ই-পেপার | রবিবার , ২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

২৫১ আসনের ফল: ইমরানপন্থি স্বতন্ত্র প্রার্থীরা অনেক এগিয়ে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার একদিনের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও চলছে গণনা। তবে এরইমধ্যে ২৫১ আসনের ফলাফল অনানুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ হয়েছে।

ভোট গণনায় বাংলাদেশ সময় শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত এগিয়ে দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)-সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা।

 

দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে আরেক সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের দল পিএমএল-এন। তৃতীয় অবস্থানে বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির পিপিপি।

পাকিস্তানের গণমাধ্যম জিও টিভির অনলাইন সংস্করণ বলছে, নির্বাচন কমিশন ঘোষিত বেসরকারি ফল অনুযায়ী, ২৬৫ আসনের মধ্যে ইমরান খান সমর্থিত স্বতন্ত্ররা জয় পেয়েছেন ১০৬টি আসনে, নওয়াজের পিএমএল-এন জিতেছে ৬৭টি এবং বিলাওয়াল ভুট্টোর পিপিপি আসন পেয়েছে ৫১টি। এছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জয় পেয়েছেন ১১ জন।এর বাইরে এমকিউএম ৯টি, জেইউআই (এফ) ৩টি, আইপিপি দুটি এবং বিএনপি একটি জয় পেয়েছে।

 

অবশ্য ১৫০ আসনে জিতেছেন বলে দাবি করেছেন পিটিআই প্রধান গোহর খান। সেজন্য এককভাবে সরকার গঠন করতে কোনো দলের সঙ্গে জোট গড়বেন না বলেও ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।

 

অন্যদিকে, নওয়াজকন্যা পিএমএল-এন-এর প্রধান সংগঠক মরিয়ম নওয়াজ জানিয়েছেন তার বাবা বিজয় ভাষণ দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজের (পিএমএল-এন) জ্যেষ্ঠ ভাইস প্রেসিডেন্ট মরিয়ম নওয়াজ লিখেছেন, কিছু ফল এখনও ঘোষণা করা হয়নি। কিন্তু পিএমএল-এন একক বৃহত্তম দল হতে চলেছে।

চূড়ান্ত ফল ঘোষণার পরপরই নওয়াজ শফির দলের প্রধান কার্যালয়ে যাবেন বিজয় ভাষণ দেওয়ার জন্য। সঙ্গে থাকুন। উল্লেখ্য, পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদে এককভাবে সরকার গঠন করতে চাইলে অন্তত ১৩৪ আসনে জয়লাভ করতে হবে।

পাকিস্তানে ভোটার সংখ্যা ১২৮ মিলিয়ন।

এ নির্বাচনে স্বতন্ত্র ও দল মিলিয়ে ১৭ হাজার ৮১৬ প্রার্থী জাতীয় পরিষদের ২৬৫টি, পাঞ্জাব পরিষদের ২৯৬টি, সিন্ধ পরিষদের ১৩০টি, খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের ১১৩টি ও বেলুচিস্তানের ৫১টিসহ মোট ৮৫৫ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

 

গতকাল বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলে পাকিস্তানের বহুল প্রতীক্ষিত সাধারণ নির্বাচনে।

এদিন সারা দেশে মোবাইল ও ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়। বিক্ষিপ্ত কিছু রাজনৈতিক সহিংসতার খবরও পাওয়া যায়। এদিন খাইবার পাখতুনখোয়াতে ভয়াবহ হামলার ঘটনাও ঘটে।