ই-পেপার | বৃহস্পতিবার , ২১শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

চট্টগ্রাম নগরীর অলিগলিতে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ব্যাটারিচালিত রিকশা

রোকনউদ্দিন জয়, চট্টগ্রাম:

চট্টগ্রাম নগরীর অলিগলিতে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ব্যাটারিচালিত হাজারো রিক্সা। পুলিশ বলছে, তারা ব্যাটারিচালিত এসব রিকশার বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছে।

তবে স্থানীয়দের অভিযোগ, পুলিশ ও একশ্রেণীর রাজনৈতিক নেতাদের ম্যানেজ করে চলছে এই যান। নিষিদ্ধ এসব ব্যাটারিচালিত রিক্সার কারণে প্রতিদিনই ঘটছে নানা দুর্ঘটনা।

 

অপরদিকে, ব্যাটারিচালিত রিক্সার কারণে বিদ্যুতের অবৈধ ব্যবহারও বেড়েছে। বৈদ্যুতিক মোটরচালিত এসব রিক্সায় ব্যাটারির চার্জ দিতে গিয়ে অবৈধ বিদ্যুতের সংযোগও বাড়ছে দিনদিন। যার কারণে এখন বিদ্যুৎ সংকটে ভুগছে বাংলাদেশ ।

 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চট্টগ্রাম নগরীর ওয়ারলেস, জালালাবাদ, টাইগারপাস, আমবাগান, খুলশী, পাহাড়তলী, আকবরশাহ এলাকাসহ নগরীর সব জায়গাতেই ব্যাটারিচালিত রিক্সা দেখা যায়। নগরীর সর্বত্রই ব্যাটারিচালিত রিক্সা চলছে দেদারসে।

 

সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রামে ১২ হাজারের অধিক ব্যাটারিচালিত রিক্সা ছিল। বর্তমানে এর সংখ্যা গিয়ে ঠেকেছে ১৮ হাজারে। যান্ত্রিক এসব রিক্সা চালাতে শারীরিক পরিশ্রম নেই বলে চালকদের আগ্রহ বেশি। শারীরিক শ্রম কম হয় বলে ব্যাটারি রিক্সাই এখন তাদের প্রথম পছন্দ।

 

তবে এসব রিক্সার সামনে ব্রেক থাকায়, তা হঠাৎ নিয়ন্ত্রণ করতে গেলেই অনেক সময় উল্টে যায়। এছাড়া নারী যাত্রীদের ওড়না চাকায় পেঁচিয়ে দুর্ঘটনা যেনো নিত্যসঙ্গী। তাছাড়া সিএনজি, প্রাইভেটকারের সঙ্গে পাল্লা দিতে গিয়ে সড়কে ব্যাটারিচালিত এসব রিকশা অনেক সময় উল্টে গিয়ে আহত হয় চালকসহ যাত্রীরা।

সিএমপির ট্রাফিক বিভাগ জানিয়েছে, মহাসড়কে ব্যাটারিচালিত রিক্সা চলতে দেয়া হয় না। উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী এসব বাহন অবৈধ হওয়ায় তা সড়কে পাওয়া গেলেই জব্দ করে ডাম্পিংয়ে পাঠানো হয়। তবে পুলিশের বক্তব্য এমন হলেও বাস্তব অবস্থায় ভিন্ন। নগরীর অলিগলি ও শহরের অধিকাংশ সড়কেই ব্যাটারিচালিত রিক্সার চলাচল থামেনি।

 

অভিযোগ আছে, নগরীর ১৩নং সহ বিভিন্ন ওয়ার্ডের প্রায় এলাকায় লাইনম্যান দিয়ে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের ইন্ধনে ব্যাটারিচালিত রিক্সা নিয়ন্ত্রণ করা হয়।

 

প্রতিদিনের জন্য একেকটি রিক্সার ভাড়া ১২০ টাকা করে নেয়া হয়। কোন কোন এলাকাতে টোকেন মানি দেয়া হয়। নির্দিষ্ট এলাকাভিত্তিক রুটেই চলাচল করে এসব রিক্সা। অপরদিকে ব্যাটারি রিক্সার গ্যারেজ থেকেও মাসোহারা তোলা হয়। এসব টাকা ভাগ হয়ে এলাকাভিত্তিক নেতাদের হাত ঘুরে যায় স্থানীয় থানায় পর্যন্ত।

 

এছাড়া ব্যাটারি রিক্সা চলাচলের সঙ্গে নগরীর প্রতিটি থানার পুলিশ সদস্যদের জড়িত থাকার অভিযোগ বেশ পুরনো। যদিও এ বিষয়ে সিএমপি শুরু থেকেই বলে আসছে তাদের কেউ জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 

এইচ এম কাদের,সিএনএন বাংলা২৪