এস এইচ মুক্তা :
ইংরেজি নববর্ষ থার্টি ফার্স্ট নাইট পালন করা ইসলামের দৃষ্টিতে হারাম। আমাদের দেশে কিছু লোক থার্টি ফার্স্ট নাইট সেলিব্রেট করার নামে করে অনেক নোংরামি। এই দিনে অসামাজিক কার্যকলাপ বহুগুণে বেড়ে যায়। বিভিন্ন নেশাদ্রব্য সেবন, আপত্তিকর নাচ-গানসহ অনেক বেহায়াপূর্ণ কীর্তিকলাপ চলে থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপনে। এই পাশ্চাত্য সংস্কৃতি বিগত কয়েক বছর ধরে এদেশের সংস্কৃতিতে ঢুকে পড়েছে।
থার্টি ফার্স্ট নাইট- এই রাত্রিতে বলে বা ম্যাসেজের মাধ্যমে অভিনন্দন জানানো, আতশবাজি, পটকাবাজি, ফ্যাশন শো, ফায়ার প্লে, ট্যাটো অংকন, ডিজে পার্টি ও কনসার্ট, নেশা সেবনসহ অপসংস্কৃতির সাথে সাদৃশ্য রাখে। তাই এটিকে ইসলাম ধর্মে কঠোরভাবে নিষেধ করা হয়েছে।
রাসুল (সা)বলেছেন, যে ব্যক্তি কোনো সম্প্রদায়ের সাদৃশ্য অবলম্বন করলো, সে তাদেরই অন্তর্ভুক্ত।
কিতাবে হযরত ইমাম আবু হাফস কবীর (রা) বলেন, নওরোজ বা নববর্ষ উপলক্ষে যদি কেউ একটা ডিমও দান করে তার ৫০ বছরের আমল থাকলে তা বরবাদ হয়ে যাবে। তাই ইসলাম নববর্ষ পালনকে কখনো স্বীকৃতি দেয়নি।
আমাদের অলস জাতি কাজের কাজে নেই, বেশিরভাগ সময় আছে অকাজেই। নববর্ষ এতো ঢাকঢোল পিটিয়ে অন্যের ক্ষতি করে করতে হয় না। ইচ্ছে হলে লিমিটে থেকে করতে পারে। কিন্তু না; তারা একটু সুযোগ পেলেই সবকিছু অতিরিক্ত করে ফেলে।
প্রতি বছর এই থার্টি ফার্স্ট নাইট পালন করতে গিয়ে আমাদের অনেক ক্ষতি হয়ে থাকে। এই শীতের মৌসুমে হাজারো অতিথি পাখি এদেশে আসে। হঠাৎ আতশবাজি, পটকার প্রচণ্ড শব্দে কতো পাখি মরে তার হিসেব কে রাখে! আর পোষা প্রাণীও ভয়ে আঁতকে ওঠে। এছাড়া শিশু, বৃদ্ধরাও ভয় পায়। বিশেষ করে, হার্টের রোগীদেরও অনেক ক্ষতি হয়ে থাকে।
এই আতশবাজির শব্দ যেনো কারো জীবনবাজির কারণ না হয়, সেদিকেও খেয়াল রাখা খুবই জরুরি। আসুন, আমরা সবাই ঈমান ও সমাজবিধ্বংসী অপসংস্কৃতি পরিত্যাগ করে আচার-আচরণে, সভ্যতা ও সংস্কৃতিতে নিজেদের স্বকীয়তা বজায় রাখি এবং সুস্থ সংস্কৃতির বিকাশে সচেষ্ট হই।
মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আমাদের সকলকে বুঝার তাওফিক দান করুন। আমিন।