নিজস্ব প্রতিবেদক :
চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত থেকে জামিন নামঞ্জুর হওয়ার পর মিথ্যা তথ্য লিখে একই দিনে আসামিদের জামিন দেওয়ার ঘটনায় কক্সবাজারের জেলা জজ মোহাম্মদ ইসমালের নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনার আবেদন গ্রহণ করেছেন হাইকোর্ট। ক্ষমা প্রার্থনার আবেদন গ্রহণ করে তাকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. হাবিবুল গনি ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ বিষয় নিয়ে আদেশের ধার্য দিনে এ আদেশ দেন। একই সাথে বিচারিক আদালতে জেলা জজ কোর্ট থেকে জামিন পাওয়া ৯ আসামির জামিন কেন বাতিল করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।
গত ২১ জুন কক্সবাজারের জেলা ও দায়রা জজকে তলব করেছিলেন হাইকোর্ট। ২০ জুলাই আদালতে উপস্থিত হয়ে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেছিলেন তিনি।
জানা যায়, জমি দখল নিয়ে চলতি বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি ভয়ভীতি প্রদর্শন ও আইনশৃঙ্খলা বিঘ্ন ঘটনার অভিযোগে মিঠাছড়ি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইউনুছ ভুট্টোসহ নয়জনের বিরুদ্ধে একই ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান খোদেস্তা বেগম রিনা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত–১ ও আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নকারী দ্রুত বিচার আদালতে নালিশি মামলা করেন।
মামলায় আসামিরা হাইকোর্টে আগাম জামিন চাইলে হাইকোর্ট ১১ এপ্রিল তাদের ছয় সপ্তাহের জামিন দিয়ে কক্সবাজারের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণ করতে নির্দেশ দেন। হাইকোর্টের সেই আদেশ মোতাবেক গত ২১ মে আসামিরা আত্মসমর্পণ করে ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে জামিন চান। আদালত ৯ আসামির জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়ে দেন। কিন্তু একই দিন আসামিরা কক্সবাজারের জেলা ও দায়রা জজ আদালতে জামিন চেয়ে আবেদন করেন। তখন জেলা ও দায়রা জজ তাদেরকে জামিন দেন। এ আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আবেদন করেন রিনা। তার এই আবেদনের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট জেলা ও দায়রা জজকে তলব করেন।
নুর মোহাম্মদ, সিএনএন বাংলা২৪