ই-পেপার | মঙ্গলবার , ১৮ই জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

পেকুয়ায় প্রবাসীর বাড়িতে দুর্ধর্ষ চুরি, অর্ধ কোটি টাকার মালামাল লুট

নিজস্ব প্রতিনিধি, পেকুয়া

কক্সবাজারের পেকুয়ায় এক প্রবাসির বাড়ি থেকে ৪০ ভরি স্বর্ণালংকার, নগদ টাকা, মুল্যবান কাগজপত্র ও কাপড়চোপড়সহ প্রায় অর্ধকোটি টাকার মালামাল চুরির ঘটনার তিন দিন পার হলেও অধরা রয়েছে চোরচক্র! ঘটনার পর প্রবাসির পরিবারের পক্ষ থেকে পেকুয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়া হলেও ঘটনার কোন কুলকিনারা পায়নি পুলিশ।

 

জানা গেছে, গেল ২৩ আগস্ট দিবাগত রাতে পেকুয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের শেখেরকিল্লা ঘোনা গ্রামে কেজিস্কুল সংলগ্ন প্রবাসী মাওলানা শহিদুল হকের বসতবাড়ীতে দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনা সংঘটিত হয়। রাতের আঁধারে অজ্ঞাতনামা চোরচক্র প্রবাসির পাকা বাড়ির লোহার জানালার গ্রিল কেটে ভেতরে প্রবেশ করে আলমিরায় রক্ষিত ৪০ ভরি স্বর্ণালংকার, নগদ টাকাসহ প্রায় অর্ধকোটি টাকার মালামাল চুরি করে নিয়ে যায়। ঘটনার পর প্রবাসির স্ত্রী হালিমাতুস সাদিয়া (৩২) বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা চোরের বিরুদ্ধে পেকুয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। ইতিমধ্যে পেকুয়া থানার এসআই অমর বিশ্বাস বেশ কয়েকবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তবে প্রবাসির বাড়িতে চুরির রহস্য উদঘাটনসহ ঘটনার কোনো কুলকিনারা খুঁজে পায়নি পুলিশ।

 

পেকুয়া থানায় দায়েকৃত অভিযোগে প্রবাসীর স্ত্রী উল্লেখ করেন, ঘটনার দিন তাদের বাড়ীতে আত্মীয় স্বজন বেড়াতে আসলে তারা রাতে খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। এরপর গভীর রাতে তারা যখন ঘুমে আচ্ছন্ন ছিলেন তখন অজ্ঞাতনামা চোরচক্র সুযোগ বুঝে বাড়ীর উত্তর পাশের লোহার জানালা কেটে প্রবেশ করে আলমিরায় রক্ষিত ৪০ভরি স্বর্ণালংকার, যার বর্তমান বাজারমূল্য ৩৮ লক্ষ টাকা, আলমিরায় রাখা নগদ ৩ লক্ষ টাকা, একটি নতুন আইফোন, কাপড়-চোপড়, বাড়ির মুল্যবান কাগজপত্রসহ প্রায় অর্ধকোটি টাকার মালামাল নিয়ে যায় চোরের দল। তিনি সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখতে পান ঘরের সব জানালা দরজা বন্ধ। তখন তিনি ঘরের দরজা খুলতে না পেরে শোর-চিৎকার করলে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে ঘরের দরজা খুলে দেয়।

 

স্থানীয়দের সূত্রে জানা গেছে, পেকুয়া কেজি স্কুলের আশেপাশে কয়েকটি গ্রামের বেকার কিছু যুবক, ৮-১০ জনের একটি সিন্ডিকেট গঠন করে বিভিন্ন সময় রাতের আঁধারে পেকুয়া সদরের বিভিন্ন বাসা বাড়িতে চুরি করে থাকে। প্রতিদিন রাতে পেকুয়া উপজেলা সদরের বিভিন্ন বাসা-বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে কোথাও না কোথাও চুরি সংঘটিত হচ্ছে। চুরির ঘটনার পর ভূক্তভোগীরা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলেও কোন প্রতিকার পাচ্ছেননা বলে অভিযোগ উঠেছে। ভূক্তভোগীরা থানায় অভিযোগ দায়ের করলেও চোর চক্রের কোন সদস্যকে আটক করতে পারেনি পুলিশ। এ কারণে বিভিন্ন বাসা বাড়িতে চুরি অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছে।

 

পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওমর হায়দার বলেন, গত কয়েক দিন পূর্বে প্রবাসীর বাড়িতে চুরির ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্তের জন্য থানার উপপরিদর্শক অমর বিশ্বাসকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

 

এইচ এম কাদের,সিএনএন বাংলা২৪