সালেহ আহমদ (স’লিপক):
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার বেশ কিছু বিশিষ্ট মানুষ বিগত মাসে শমশেরনগর হাসপাতালের সাথে সম্পৃক্ত হয়েছেন। ভানুগাছ থেকে ধলাইর ডাক পত্রিকার সম্পাদক মোহাম্মদ আনহার আলী, কানাডা থেকে ব্যরিস্টার ওয়াসিম আহমদ, লন্ডন থেকে নুরুজ্জামান চৌধুরী রাসেল ও শেখ মোহাম্মদ আতিকুর রহমান। এরই ধারাবাহিকতায় সম্পৃক্ত হলেন কমলগঞ্জ উপজেলা ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোহাম্মদ মোফাসসিল আলম সোহেল।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৭টায় শমশেরনগর হাসপাতাল নির্বাহী কমিটির অন্যতম সহ-সভাপতি তরুণদের আইকন মোস্তাক আহমদ গোল্ডকাপের প্রবক্তা বৃটেন প্রবাসী ব্যবসায়ী মোহাম্মদ মোস্তাক আহমদের হাত ধরে এক ভার্চ্যুয়াল মিটিং এর মাধ্যমে শমশেরনগর হাসপাতাল পরিবারভুক্ত হলেন কমলগঞ্জ উপজেলা ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোহাম্মদ মোফাসসিল আলম সোহেল।
লন্ডন থেকে হাসপাতালের প্রধান রূপকার ময়নুল ইসলাম খানের সঞ্চালনায় ভার্চ্যুয়াল সভায় হাসপাতাল নির্বাহী কমিটির সভাপতি বরেণ্য কণ্ঠশিল্পী সেলিম চৌধুরী সাদরে বরণ করে নেন মোহাম্মদ মোফাসসিল আলম সোহেলকে। এসময় বাংলাদেশ থেকে সংযুক্ত ছিলেন সিনিয়র সহ-সভাপতি সাংবাদিক ও শিক্ষাবিদ মুজিবুর রহমান রঞ্জু, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আব্দুস সালাম, বৃটেন থেকে সভাপতি মন্ডলীর সদস্য এ কে এম জিল্লুল হক, কবি ও গবেষক সৈয়দ মাসুম, ব্যাংকার সৈয়দ সোহেল আহমদ, সহ-সভাপতি আলাউর রহমান খান শাহীন, মোস্তাক আহমদ প্রমুখ।
বৃটেন প্রবাসী মোহাম্মদ মোফাসসিল আলম সোহেল ভার্চ্যুয়াল সভায় প্রাথমিকভাবে শমশেরনগর হাসপাতাল তহবিলে এক লক্ষ টাকা প্রদানের ঘোষণা দেন। তিনি এই হাসপাতালের সাংগঠনিক কাজে সম্পৃক্ত হওয়ারও ইচ্ছে ব্যক্ত করেন। এরই প্রেক্ষিত ভার্চ্যুয়াল সভায় সংযুক্ত সভ্যগণ হাসপাতাল কমিটির পক্ষ থেকে তাকে বরণ করে নেন।
উল্লেখ্য, মোহাম্মদ মোফাসসিল আলম সোহেলের জন্ম ১৯৭৯ইং সালে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার ভানুগাছে। তাঁর পিতা আলহাজ্ব মোহাম্মদ মহরম আলী আর মাতা মিনারা আলী। পৈতৃক নিবাস কমলগঞ্জের আলীনগর ইউনিয়নাধীন চিৎলিয়া গ্রামে। এলাকার মানুষের নিকট তাঁদের বাড়িটি মহালদার বাড়ি নামে পরিচিত।
ষাট ও সত্তরের দশকে কমলগঞ্জের বিশিষ্ট কয়েকজন পাহাড় মহালদারের মধ্যে মহরম আলী একজন। মহরম আলীর পিতা হাজী ছৈদ উল্লাহও এলাকায় অত্যন্ত ধনাঢ্য, ব্যবসায়ী ও ভূস্বামী ছিলেন। ষাটের দশক থেকেই কমলগঞ্জের এক প্রসিদ্ধ ব্যবসায়ী পরিবার হিসাবে মহরম আলী ও তাঁর পরিবার পরিচিত। মোহাম্মদ মোফাসসিল আলম সোহেলের পিতা মহরম আলী শুধু মহালদারী ব্যবসার সাথেই নয়, তিনি ঠিকাদারি, আড়ৎদারী ও ডিলারশীপ ব্যবসার সাথেও জড়িত ছিলেন।
পাকিস্তান শাসনামলের প্রথম দিকে দুর্গম ও পাহাড়ি এলাকা কমলগঞ্জে যাতায়াত ও পাহাড় থেকে গাছ আহরণে হাতি ব্যবহৃত হতো। সেই সময় ধনাঢ্য মানুষরা ব্যবসায়িক কারণে হাতি পুষতেন। মোহাম্মদ মোফাসসিল আলম সোহেলের দাদার সেই সময় থেকেই বেশ কয়েকটি হাতি ছিলো যা অদ্যবদি বিদ্যমান। তাঁর নানা আহমদ আলী মাষ্টার কুলাউড়া উপজেলার কর্মধা ইউনিয়নের পরিচিত মুখ ও সর্বজন শ্রদ্ধেয়।
মোহাম্মদ মোফাসসিল আলম সোহেল কমলগঞ্জ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি ও সিলেট মদন মোহন কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করেন। ২০০৩ সালে সোহেল বিলেত পাড়ি দেন। বৃটেনে তিনি বিভিন্ন সামাজিক ও ব্যবসায়িক কর্মকান্ডের সাথে সম্পৃক্ত আছেন। একটি সফল ব্যবসায়ী পরিবারের উত্তরাধিকারী হিসাবে নিজেকে সব সময় ব্যবসায়িক কর্মকান্ডে জড়িয়ে রাখাটাকেই তিনি পছন্দ করেন। বিদেশের মতো দেশেও তাঁর বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
মোহাম্মদ মোফাসসিল আলম সোহেলরা দুই ভাই আর এক বোন। তাঁর একমাত্র বোন শারমিন সুলতানা জেসি ও ভাই মোস্তাফিজুর আলম শানু উভয়েই লন্ডনে বসবাস করেন। ব্যক্তি জীবনে মোহাম্মদ মোফাসসিল আলম সোহেল বিবাহিত এবং দুই ছেলে ও এক মেয়ে সন্তানের জনক। তিনি স্বস্ত্রীক সন্তানাদি সহ লন্ডনের ক্যামডেন এলাকায় বসবাস করেন।