সেলিম উদ্দীন, ঈদগাঁও :
বঙ্গোপসাগরে ফিশিং ট্রলার নিয়ে মাছ ধরতে গিয়ে কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলার ইসলামাবাদ এবং ইসলামপুরের ৯ জেলে ১১ দিন ধরে নিখোঁজ রয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। নিখোঁজ ৯ পরিবারে চলছে চরম দূর্ভিক্ষ, আহাজারি, আর্তনাদ।
নিখোঁজ জেলেরা হল ইসলামাবাদ পশ্চিম বোয়াল খালী ৪নং ওয়ার্ডের আলী আকবরের ছেলে ইয়াকুব(২৮) মৃত দানু মিস্ত্রির ছেলে আবু তাহের (৩৭),আবুল কাসেমের ছেলে রিয়াদুল ইসলাম( ৩২) পূর্ব বোয়াল খালী ৫নং ওয়ার্ডের মৃত মোজাহের বৈদ্যের ছেলে হাফিজুর রহমান (৫৫), ইসলামপুর ৮ নং ওয়ার্ডের পশ্চিম বামনকাটা এলাকার হামিদের ছেলে মোর্শেদ (২৬), মদন আলীর ছেলে সাইমুন (১৯) মোহাম্মদ শফির ইসমাইল (২২) বামনকাটা এলাকার শান্তি পাহাড়ের সিরাজুল ইসলামের ছেলে আনোয়ার (২৪) একই এলাকার মোক্তার আহমেদের ছেলে সাগর (২০)।
নিখোঁজদের স্বজনরা জানান,গত ৫ নভেম্বর বাড়ি থেকে বের হয় তারা। ৯ নভেম্বর সাগরের উদ্দেশ্য রওনা দেয়। ফিশিং ট্রলার ছাড়ার আগ মুহূর্ত পর্যন্ত পরিবারের সঙ্গে তারা মুঠোফোনে যোগাযোগ করছে। সেদিন থেকে ১১ দিন পর্যন্ত কোনো ধরনের যোগাযোগ হয়নি তাদের সঙ্গে। বেঁচে আছে নাকি মরে গেছে সেটিও নিশ্চিত নন পরিবারের সদস্যরা।
নিখোঁজ আবু তাহের ও হাফিজুর রহমানের ভাই মোঃ ওসমান জানায়, কুতুবদিয়া উপজেলার উত্তর ধুরুং এলাকার বাহাদুর মাঝি নামের এক ব্যক্তির ফিশিং ট্রলারে করে ২২ জন জেলে নিয়ে কক্সবাজার শহরের নুনিয়া ছড়া এলাকার থেকে সাগরের উদ্দেশ্য রওনা দিয়েছে। এর পর থেকে আর কোনো যোগাযোগ রাখেনি। সকলের মোবাইল নম্বর বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, গেল ১৬/১৭ নভেম্বর বয়ে যাওয়া ঘূর্ণিঝড় মিধিলির কবলে পড়ছে কিনা সেটিও নিশ্চিত নন। ফিশিং ট্রলারের মালিক বাহাদুরের ছেলে সঙ্গে কয়েকবার যোগাযোগ করলে সেও নিশ্চিত করে বলতে পারছে না তার বাবাসহ মাঝি মাল্লারা কোথায় আছে।
আবু তাহেরের মা বলেন, সাগরে রওনা দেওয়ার সময় ফোনে যোগাযোগ করে দোয়া চান ছেলে। এরপর থেকে নিখোঁজ রয়েছে। স্থানীয় এলাকাবাসী নিখোঁজ ৯ জেলেকে উদ্ধার করতে সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।