ই-পেপার | রবিবার , ২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ভ্রাম্যমান আদালতে আবাদি জমির মাটি বিক্রির অপরাধে নগদ অর্থ জরিমানা

 

মোঃ বেল্লাল হোসাইন নাঈম,নোয়াখালী :

নোয়াখালীর চাটখিলে বেকুব দিয়ে অবৈধভাবে আবাদি জমির উর্বর মাটি বিক্রি করার অপরাধে ভ্রাম্যমান আদালত মাধ্যমে অর্থ দন্ড করা হয়েছে।

বুধবার (২৩ এপ্রিল) বিকেল ৩টায় উপজেলার রামনারায়নপুর ইউনিয়নে কৃষি জমির মাটি উত্তোলন ও পরিবহনের দায়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে এক মাটির ব্যবসায়ীকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট শেখ এহসান উদ্দীনের নেতৃত্বে এই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়।

এ সময় উপস্থিত আরো ছিলেন উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) আকিব ওসমান, স্থানীয় ইউপি মেম্বার, ইউনিয়ন ভূমি উপ সহকারী কর্মকর্তা, চাটখিল থানা পুলিশ ও আনসার সদস্যরা সার্বিক সহযোগিতা করে।

ভ্রাম্যমান আদালত সূত্রে জানা যায় মঙ্গলবার বিকেল ৩ টার সময় উপজেলার রামনারায়নপুর ইউনিয়নের ৬নং নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ রামনারায়নপুর এলাকায় অবৈধভাবে মাটি উত্তোলন ও পরিবহনের দায়ে মো. আবুল কালাম কে একলক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়।

স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন,নোয়াখালী-১ চাটখিল সোনাইমুড়ী আসনের সংসদ সদস্য এইচএম ইব্রাহিম নিষেধ করার পরও মাটি ব্যবসায়ীরা কিভাবে আবাদি জমির উর্বর মাটি কেটে বিক্রি করে।

তারা কি স্থানীয় এমপির চেয়েও ক্ষমতাবান। তারা আরো বলেন উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় কৃষি জমির উপরিভাগের উর্বর মাটি কাটার কারণে জমিগুলোতে চাষাবাদ বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে।

এছাড়াও মাটি পরিবহনের কারণে এলাকার রাস্তাঘাট দ্রুত নষ্ট হয়ে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে যাচ্ছে।

প্রশাসন অভিযানেও এসব মাটি কাটা স্থায়ীভাবে বন্ধ হয় না। আমরা চাই, এসব অবৈধ মাটি কাটা ও পরিবহনে স্থায়ীভাবে বন্ধ হোক।’

চাটখিল উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট শেখ এহসান উদ্দীন বলেন, ‘মাটি ও বালু ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ এর ৪ ধারার অপরাধে তার কাছ থেকে এক লক্ষ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

তিনি এই কাজের পুনরাবৃত্তি করবেন না বলেও মুচলেকা প্রদান করেছেন। জনকল্যাণে উপজেলা প্রশাসনের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।’

অপরদিকে, গতকাল মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বিকেলে চাটখিল উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট শেখ এহসান উদ্দীন ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের বানসা বাজার এলাকায় অবৈধভাবে মাটি উত্তোলন ও পরিবহনের দায়ে একই ইউনিয়নের পাল্লা গ্রামের মো. আবুল হোসেনের ছেলে মো: হারুনুর রশিদ প্রকাশ মাটি হারুনকে কৃষি জমির মাটি উত্তোলন ও পরিবহনের দায়ে “মাটি ও বালু ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ এর ৪ ধারায়” অপরাধে মাটি হারুনকে এক লক্ষ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। তিনি এই কাজের পুনরাবৃত্তি করবেন না বলেও মুচলেকা প্রদান করেছেন।