ই-পেপার | শুক্রবার , ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

আদালতে মামলা করায় বাঁশখালীতে বাদীকে হত্যার হুমকি

বাঁশখালী (প্রতিনিধি) চট্টগ্রামঃ

আদালতে মামলা করায় বাদীকে হত্যার হুমকি ও বসতভিটার পুকুর থেকে পানি সেচ করে মাছ লুটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ভূক্তভোগী বাঁশখালী থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের এর বিষয়টি প্রক্রিয়াধিন বলে জানান।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, বাঁশখালী উপজেলার পশ্চিম চাম্বল চরতিয়া পাড়া ২ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার বিধবা মহিলা আয়েশা ছিদ্দিকার স্বামী মৃত মো. হোছাইনের সাফ কবলা দলিল মূলে খরিদা জমিতে স্থানীয় একদল সন্ত্রাসী বিধবার অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে বসতভিটাসহ সম্পত্তি আত্মসাতের লক্ষ্যে বিভিন্ন গাছের চারা রোপন ও ছাউনিযুক্ত রান্নাঘর নির্মাণ করেন। একইসাথে আসামীগণ তাদের বসতভিটার বাথরুমের ময়লা বাদীর দখলীয় জায়গায় ছেড়ে দিয়ে পরিবেশ দূষিত করে চলছে।

 

আসামীগণ বেআইনিভাবে কোনো ধরণের কাগজপত্র প্রদর্শন না করে জোরপূর্বক জমি দখলের পায়ঁতারা চালায়। বাদী অভিযোগ করে বলেন, আসামীরা আমার পুকুরের ১০ হাজার টাকার মাছ লুট করে নিয়ে যায়। সরকারী জরুরী সেবা ৯৯৯ এ ফোন করলে ঘটনাস্থলে পুলিশ আসে। পুলিশ ঘটনার আলামত প্রত্যক্ষ করে। এ বিষয়ে তিনি ২৯ এপ্রিল চট্টগ্রামের বাঁশখালী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় পশ্চিম চাম্বল চরতিয়া পাড়ার মৃত মোছন আলীর ছেলে নুর মোহাম্মদ (৪২), দিদারুল ইসলাম (৩৫), রিদুয়ানুল ইসলাম (২৩) ও মৃত হাছন আলীর পুত্র আবদুর রহমান (৪০), মো. ফোরকান (৪৫), রবিউল আলম (৩৮) সহ চৌদ্দজনকে আসামি করা হয়।

 

এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে ১ মে আসামিরা বাদীকে মামলা প্রত্যাহার করতে বলে। অন্যথায় হত্যা করে লাশ গুম করার হুমকি দেয়। দা, ছুরি, লাঠি দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে বাদি ও তার পরিবারকে হত্যার উদ্দ্যেশ্যে তেড়ে আসেন। অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে সংঘবদ্ধ ওই চক্রটি।

 

ভূক্তভোগী আয়েশা ছিদ্দিকা বলেন, মামলা করার পর থেকেই সন্ত্রাসী নুর মোহাম্মদ, দিদারুল ইসলাম, রিদুয়ানুল ইসলাম, আবদুর রহমান, মো. ফোরকান, রবিউল আলম তাদের সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে আমাদেরকে দিন রাত হত্যার হুমকি ও মামলা তুলে নিতে চাপ দিয়ে যাচ্ছে। আমি ও আমার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় আছি, আমরা বাসায় থাকতে পারছিনা। সাক্ষীরাও পালিয়ে বেড়াচ্ছে।

 

এ বিষয়ে বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তোফায়েল আহমেদ বলেন, অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’