নিজস্ব প্রতিবেদক:
টাঙ্গাইলের গোপালপুর, মধুপুর ও ঘাটাইল উপজেলায় গরু চুরি থামছেই না। প্রতি রাতেই চুরি যাচ্ছে গরু। খামার মালিকরা এখন গবাদি পশু নিয়ে উদ্বিগ্ন।
গোপালপুর উপজেলার নগদাশিমলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান সোহেল জানান, তার ইউনিয়নে দুই সপ্তাহে চারটি চুরির ঘটনা ঘটে। গত ২৫ ফেব্রুয়ারি সৈয়দপুর গ্রামের ইসা মিয়ার দুটি গরু চুরি যায়। এর দুদিন পর মাকুল্লা গ্রামের তুহিন আলমের দুটি গাভিসহ চারটা গরু চুরি যায়।
গত পরশু মাকুল্লা গ্রামের হাফিজ উদ্দীনের একটি গাভিসহ তিনটি গরু চুরি করে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। চার দিন আগে বিলডগা গ্রামের লিমন মিয়ার দুটি গরু গোশালা থেকে নিয়ে যায় চোরেরা। তিনি গত রবিবার গোপালপুর উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভায় অভিযোগ করেন, সংঘবদ্ধ চোররা গরু চুরির পর গৃহস্থদের বেনামি চিঠি দিয়ে হুঁশিয়ারি দিয়ে যায় যে, এভাবেই তারা আরো গরু চুরি অব্যাহত রাখবে।
ঝাওয়াইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান জানান, তার ইউনিয়নে গরু চুরি থামছেই না। গত ৪ মার্চ রাতে ঐ ইউনিয়নের ঘোড়ামারা গ্রামের হাবিবুর রহমানের বাড়ি থেকে দুইটি গাভি ও দুইটি বাছুর করে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। হাদিরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বিলকিস জাহান জাহান, তার ইউনিয়নের ছাত্তারকান্দি গ্রামের আফজাল হোসেনের দুইটি গাভী এবং আজগড়া গ্রামের আব্দুল বারেকের একটি ষাঁড় চুরি যায়। চোরেরা ট্রাক নিয়ে গ্রামে আসে। তারপর চোরাই গরু নিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়। মধুপুর উপজেলার উত্তর হলুদিয়া গ্রামে এক সপ্তাহের ব্যবধানে চারটি গরু চুরি যায় বলে জানান, গ্রাম পুলিশ আব্দুল মান্নান।
বিগত এক মাসে ঘাটাইল উপজেলার সন্ধানপুর ও ধলাপাড়া ইউনিয়নের পাহাড়ি এলাকায় তিনটি চুরির ঘটনা ঘটে বলে জানান স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা। গত ৮ মার্চ একটি চোরাই ছাগল ভর্তি সিএনজি মধুপুর-টাঙ্গাইল সড়কের ঘাটাইল উপজেলার হামিদপুর এলাকায় দুর্ঘটনায় পড়লে চালক পালিয়ে যায়। ঘাটাইল থানা পুলিশ ছাগল ও সিএনজি আটক করে। স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন জানায়, এক মাসে থানা পুলিশ পাঁচ চোরকে আটক করেছে। গরু চুরি দমনে সাধ্য মতো চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।