বার্তা পরিবেশক:
আজ ৩ মে, বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস। মুক্ত সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যমের দাবিতে প্রতি বছর বিশ্বজুড়ে দিবসটি পালিত হয়। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘ধরিত্রীর জন্য গণমাধ্যম: পরিবেশগত সংকট মোকাবিলায় সাংবাদিকতা’।
ইউনেস্কোর ওয়েবসাইট থেকে জানা যায়, এবার মুক্ত গণমাধ্যম দিবসের মূল আয়োজনটি হচ্ছে চিলিতে। ইউনেস্কো ও চিলি যৌথভাবে এর আয়োজন করেছে।
২ মে থেকে ৪ মে চিলি এবং ইউনেস্কো বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবসের ৩১তম সম্মেলনের আয়োজন করবে। চিলির সান্তিয়াগোতে বৈশ্বিক এ আয়োজনে সরাসরি ও ভার্চুয়ালি যুক্ত থাকবেন বিশ্বের মুক্ত গণমাধ্যম আন্দোলনের নেতাকর্মীরা।
এবারের বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবসে বর্তমান বৈশ্বিক পরিবেশগত সংকটের প্রেক্ষাপটে সাংবাদিকতা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতার ওপর গুরুত্বারোপ করা হবে।
১৯৯১ সালে ইউনেস্কোর ২৬তম সাধারণ অধিবেশনের সুপারিশ অনুসারে ১৯৯৩ সালে জাতিসংঘের সাধারণ সভায় ৩ মে তারিখটিকে বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবসের স্বীকৃতি দেয়া হয়। এর পর থেকে বিশ্বব্যাপী গণমাধ্যমকর্মীরা দিবসটি পালন করে আসছেন।
সাংবাদিকতার স্বাধীনতা, গণমাধ্যমের মৌলিক নীতিমালা অনুসরণ, বিশ্বব্যাপী গণমাধ্যমের স্বাধীনতার মূল্যায়ন, পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় ক্ষতিগ্রস্ত ও জীবনদানকারী সাংবাদিকদের স্মরণ ও তাদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয় দিবসটিতে।
রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার্স (আরএসএফ) প্রতি বছর ১৮০টি দেশ ও অঞ্চলের মধ্য থেকে বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম সূচক প্রকাশ করে। আরএসএফের গত বছর প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, মুক্ত গণমাধ্যম সূচকে ২০২৩ সালে একধাপ পিছিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান ১৬৩তম। বাংলাদেশের স্কোর ছিল ৩৫ দশমিক ৩১। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে দিবসটি পালন করা হয়।
বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) জানিয়েছে, জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিতের বিকল্প নেই। চলমান জলবায়ু সংকট ও প্রাকৃতিক বিপর্যয় মোকাবিলায় গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও সুরক্ষা নিশ্চিতের বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দিতে হবে।