স্পোর্টস ডেস্ক :
চোটাক্রান্ত সাকিব আল হাসানের অনুপস্থিতিতে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। টপ-অর্ডার এই ব্যাটারের নৈপুণ্যে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সাফল্যের পর তাকেই ভবিষ্যৎ অধিনায়ক হিসেবে দেখতে চান অনেকেই। তবে এখনই শান্তর কাঁধে এই গুরুদায়িত্ব তুলে দিতে পারছে না বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। কেননা, সাকিব এখনও নিয়মিত অধিনায়ক। তাই বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের সঙ্গে আলাপ করেই সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে চায় দেশের ক্রিকেটের নিয়ন্তা সংস্থা।
এ প্রসঙ্গে বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান জালাল ইউনুসের ভাষ্য, দেখুন, সাকিব চালিয়ে যাবে কি যাবে না; সেটা পরের কথা। অধিনায়ক হিসেবে সাকিবকে আমাদের দায়িত্ব দেওয়া ছিল। যেহেতু সাকিব ইনজুরিতে, যেতে পারেনি। সে নিজেও বলেছে। হয়তো নিউজিল্যান্ডে খেলতে যাওয়ার কথা ছিল, প্রথম দিকে ওয়ানডে খেলে হয়তো চলে আসতো। কিন্তু সেটা পারেনি ইনজুরির কারণে। তার মানে সে যদি থাকতো, অধিনায়কত্ব করতো। যেহেতু ইনজুরির কারণে সে যেতে পারিনি, তাই শান্ত অধিনায়কত্ব করছে।
এদিকে বিশ্বকাপে পাড়ি জমানোর আগেও এক ম্যাচে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন শান্ত। এ ছাড়া বিশ্বমঞ্চেও দুই ম্যাচে দলপতির দায়িত্বে ছিলেন। সাকিবের অনুপস্থিতিতে হোম ও অ্যাওয়ে সিরিজে শান্তকে অধিনায়ক করা হয়। তার নেতৃত্বে সিলেটে কিউইদের বিপক্ষে টেস্ট জয়ের পর ব্ল্যাক-ক্যাপসদের মাটিতে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি জিতেছে শান্তর দল। এর আগে, সংবাদ সম্মেলনে শান্ত কয়েকবার আভাস দিয়েছেন, বাংলাদেশের অধিনায়ক হতে প্রস্তুত তিনি।
জালাল ইউনুসের মন্তব্য, শান্তকে আমরা আগামী (চলতি) সিরিজ পর্যন্ত (অধিনায়কত্ব) দিয়েছি। এখন সাকিব অধিনায়কত্ব করবে কি, করবে না বা শান্তকে আমরা দেব কি না ;এই সিদ্ধান্তগুলো ক্রিকেট বোর্ড থেকে আসবে। সাকিব অধিনায়কত্ব করে যাচ্ছিল বলে বলেছি, সাকিব এখনও আমাদের অধিনায়ক। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের জন্য এটা কোনো সমস্যা না।
তিনি যোগ করেন, সাকিবের সঙ্গে আলোচনার পরই সব সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তার সঙ্গে আমরা আলাপ আলোচনা করব, সাকিবের পরিকল্পনা জানবো। সেটা জানার পরই বুঝতে পারবো আগামীতে কে দীর্ঘ মেয়াদে অধিনায়কত্ব করবে।