নিজস্ব প্রতিবেদক , ঢাকা :
ঘূর্ণিঝড় মিধিলি উপকূল অতিক্রম করায় আবহাওয়া অধিদপ্তর সমুদ্রবন্দরগুলোকে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলায় কর্মচাঞ্চল্য ফিরে পেয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর। শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) রাত ৯টায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বন্দরের জেনারেল কার্গো বার্থে ৫টি জাহাজ রয়েছে।সেগুলোতে লোড-আনলোড চলছে। এ ছাড়া জেটি ও টার্মিনালগুলোতে কর্মচাঞ্চল্য ফিরে আসছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের ৬ নম্বর বিপদ সংকেত পেয়ে ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষয়ক্ষতি কমানো এবং বন্দর চ্যানেল সুরক্ষিত রাখতে ‘অ্যালার্ট-৩’ জারি করেছিল বন্দর কর্তৃপক্ষ। এর প্রেক্ষিতে এনসিটি ও সিসিটি জেটিতে থাকা ৬টি কনটেইনার জাহাজ সাগরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। বন্দর চ্যানেলের লাইটার জাহাজগুলো সাগরে এবং শাহ আমানত সেতুর উজানে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। শিপ হ্যান্ডলিং ইক্যুইপমেন্ট বিশেষ করে কি গ্যান্ট্রি ক্রেনগুলোর বুম উপরের দিকে রেখে প্যাক করে ফেলা হয়।
বন্দরের একজন কর্মকর্তা জানান, বিকেলে কিছু সময় বন্দরে শিপ ও কনটেইনার হ্যান্ডলিং, ডেলিভারি কার্যক্রম বন্ধ ছিল। পরে তা স্বাভাবিক হয়ে গেছে। সাগরে পাঠিয়ে দেওয়া কনটেইনার জাহাজগুলো শনিবার (১৮ নভেম্বর) প্রথম জোয়ারে আবার জেটিতে নিয়ে আসা হবে। এ লক্ষ্যে প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক নবী আলম জানান, বন্দর চ্যানেল থেকে বের করে দেওয়া অন্তত চারশ’ লাইটার জাহাজ পতেঙ্গা সীবিচ এলাকায় আশ্রয় নিয়েছে। এর মধ্যে তিন-চারটি লাইটার জাহাজ জোয়ারের ঢেউয়ের ধাক্কায় বেড়িবাঁধের পাথরে উঠে গেছে। এ ছাড়া পতেঙ্গা থেকে ২৫ নটিক্যাল মাইল দূরে থাকা পাথর বোঝাই ‘এমভি নাবিল ২’ নামের একটি লাইটার জাহাজের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছি না আমরা। চাঁদপুরের হাইমচর এলাকায়ও একটি লাইটার জাহাজ বিপদের মুখে পড়েছিল।