ই-পেপার | রবিবার , ২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

মোখা: প্রস্তুত রেড ক্রিসেন্টের সাড়ে ৪ হাজার স্বেচ্ছাসেবক

নিজস্ব প্রতিবেদক অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবিলায় ও জরুরি সহায়তায় সরকারের সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি। উপকূলীয় অঞ্চলের জনমানুষের জানমালের নিরাপত্তায় উপকূলীয় অঞ্চলজুড়ে ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির (সিপিপি) ৭৬ হাজার স্বেচ্ছাসেবকের সঙ্গে কাজ করতে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সাড়ে ৪ হাজারের বেশি স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রয়েছেন।শুক্রবার (১২ মে) বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

 

এতে বলা হয়, এরইমধ্যে মোখা মোকাবিলায় সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে কক্সবাজার, টেকনাফ, সেন্ট মার্টিন ও ভাসানচরে সোসাইটির স্বেচ্ছাসেবকদের মাঠে নামানো হয়েছে। সেন্ট মার্টিনে প্রশিক্ষিত ইউনিয়ন ডিজাস্টার রিস্ক ম্যানেজমেন্ট টিম (ইউডিআরটি) কমিটির সদস্যদের কাছে প্রাথমিক চিকিৎসার সরঞ্জামাদি দেওয়া হয়েছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে সার্চ অ্যান্ড রেসকিউ সরঞ্জামও। এছাড়া উপকূলীয় অঞ্চলের অধিবাসীদের জন্য শুকনো খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সরবরাহের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।

 

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সমুদ্রবন্দরগুলোতে বিপদ সংকেত ও সতর্ক বার্তা প্রচারে কাজ করছেন রেড ক্রিসেন্টের স্বেচ্ছাসেবকরা। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে বসবাসরত বিপদগ্রস্ত মানুষদের সচেতন করতে মাইকিং করছেন তারা।

প্রস্তুতি প্রসঙ্গে রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির মহাসচিব কাজী শফিকুল আযম বলেন, অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবিলায় ও এর প্রভাবে বিপদগ্রস্ত মানুষের জরুরি সহায়তায় প্রায় ৩ কোটি টাকা বরাদ্দ রেখেছে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি। উপকূলীয় অঞ্চলজুড়ে প্রস্তুত আছে সোসাইটির সাড়ে ৪ হাজারের বেশি স্বেচ্ছাসেবক। এছাড়া তারপলিন, জেরিকেন, স্লিপিং ম্যাট, বালতি, হাইজিন কিটসহ অন্যান্য সামগ্রী মজুত রেখেছে সোসাইটি, যা প্রয়োজনে বিতরণ করা হবে।

 

ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবিলায় ঝুঁকিপূর্ণ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে মাইকিং করে স্থানীয় জনগণকে সচেতন করছেন রেড ক্রিসেন্টের স্বেচ্ছাসেবকরা। এছাড়াও বাড়ি বাড়ি গিয়ে ঘূর্ণিঝড়ে করণীয় বিষয়ে স্থানীয়দের অবগত করছেন তারা। টেকনাফ ও ভাসানচরের রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতেও ঘূর্ণিঝড় বিষয়ক সচেতনতামূলক বার্তা পৌঁছে দিতে কাজ করছেন সোসাইটির স্বেচ্ছাসেবকরা।

 

ঘূর্ণিঝড় মোখার ক্ষয়ক্ষতি কমাতে আবহাওয়া অধিদপ্তর, সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক, ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিপি), আইএফআরসি, আরআরআরসির সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করছে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি।