ই-পেপার | শনিবার , ২৯শে জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ফেনীতে সংবাদ সম্মেলনের বিরুদ্ধে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন!

মোঃ আঃ রহিম জয় চৌধুরী, ফেনী:

ফেনী জেলার দাগনভূঞাতে সম্পত্তির বিরোধের জেরে মিথ্যা সংবাদ সম্মেলনের বিরুদ্ধে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করেছে ভূক্তভোগী আবদুল জাব্বার রাসেল।

বুধবার সকালে স্থানীয় একটি রেস্টুরেন্টে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য রাখেন দাগনভূঞা পৌরসভার বেতুয়া গ্রামের আবদুল হকের ছেলে আবদুল জাব্বার রাসেল ও আবুল কালামের ছেলে আবদুল ছোবহান।

তারা বলেন, গত ২৮ জুলাই আমাদের জেঠাতো ভাই মো. শাহ আলম ফেনীতে এক সংবাদ সম্মেলনে মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন অভিযোগ করেছে।

আমাদের বাবারা ৪ ভাই। আবদুর রশিদ, আবদুল ছোবহান, আবদুল খালেক, আবদুল হক। তাদের মধ্যে আবদুর রশিদ, আবদুল ছোবহান, আবদুল খালেক ইতিপূর্বে মৃত্যুবরণ করেন। বর্তমানে আবদুল হক জীবিত ও বয়োঃবৃদ্ধ। তাদের বহু পূর্বেই পারিবারিকভাবে আপোষ চিহ্নিতমতে তাহাদের যাবতীয় সম্পত্তি মৌখিকভাবে বন্টন হয়। সকলেই মৌখিক বন্টনমতে শান্তিপূর্ণভাবে ভোগ দখলরত থাকা অবস্থায় বিগত ১৯৯৭ সালের ২ মে পারিবারিক আন রেজিস্ট্রী এওয়াজ নামা সম্পাদন হয়।

পূর্বের সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য প্রদানকারী আমার জেঠাতো ভাই মো.শাহ আলম অভিযোগ করেন, বিগত ১৯৯৭ সালের ২ মে আমার বাবা আবদুল হকের সাথে তাহার মালিকিয় বেড়ুয়া মৌজার সি.এস ১৯৯ ও ২০০নং বি.এস ৩৭৫নং খতিয়ানভূক্ত সি.এস/এস.এ ৪৫৪ দাগ বি.এস ৪৪১ দাগ ২ আনায় পথ বাদ মোয়াজি ২৩ শতাংশ ভূমি আমাদের সাথে পারিবারিকভাবে বিনিময় করেন এবং আমাদের মালিকিয় ভূমি ছোট মালিপুর মৌজার সি.এস ৪৩নং বি.এস ২৩নং খতিয়ানভূক্ত সি.এস/এস.এ ৪৩ ও ৪৪ দাগ বি.এস ১৩ দাগ ২ আনায় ২৩ শতাংশ ভূমি বিনিময়সূত্রে উক্ত শাহ আলম মালিক দখলসূত্রে শান্তিপূর্ণভাবে ভোগ দখলে আছে। ওই ভূমি হতে অন্যত্র মাটি বিক্রি করে গর্ত করে ফেলেছে। তার থেকে প্রাপ্ত ভূমিতে আমরা বাড়ী তৈরী করে। ঘর দরজা নির্মান করা অবস্থায় আমাদেরকে বাধা প্রদান করে। এই নিয়ে সে একাধিক সংস্থায় অভিযোগ করলেও তদন্তে বিনিময় প্রমানিত হয় এবং আমাদের শান্তিপূর্ণ দখল আছে মর্মে প্রতিয়মান হয়। ওই বিষয়ে আদালতে মামলা বিচারাধীন রয়েছে। আমাদেরকে সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য এবং ক্ষতিগ্রস্থ করার উদ্দেশ্যে বিগত ২৮ জুলাই সংবাদ সম্মেলনে তারা মিথ্যাচার বক্তব্য দাখিল করেছে। তাদের দ্বারা আমরা সামাজিকভাবে এবং বিভিন্নভাবে হেয় প্রতিপন্ন ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি।

 

এইচ এম কাদের,সিএনএন বাংলা২৪