের প্রভাবমুক্ত থাকবে হবে। আর নির্বাচন কমিশনকে নির্বাহী ক্ষমতা প্রদান করতে হবে। সুতরাং কোনরূপ সরকার নয় বরং সরকারের প্রভাবমুক্ত স্বাধীন নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচনই রাজনীতিতে সৃষ্ট সঙ্কটের অবসান হতে পারে। সকল দলের অংশগ্রহণের মাধ্যমেই একটি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের করতে হবে।

 

তিনি আরও বলেন, এদেশের অভ্যন্তরীন বিষয় নিয়ে বিদেশিদের দৌড়ঝাঁপ তথা অযাচিত হস্তক্ষেপ কূটনৈতিক শিষ্টাচার বহির্ভূত। আগামী নির্বাচনে দুর্নীতিগ্রস্ত, ঋণখেলাপী, কালো টাকার মালিকদের নির্বাচনে মনোনয়ন না দেয়ার জন্যও তিনি রাজনৈতিক দলসমূহের প্রতি আহবান জানান। দেশ থেকে অর্থ পাচারকারীদের চিহ্নিত পূর্বক পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনতে বলিষ্ঠ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। দেশদ্রোহী স্বাধীনতা বিরোধী চক্রের যাবতীয় চক্রান্ত ষড়যন্ত্র বন্ধে উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। শিক্ষাক্ষেত্রে সর্বপ্রকার বৈষম্য দূর করাসহ অভিন্ন শিক্ষানীতি প্রণয়ন, কোরআন-সুন্নাহ বিরোধী যে কোনপ্রকার আইন প্রনয়ন থেকে বিরত থাকা এবং ব্যাংকিং সেক্টরে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনাসহ আমদানি নির্ভরতা কমিয়ে রফতানির উপর গুরুত্বারোপ করতে হবে বলে তিনি জোর দাবী জানান।

 

কেন্দ্রীয় মহাসচিব জাতীয় নেতা শায়খুল হাদিস প্রিন্সিপাল আল্লামা জয়নুল আবেদীন জুবাইর তার বক্তব্যে বলেন, দুর্নীতি, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ জাতীয় উন্নয়ন অগ্রগতির অন্যতম প্রধান অন্তরায়। দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন উর্ধগতিতে নাগরিক জীবন ওষ্ঠাগত। যা নিয়ন্ত্রণে সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের রুখতে হবে। সাম্প্রতিক সময়ের কিশোরগ্যাং এর অস্বাভাবিক দৌরাত্ম্য প্রতিরোধে বলিষ্ঠ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। রাজনৈতিক অঙ্গনে বৃহৎ দু’টির পারস্পরিক যুদ্ধংদেহী অবস্থান ক্রমাগত নির্বাচনী পরিবেশকে কলুষিত করছে। এতে ভীতিকর অবস্থা সৃষ্টি হয়ে জনগণ ভোটকেন্দ্র বিমূখ হওয়ার সমূহ আশঙ্কা রয়েছে। সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার কোন বিকল্প নেই। যেজন্য সকল পক্ষেরই পারস্পরিক ঐকমত্য জরুরি বলে তিনি মন্তব্য করেন।

 

এইচ এম কাদের,সিএনএন বাংলা২৪