ই-পেপার | শুক্রবার , ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

পেকুয়ার শিক্ষার্থীকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করলো একদল সন্ত্রাসী, আটক ১

নিজস্ব প্রতিনিধি,পেকুয়াঃ

কক্সবাজারের পেকুয়ার আসহাবুল ইসলাম জিহাদ( ২৪) নামের এক শিক্ষার্থীকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করলো চকরিয়ার একদল সন্ত্রাসী। ১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৭ টায় চকরিয়া উপজেলাধীন মরংঘোনার পশ্চিমে বাঘগুজারা এলাকার নির্জন স্থানে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। নিহত সে পেকুয়া সদর ইউপির সিকদার পাড়ার অবসরপ্রাপ্ত সেনাবাহিনীর সদস্য মকসুদুল করিম বাচ্চুর ছেলে ও কক্সবাজার সিটি কলেজের সামাজিক বিজ্ঞান অনার্স ৩য় বর্ষের ছাত্র।

 

প্রত্যক্ষদর্শীসূত্রে জানা যায়, কিছু দিন আগে চকরিয়া উপজেলাধীন কোনাখালী চরাপাড়া এলাকার আব্দুল হাকিমের পুত্র রুমান থেকে জিহাদ ৯ হাজার টাকা দিয়ে একটি মোবাইল ফোন কিনে। পরে দেখা দেয় ওই মোবাইলটিতে নানা সমস্যা। তারপর জিহাদ ওই মোবাইলটি রুমানকে ফেরত দিয়ে দেয়। কিন্ত রুমান ওই টাকা ফেরত না দিয়ে আরেকটি মোবাইল ফোন এনে দিবে বলে জানায়। বেশকিছু দিন অতিবাহিত হলেও জিহাদকে মোবাইল ফোনও দেয়নি বরং টাকাও ফেরত দেয়নি। ঘটনার আগের দিন তাদের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। শেষ পর্যন্ত ঘটনার দিন পরিকল্পিত ভাবে সন্ধ্যা ৭ টায় কল করে জিহাদকে বাঘগুজারা ব্রীজে এসে টাকা ফেরত নিয়ে যেতে বলে রুমান। জিহাদ তার কয়েকজন বন্ধু কে নিয়ে বাঘগুজারা ব্রীজে পৌছলে আগে থেকে উৎপেতে থাকা চড়া পাড়ার আব্দুল হাকিমের পুত্র রুমান, রমিজ, বখতিয়ার, সাইফু, সালাহ উদ্দিন সহ ১০/১৫ জন মিলে জিহাদকে মরংঘোনা নির্জন বালুর স্তুুবে নিয়ে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে। পরে বিষয়টি টের পেয়ে লোকজন এগিয়ে গেলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। পরে জনতা তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে।

স্থানীয় বাসিন্দা ও কোনাখালী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য বকুল জানান- ঘটনায় জড়িত সন্দেহভাজন সোহান নামের এক ইজিবাইক (টমটম) চালক কে জনতা আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে।

এ বিষয়ে চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে পুলিশ জানতে পেরেছে মোবাইল ফোন সংক্রান্ত বিষয়ে এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে। এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে স্থানীয় জনতা সোহান নামের একজনকে আটক করেছে। পরবর্তীতে আরো বিস্তারিত জানা যাবে। তিনি আরো বলেন সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরির পর ময়নাতদন্তের জন্য লাশ কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে। এই বিষয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ প্রাপ্তিসাপেক্ষে পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।